‘ইসরায়েল-ফিলিস্তিন’ যুদ্ধের আঁচ শুধু সেই দুই দেশে নয়, পড়েছে বহু দেশেও। ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপের বেশ কিছু ম্যাচে কয়েকজন সমর্থকদের হাতে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ প্ল্যাকার্ড দেখা গিয়েছিল। এবার একই ঘটনা দেখা গেল পাকিস্তানের জাতীয় টি-২০ টুর্নামেন্টে। তবে এবার গ্যালারিতে থাকা কোনো সমর্থকদের থেকে নয়, এমন বিতর্কিত-কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মঈন খানের ছেলে আজম খান।
রোববার (২৬ নভেম্বর) পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টিতে করাচি হোয়াইটসের হয়ে ব্যাট করতে নামেন আজম খান। ব্যাটে ফিলিস্তিনির পতাকা লাগানো একটি ব্যাট নিয়ে ক্রিজে আসেন এই ব্যাটার। ম্যাচ চলাকালে যখন আম্পায়ারের নজরে আসে বিষয়টি, তখন তাকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়। কিন্ত আজম খান বিষয়টি মেনে নেননি। এই কারণে শেষ পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হলো এই ব্যাটারকে।
মাঠে নামার আগে যদি আম্পায়ারের অনুমতি নিয়ে নামতেন তিনি, তাহলে হয়তো তার জমিমানা হতো না। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। এজন্য আজমকে ‘ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। এমনকি আজম খানের সব ব্যাটেই ফিলিস্তিনের পতাকার স্টিকার রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। লাহোর ব্লুজের বিরুদ্ধে এদিন ব্যাট হাতে ৩৫ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজে প্রকাশিত খবরে এক ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেন, ‘এর আগেও এমন বিতর্কিত ব্যাট নিয়ে মাঠে নামতে আজম খানকে বারণ করা হয়েছিল। কারণ, এটা আইসিসির আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। এমনকি ওর সব ব্যাটে একই স্টিকার রয়েছে। এর আগে ওই প্রতিযোগিতা দুটি ম্যাচে ও এমনি ব্যাট নিয়ে খেলতে নেমেছিল যদিও আজকের ম্যাচে ওকে কোনো রকমের সতর্কতা দেওয়া হয়নি।’
আজম খানের ব্যাটে বিতর্কিত প্যালেস্তাইন পতাকার স্টিকার দেখে তাকে তলব করেন ম্যাচ রেফারি মহাম্মদ জাভেদ। এক পিসিবি আধিকারিক জানিয়েছেন, পোশাক এবং সরঞ্জাম বিধি লঙ্ঘন করার জন্য আজম খানকে ‘ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ক্রিকেট মাঠে এর আগে গোটা পাকিস্তান ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ চলাকালীন ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়েছিল। ভারতীয় ক্রিকেট ফ্যান ও প্রাক্তন ভারতীয় তারকাদের তরফ থেকে এই ঘটনার নিন্দে করা হয়েছিল। যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সাফ জানিয়েছিলেন, এগুলো ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারব না।
তবে শুধু পাকিস্তানের ক্রিকেটার নয়, এই তালিকায় ছিলেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিমের তারকা পিঞ্চ হিটার ব্যাটার মঈন আলীও। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন যুদ্ধে ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ১২ হাজারের বেশি সাধারণ মানুষ। এবার দেখার বিষয় এই যুদ্ধের পরিণতি কি হয়? কোথায় গিয়ে হবে এর শেষ?