পান্তা ভাত খেয়ে কাবাডি প্লেয়ার হওয়া যায় না!

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

রোববার, ২৬ মে ২০২৪ , ১১:৫২ এএম


কাবাডি
ছবি- সংগৃহীত

কৌশলের সাথে শারীরিক শক্তির বিষয়টি জড়িত কাবাডি খেলায় সফলতার পেছনে।  কৌশলে  শীর্ষ দলগুলোর সাথে বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারলেও আন্তর্জাতিক কাবাডিতে পিছিয়ে পড়ে ফিটনেসের ঘাটতির কারণে। যেখানে ভারত-ইরানের মতো দলগুলো অনেকটাই এগিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে। এশিয়াডে কিংবা বিশ্বকাপে খেলতে গেলে সে বিষয়টিই ফুটে ওঠে বাংলাদেশের খেলায়।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় দলের কোচ সুবিমলচন্দ্র দাসের মন্তব্য, ‘ইরানের সঙ্গে তুলনা করলে আমরা ফিজিক্যালি একটু দুর্বল আছি। কিন্তু টেকনিক্যালি অনেক সময় আমাদের কিছুটা ঘাটতি থেকে যায়। যার জন্য ইরানের সঙ্গে আমরা পেরে উঠি না।’

জাতীয় দলের আরেক কোচ আব্দুল জলিলের মতে, খাবারে ঘাটতি থাকার কারণেই শারীরিকভাবে দুর্বল বেশিরভাগ খেলোয়াড়। ফেডারেশনও স্বীকার করছে সে কথা। খাবারের চাহিদা পূরণের সামর্থ্য নেই তৃণমূল থেকে উঠে আসা খেলোয়াড়দের।

বিজ্ঞাপন

আব্দুল জলিল জানালেন, একমাত্র জাতীয় দলে যখন আসে, তখন আমরা এই প্রোটিন তাদের দিতে পারি। অন্য জায়গায় আমাদের দায়িত্ব থাকে না।

কাবাডি ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান গাজী মোজাম্মেল হক বলছেন, পান্তা ভাত খেয়ে এসে যখন অনুশীলন করে, তখন তার শারীরিক ক্ষতি কিন্তু পূরণ হয় না।

ফেডারেশন বলছে সমস্যা সমাধানে পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে ফেডারেশন। শারীরিকভাবে ফিট খেলোয়াড় তৈরিতে স্কুল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় তৈরির কথা ভাবছে তারা।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া আর্থিক নিশ্চয়তা দিতে কাবাডি খেলোয়াড়দের পুলের আওতায় আনার কথাও বলছে ফেডারেশন। ভাবছে ভারতের প্রো কাবাডির আদলে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগও আয়োজন করতে।

কাবাডির হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলোকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission