বিশ্বকাপের মূল আসর মাঠে গড়াতে আর বাকি প্রায় ২৪ ঘণ্টা। এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শেষ সময়ে নিজেদের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতা পরখ করে দেখছেন তারা।
ধারণা করা হচ্ছে, উইকেট বিবেচনায় এবার ক্রিকেট বিশ্বমঞ্চে রান বন্যা দেখা যাবে। চার-ছক্কার ঝড় বইয়ে দেবেন ব্যাটাররা। তবে বাস্তবতা ভিন্ন থাকলেও আগের অনেক বিশ্বকাপেও ব্যাটারদের দাপট দেখা গেছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের গত ১২ আসরের মধ্যে সেরা পাঁচ ইনিংস একটু পিছনে ফিরে দেখে নেওয়া যাক...
মার্টিন গাপটিল (নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ১৬৩ বলে ২৩৭*
২০১৫ বিশ্বকাপে ওয়েলিংটনে খুনে মেজাজে মাঠে নেমেছিলেন মার্টিন গাপটিল। ওই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের নাস্তানাবুদ করে খেলেন ১৬৩ বলে অপরাজিত ২৩৭ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস। যা এখন পর্যন্ত ওয়ানডে বিশ্বমঞ্চে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। আর কিউইদের হয়ে প্রথম ব্যাটার হিসেবেও ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করেন গাপটিল।
ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম জিম্বাবুয়ে ২০১৫), ১৪৭ বল ২১৫ রান
ক্রিকেট মঞ্চে দানবীয় ব্যাটিংয়ের জন্য বরাবরই নামডাক ক্রিস গেইলের। বড় মঞ্চেও নিজের সেরাটা দেখিয়েছেন তিনি। ২০১৫ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নেমেই ঝড় তুলেন গেইল। ১৪৭ বলে খেলেন ২১৫ রানের মারকাটারি ইনিংস। ইনিংসের শেষ বলে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১০ চারের সঙ্গে হাঁকান ১৬ ছক্কা।
গ্যারি কারস্টেন (দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত, ১৯৯৬), ১৫৯ বলে খেলেন ১৮৮
এটি টি-টোয়েন্টি যুগেরও অনেক আগের ঘটনা। তখন খুব একটা দেখা মিলতো না চার-ছক্কার ঝনঝনানি। সেই সময়ে রাওয়ালপিন্ডিতে বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১৫৯ বলে করেন ১৮৮ রান। তখন ওয়ানডেতে এটিই ছিল সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। তবে পরের বছরই এই রেকর্ড ভেঙে দেন পাকিস্তানের সাঈদ আনোয়ার।
সৌরভ গাঙ্গুলী (ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা, ১৯৯৯), ১৫৮ বলে ১৮৩
১৯৯৯ বিশ্বকাপে অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলেন ভারতের সৌরভ গাঙ্গুলী। টন্টনের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে 'প্রিন্স অব কলকাতা'র এই ইনিংসটি ছিল সেই সময়ে তাক লাগানো এক ঘটনা। বাঁহাতি এই ব্যাটার ১৫৮ বলে খেলেন আসরের সর্বোচ্চ ১৮৩ রানের ইনিংস।
স্যার ভিভ রিচার্ডস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম শ্রীলঙ্কা, ১৯৮৭), ১২৫ বলে ১৮১
১৯৮৭ বিশ্বকাপে ঝলক দেখিয়েছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের খুনে মেজাজের এই ব্যাটার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২৫ বলে খেলেন ১৮১ রানের এক ইনিংস। সেই সময়ে প্রায় অবিশ্বাস্যই ছিল ইনিংসটি।