দুই সপ্তাহ পর নির্ধারিত হবে তামিমের ভবিষ্যৎ
লম্বা সময় ধরে পিছু নেওয়া পিঠের ব্যথার পিছু ছাড়াতে তামিম ইকবাল শরণাপন্ন হয়েছিলেন লন্ডনের চিকিৎসকদের। ভুল চিকিৎসা ও নিজের গাফিলতির কারণে পরীক্ষার পর বাঁ-হাতি এই ব্যাটারের মেরুদণ্ডের হাড়ে ক্ষত ধরা পড়ে। যেটি থেকে পরিত্রাণ পেতে ইতোমধ্যেই দুই দফায় ইনজেকশন নিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসা শেষ করে সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে দেশে ফিরছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে দেশে ফিরে আসলেও বোর্ডের সবুজ সংকেত না মেলায় এখনই ফিটনেস টেস্ট ও কন্ডিশনিং ক্যাম্পে যোগ দিচ্ছেন না তিনি।
ইনজেকশন নেয়ার কারণে তামিমের ব্যথা বর্তমানে নেই। কিন্তু আসলেই ইনজেকশন ফলপ্রসূ হয়েছে কিনা সেটি বোঝা যাবে সপ্তাহখানেক পর। আর সে কারণেই এখনই তামিমকে অনুশীলনে নামতে দিতে নারাজ বোর্ডের মেডিক্যাল ইউনিট।
আপাতত তামিম ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণে থাকবেন। এর ভেতর যদি ব্যথা ফিরে আসে, তবে আরেক দফায় ইনজেকশন নেবেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। যদি তাতেও কোনো উপকার না হয় তাহলে তামিমের শেষ পরিণতি অস্ত্রোপচার।
দেশে ফিরে এক সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে বাঁহাতি এই ব্যাটারকে। পরের সপ্তাহে শুরু করবেন পূনর্বাসন কার্যক্রম। এরপর আসবে তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
সোমবার (৩১ জুলাই) আরটিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমরা ওকে আপাতত ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণে রাখব। দেখি ব্যথার আপডেট কি হয় ততদিনে। যদি ইমপ্রুভ হয় তাহলে তো অনুশীলনে নামতে কোনো সমস্যা থাকছে না। আগে দেখি কি অবস্থা।’
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় তামিমের ইনজুরির জায়গাটিকে বলা হয় এল ফোর আর এল ফাইভ। ইনজেকশনে সেটি ঠিক না হলে অস্ত্রোপচার বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে জাতীয় দলের ওয়ানডে দলপতিকে। আর সেক্ষেত্রে এশিয়া কাপ তো বটেই, অবধারিতভাবে বিশ্বকাপ থেকেও ছিটকে যাবেন তিনি।
মন্তব্য করুন