কিছুদিন আগেই মদকাণ্ডে পাঁচ ফুটবলারের জন্য বন্ধ হয়েছিল জাতীয় দলের দরজা। একইসঙ্গে নিজেদের ক্লাব থেকেও তারা পেয়েছিলেন বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই মদকাণ্ডে অভিযুক্ত হলেন জাতীয় হকি দলের ম্যানেজার মাহবুব রানা।
এশিয়ান গেমস চলাকালে মদ পান করে রানা তার সাবেক সতীর্থকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ এসেছে। শুধু মারধর করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। রীতিমতো হত্যার হুমকি দিয়ে বসেন জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় মুজাহিদুল ইসলাম শিপলুকে।
এসব ঘটনা উল্লেখ করে এরই মধ্যে ফেডারেশনের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন শিপলু।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘হকি ফেডারেশনের শীর্ষ কর্তাদের সামনেই এসব করেছে সে, তার পক্ষে তো দেশে অবস্থানরত আমার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করা অসম্ভব কিছু নয়। সে কারণে পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্নতার মধ্যে দিন কাটছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গায়ে হাত তুলেই ক্ষান্ত হননি রানা, ক্ষমতাসীন দলের সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়ে ফেডারেশনের দুই শীর্ষ কর্তার সামনেই দেশে থাকা আমার পরিবারের সদস্যদের গুলি করে হত্যার হুমকিও দেন তিনি।’
ঘটনার বিষয়ে মাহবুব রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সবকিছু অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘শিপলুর কাছে আমি টাকা চাইতে যাব কেন? কেনই বা তাকে আমি হুমকি দিতে যাব। সে আমার বন্ধু। হাংঝুতে আমি, শহিদুল্লাহ টিটু, আরিফুল হক প্রিন্স ও শিপলু একসঙ্গে সময় কাটিয়েছি। হুমকি-ধমকি কিংবা অর্থ দাবি করার প্রশ্নই আসে না।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রশিদ শিকদার। তিনি বলেন, ‘এমন কিছু আমার জানা নেই। আপনি বরং অভিযোগকারী ও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার সঙ্গে কথা বলুন।’
এর আগে মালদ্বীপে খেলতে গিয়ে ৬৪ বোতল মদ এনে এয়ারপোর্টে ধরা খেয়ে আর্থিক জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিলেন জাতীয় দলের পাঁচ ফুটবলার। এরা হলেন, তপু বর্মণ, আনিসুর রহমান জিকো, তৌহিদুল আলম সবুজ, শেখ মোরসালিন ও রিমন হোসেন।