ব্লুমফন্টেইনে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্নাস লাবুশেনের সেঞ্চুরিতে ৩৯২ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৪১.৫ ওভারে ২৬৯ রানে থেমে যায় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। এতে প্রোটিয়াদের ১২৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেল মিচেল মার্শের দল।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) টস হেরে অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ট্রাভিস হেডকে নিয়ে ১০৯ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে ৩৬ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৬৪ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান হেড। এরপর অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ গোল্ডেন ডাক মারেন। এই দুই ব্যাটারকেই ফেরান তাবরাইজ শামসি।
তবে আরেক ওপেনার ওয়ার্নার পেয়েছেন ২০তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। এদিন ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৩ বলে ১০৬ রানরে ইনিংস খেলেছেন তিনি। তাকে সঙ্গ দিয়ে মার্নাস লাবুশেনও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি উপহার দেন। আগের ম্যাচে অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংসে দলকে জয় উপহার দেওয়া এই ব্যাটার এদিন খেলেন ৯৯ বলে ১৯টি চার ও ১ ছক্কায় ১২৪ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস।
শেষ দিকে জস ইংলিশ খেলেছেন ৩৭ বলে ৫০ রানের ইনিংস। এতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৯২ রানের পুঁজি গড়ে অস্ট্রেলিয়া। এদিনের সংগ্রহটি ওয়ানডে ফরম্যাটে অজিদের তৃতীয় সর্বোচ্চ। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০০৬ সালে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৪৩৪ রানের পুঁজি গড়েও ম্যাচ হেরেছিল তারা।
অজিদের দেওয়া ৩৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাও উড়ন্ত সূচনা পায়। প্রথম উইকেটে মাত্র ৯ ওভারে ৮১ রান তুলে ফেলেন কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা বাভুমা। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে এসে থেমে যান ডি কক। ফলে ৩০ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় থামে তার ৪৫ রানের ইনিংস। এরপর বাভুমাও ৪৬ রানে বিদায় নেন।
এরপর হেইনরিখ ক্লাসেন ৪৯ ও ডেভিড মিলার ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন। কিন্তু কেউই ফিফটি ছুঁতে পারেননি। ফলে ৪১.৫ ওভারে ২৬৯ রানে থেমে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। অজিদের পক্ষে সর্বাধিক ৪ উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা। এদিন ম্যাচসেরা হয়েছেন লাবুশেন।