‘বাংলাদেশের সংবিধান সবাইকে নিজ ধর্ম পালন ও প্রচারের স্বাধীনতা দিয়েছে’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নারীদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে জাতীয় দলের তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। তরুণ এই পেসারের পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক।
সমালোচনার কাঠগড়ায় সাকিবকে দাঁড় করিয়েই থেমে থাকেননি নেটিজেন ও বিভিন্ন মহলের তারকারা। রীতিমতো তাকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠে আসে ওই পোস্টের কারণে।
তবে বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব। একই সঙ্গে শুনছেন বোর্ডের সতর্কবার্তাও।
তবে সাকিব তার এই বিপদের সময় পাশে পেয়েছেন বেশ কয়েকজন সতীর্থকে। সবশেষ সেই তালিকায় নাম লেখালেন জাতীয় দলের আরেক তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা তুলে ধরে তিনি ব্যাট চালান সাকিবের হয়ে।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাকিবের একটি ছবি পোস্ট করেন মিরাজ। ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমি নিশ্চিত, তুমি কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে কিছু বলোনি। হয়তো তোমার উপস্থাপনাটা ভুলভাবে হয়ে গেছে এবং তুমি তা বুঝেছে।’
‘বাংলাদেশের সংবিধান ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সবাইকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে, ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিজ ধর্ম পালন ও প্রচারের স্বাধীনতাও দিয়েছে।’
‘তেমনই ইসলামে নারীকে সবচেয়ে বেশি সম্মান দেওয়া হয়েছে। কন্যাসন্তানকে সবচেয়ে বড় এক নিয়ামত বলা হয়েছে, মায়ের পদতলে সন্তানের জান্নাত বলা হয়েছে ও স্ত্রীকে সবচেয়ে বড় প্রশান্তির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ফলে নারী বিদ্বেষের কথা তো এখানে আসেই না।’
‘সামনে তোমার এক দারুণ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে তোমার। শুভকামনা রইল তানজিম হাসান সাকিব, আল্লাহ তোমার সহায় হোক। সরল সত্যের পথে অটুট থাকো।’
মূলত বিতর্কের শুরু সাকিবের ২০২২ সালে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসকে ঘিরে।
সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়।’
‘স্ত্রীকে যেই স্বামী বলে- আমার স্ত্রীর চাকরি করার দরকার নেই। আমি যা পাই তোমাকে খাওয়াব, সে তাকে রাজরানি হয়ে আছে। এখন সে রাজরানি না হয়ে কর্মচারী হতে চায়। আসলে স্ত্রী স্বামীর মর্যাদা বোঝেনি, স্ত্রী নিজের মর্যাদাও বোঝেনি। ঘর একটি জগৎ।’
পোস্টটির শেষে একটি মাইক্রোফোনের ইমোটিকনসহ ‘শায়খ আবু বকর মুহাম্মাদ জাকারিয়া (হাফিযাহুল্লাহ)’ নাম লেখা দেখা যায়।
মন্তব্য করুন