ভারতকে হারিয়ে রেকর্ড ছয়বারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা নিজেদের ঝুলিতে পুড়েছে অস্ট্রেলিয়া। এরপর থেকেই অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন অজিরা। প্যাট কামিন্সদের অভিনন্দন জানানোর দীর্ঘ তালিকায় বীরেন্দ্র শেবাগ, শচীন টেন্ডুলকারসহ অনেক ভারতীয়ই রয়েছেন। তবে পাকিস্তানের সদ্য সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমের অভিনন্দন বার্তায় কিছুটা ভিন্নতা দেখছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা।
অজিদের অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বাবরের ভাষ্য, অভিনন্দন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে কী দাপুটে পারফরম্যান্স!
বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটারের এই অভিনন্দনবার্তাকে কোহলির প্রতি ‘প্রতিশোধ’ হিসেবে দেখছেন অনেক পাকিস্তানি।
কী প্রতিশোধ? সেই গল্প বুঝতে বা জানতে এক বছর পেছনে যেতে হবে। গেল বছরের নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। সেদিন ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কোহলি লেখেন, অভিনন্দন ইংল্যান্ড। তোমাদেরই প্রাপ্য। সেই সময়ে একটি ‘থাম্বস আপ’ ইমোজিও জুড়ে দেন কিং কোহলি।
এক বছর আগে-পরের বাবর-কোহলির স্টোরির পার্থক্য হচ্ছে, ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জেতার মুহূর্তের একটি ছবি জুড়ে দিয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু বাবর তা করেননি। বাবরের অভিনন্দনবার্তায় কোনো ছবি নেই; বরং রয়েছে কালো ব্যাকগ্রাউন্ড।
তবে অমিলের মধ্যেই মিল খুঁজে পাচ্ছেন পাকিস্তানি সমর্থকেরা। সেটা হলো অভিনন্দনবার্তার ভাষায়।
কোহলি ও বাবর দুজনেই শুধু জয়ী দলের নাম নিয়েছেন। দুজনেই বিজয়ী দলের প্রশংসা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের জিও সুপার এক প্রতিবেদনে লিখেছে, যদিও বাবর আজমের বক্তব্য ভালোভাবেই বোধগম্য, ভক্তরা জল্পনা করছেন, পাকিস্তানি ক্রিকেটার গত বছর ইংল্যান্ডকে বিরাট কোহলির অভিনন্দনবার্তার প্রত্যুত্তর দিতে চেয়েছেন কি না।
প্রতিবেদনে জুড়ে দেওয়া কয়েকটি এক্স পোস্টে দেখা যায়, কোহলি ও বাবরের ইনস্টাগ্রাম স্টোরির স্ক্রিনশট ছবির সঙ্গে লেখা, কোহলি মজা নিয়েছিলেন, বাবর প্রতিশোধ নিলেন।