৩৪ শটের টাইব্রেকারে ইউরোপিয়ান রেকর্ড, ইউরোপা লিগে আয়াক্স
ফুটবল মাঠে গোল করা থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের বিভিন্ন ধরনে রেকর্ড ভাঙা এবং গড়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। এবার নতুন এক ইতিহাসের সাক্ষী হলো ইউরোপের ফুটবল ভক্তরা। ৩৪ শটের টাইব্রেকারে প্যানাথিনাকসকে ১৩-১২ গোলে হারিয়েছে আয়াক্স আমস্টারডাম। এতে ইউরোপা লিগের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে আমস্টারডাম।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ১-১ গোলে সমতায় থেকে নির্ধারিত সময় শেষ হলে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে। আর সেই যে টাইব্রেকার যে শুরু হলো, আর শেষ হওয়ার নামই নেই! শেষ পর্যন্ত ৩৪ শটে গিয়ে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ হয়। এটি বিশ্বরেকর্ড না হলেও ইউরোপিয়ান রেকর্ড।
জয় নিশ্চিত হওয়ার পর আয়াক্স ফুটবলাররা উল্লাস মেতে ওঠেন গোলরক্ষক রেমকো পাসভিরকে নিয়ে। কারণ, পাঁচটি শট ঠেকিয়ে ম্যাচ জয়ের অন্যতম নায়ক তিনি।
এদিন দুটি দলই শট নেয় ১৭টি করে। ছয়জন ফুটবলার দুবার করে শট নেন। দুবারই সেখানে গোল করতে ব্যর্থ হন আয়াক্সের ব্রায়ান ব্রোভি। কিন্তু তা সত্ত্বেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। ডাচ ক্লাবটির হয়ে টাইব্রেকারে জয়সূচক গোলটি করেন আন্তোন গায়েই। পুরো টাইব্রেকারে সময় ব্যয় হয় ২৫ মিনিট।
ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার কোনো ম্যাচেই পেনাল্টি শুটআউট এতো দীর্ঘ হয়নি। ২০০৭ সালে অনূর্ধ্ব-২১ ইউরোতে ৩২ শটের টাইব্রেকার দেখা গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস-ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচে। বিশ্বরেকর্ড ভাঙার পথটা অবশ্য আরও দূরে। ইসরায়েলের তৃতীয় স্তরের লিগে দিমোনা ও শিমশনের মধ্যকার ম্যাচের ফল বের করতে ৫৬ শটের টাইব্রেকার অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যারাথন টাইব্রেকারে জয়ের পর আয়াক্স কোচ ফ্রান্সেসকো ফারিওলি বলেন, অবিশ্বাস্য। দলের উদ্দীপনা ও নিবেদন ছিল অসাধারণ। আমরা নিখুঁত ছিলাম, তবে এটা বলতে পারি না যে, খেলোয়াড়রা তাদের সবটুকু দেয়নি। এমন একটি ম্যাচের পর পেনাল্টি শুটআউটে যাওয়াটা কঠিন। হয়তো একটু বেশি সময় লেগেছে। তবে আত্মবিশ্বাসের জন্য এটা খুবই জরুরি।
মন্তব্য করুন