২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। এবার ইংল্যান্ডের সাবেক এই তারকা খেলোয়াড় মারাত্মক স্বীকারোক্তি দিলেন। তিন বছর আগের অভিজ্ঞতা সবার সাথে ভাগ করে নিলেন অ্যান্ড্রু।
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর অভিনয় জগতে ঢুকেছিলেন ইংলিশদের সাবেক অধিনায়ক। ২০২২ সালে একটি শুটিংয়ের সময় দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন ফ্লিনটফ। সেই সময় ফ্লিনটফের মনে হয়েছিল, মরে গেলে বেঁচে যাবেন তিনি।
ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ফ্লিনটফকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র শীঘ্রই মুক্তি পাবে। তার আগে একটি সাক্ষাৎকারে পুরোনো দিনের কথা শেয়ার করলেন তিনি। ২০২২ সালে ‘টপ গিয়ার’ নামের একটি ছবির শুটিংয়ে মরগ্যান সুপার ৩ নামের একটি তিন চাকার গাড়ি চালাচ্ছিলেন ফ্লিনটফ। গাড়িটি সর্বাধিক ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার গতিবেগে চলতে পারে। গাড়ি চালানোর সময় উল্টে যায়। মাথায় হেলমেট পরা থাকলেও গুরুতর জখম হন ফ্লিনটফ।
ইংল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডারের মাথায় বড় চোট লাগে। তার পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়। আরও অনেক জায়গায় গুরুতর চোট লাগে। বেশ কিছু দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেই সময় তিনি ভেবেছিলেন, আর সুস্থ হতে পারবেন না। সেই সময়ের ঘটনা নিয়ে ফ্লিনটফ বলেন, দুর্ঘটনার পরে আমার মনে হয়েছিল, আর সুস্থ হতে পারব না। আর কোনো দিন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব না। এত যন্ত্রণা হতো যে মনে হতো, মরে গেলে বেঁচে যাই। মনে হতো, এ ভাবে বেঁচে থাকার থেকে মরে যাওয়াই ভালো।
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর আমি ভাবিনি বেঁচে ফিরব। ভাবছিলাম, মরে গেলেই ভালো হয়। নিজের মৃত্যু চাইছিলাম। আমি নিজেকে মেরে ফেলতে চাইনি। শুধু ভাবছিলাম যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে। মনে হয়েছিল, সেটা বোধহয় অনেক সহজ হবে।
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন ফ্লিনটফ। এখন টেলিভিশন ও রেডিওতে উপস্থাপকের কাজ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটই ইংলিশদের হয়ে খেলেছেন সাবেক এই অলরাউন্ডার। ৭৯টি টেস্ট খেলে ৩,৮৪৫ রান, ১৪১টি এক দিনের ম্যাচ খেলে ৩,৩৯৪ রান ও সাতটি টি-টোয়েন্টি খেলে ৭৬ রান করেন তিনি। সেই সঙ্গে সাদা পোশাকে বল হাতে ২২৬, এক দিনের ম্যাচে ১৬৯ ও টি-টোয়েন্টিতে পাঁচটি উইকেট রয়েছে তার নামের পাশে। পেশাদার বক্সার হিসাবেও একটি ম্যাচ খেলেছেন ফ্লিনটফ।
আরটিভি/এসকে/এস
