কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করে আর্জেন্টিনার ক্লাব সোল দে মায়োর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করেছেন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূূঁইয়া। বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে আর্জেন্টিনার তৃতীয় স্তরের লিগ তোরনেয়ো ফেদারেল ‘এ’র ক্লাবটির সঙ্গে মাসিক ১৫ হাজার ডলারে দেড় বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন জাতীয় দলের এই মিডফিল্ডার।
কিন্তু বিশ্বকাপজয়ীদের দেশে পাড়ি দিয়ে রীতিমতো ঝামেলায় পড়তে যাচ্ছেন ডেনমার্ক প্রবাসী এই ফুটবলার। শেখ রাসেলের সঙ্গে করা চুক্তি ভঙ্গ করায় আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন জাতীয় দলের এই দলপতি।
রাসেলের সঙ্গে করা চুক্তি রীতিমতো অস্বীকার করেছেন জামাল। আর যে কারণে ক্লাব কর্তৃপক্ষ আদালতের স্মরণাপন্ন হওয়ার পরিকল্পনা করছে।
শেখ রাসেল কর্তৃপক্ষের দাবি তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকা অবস্থায়ই জামাল কোনো কিছু না জানিয়ে যোগ দিয়েছেন আর্জেন্টিনার ক্লাবে। ফুটবলের দলবদলের নিয়ম অনুযায়ী এই ঘটনা সম্পূর্ণরূপে আইনের পরিপন্থি। আর সে কারণেই আইনি সহায়তা নেয়ার পদক্ষেপ নিচ্ছে শেখ রাসেল।
যদিও জামালের দাবি শেখ রাসেলের সঙ্গে কোনো চুক্তি তিনি করেননি। ক্লাবটির পক্ষ থেকে যেই চুক্তিপত্রের কথা বলা হয়েছে সেখানে জামালের মা-বাবার নাম, মোবাইল নম্বর ভুল দেয়া। একইসঙ্গে লেখা নেই লাল-সবুজের দলপতির পাসপোর্ট নম্বরও। সে কারণে চুক্তিপত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
শেখ রাসেলের অর্থ বিষয়ক পরিচালক মো. ফখরুদ্দিন গণমাধ্যমকে এ ইস্যুতে বলেন, ‘যদি আমাদের কাছে কোনো পেপার আসে, তখন আমরা চিন্তা করব আসলে আদালতে যাওয়া উচিত, নাকি উচিত না; নাকি ছাড় দেওয়া উচিত। তবে এটুকু বলব, সে একজন প্রতারক। চুক্তির পেপারে সে কিন্তু নিজ হাতে তার নাম, বাবা, মায়ের নাম এবং মোবাইল নম্বর লিখেছে।’
‘তুমি তোমার নিজ হাতে লিখেছ। আমরা তো লিখিনি। তার মানে তুমি সেখানেও প্রতারণা করেছ। মোবাইল নম্বর ইচ্ছা করে ভুল দিয়েছে, তার মানে তার পূর্ব থেকেই খারাপ চিন্তা ছিল। যখন আইটিসি চাইবে, তখন তাকে আমাদের কাছে বলতে হবে, সে এখানে চুক্তি করেছে এবং যা লিখেছে সবই তার নিজ হাতের। সে যদি এগুলো না করে, তাহলে আমরা তো তাকে আইটিসি দেব না।’
এর আগে ২০১৬ সালে ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করেও অন্য ক্লাবে চলে যাওয়ায় আট ফুটবলারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করেছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ক্লাবটির পক্ষ থেকে অভিযোগ আনা হয়েছিল, চুক্তি ভেঙে অন্য ক্লাবে গিয়েছেন মামুনুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, ইয়ামিন মুন্না, সোহেল রানা, রায়হান হাসান, জামাল ভূঁইয়া, শেখ আলমগীর কবির রানা ও শহিদুল আলম সোহেল।
শে সময় এই আত ফুটবলারকে আদালতে নিয়ে গিয়েছিলেন শেখ জামাল ক্লাব কর্তারা। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে শেখ রাসেল-জামাল ভুঁইয়া ইস্যুতে।