লুইস-অ্যাথানেজের স্বপ্নভঙ্গ তাইজুল-মিরাজে, ফিরলেন নার্ভাস নাইন্টিজে
নার্ভাস নাইন্টিজে এসে পা হড়কালেন মিকাইল লুইস ও অ্যালিক অ্যাথানেজ। আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি থেকে মাত্র তিন রান দূরে থাকতে লুইস ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ক্যাচ দিয়ে। এর কিছুক্ষণ বাদেই তাইজুল ইসলামের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ৯০ রান নিয়ে সেই পথ অনুসরণ করেছেন অ্যাথানেজও। অবশ্য যেতে যেতে স্বাগতিকদের দাঁড় করিতে গেছেন শক্ত ভীতে।
অবশ্য ৯০ রানে থাকতেই লুইসকে আউট করার সুযোগ এসেছিল মিরাজের সামনে। কিন্তু স্লিপে তার ক্যাচটি হস্তগত করতে ব্যর্থ হন টাইগার অধিনায়ক। কিন্তু ৯৭ রানে তাকে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন সেই স্লিপেই। এবার স্লিপে শাহাদাত হোসেন ক্যাচটি ধরায় আগের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারলেন মিরাজ। ৭৫তম ওভারে দ্বিতীয় বলে লুইসের উইকেটটি পেলেন মিরাজ।
অবস্থাদৃষ্টে বোঝাই গেছে, লুইস ভুগেছেন নার্ভাস নাইন্টিজের চাপে। ৬৪তম ওভারে এই ওপেনারের রান যখন ৯০, অ্যাথানেজ অন্য প্রান্তে তখন ৪৯ রানে অপরাজিত। লুইস এই পথে নিজের স্কোরে আরও ৭ রান যোগ করার সময় অ্যাথানেজ পৌঁছেছেন ৮৯ রানে! প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির জন্য বেশ অধৈর্যই হয়ে পড়েছিলেন লুইস। ৯০ পেরিয়ে বেশ কিছু আলগা শট খেলেছেন। আউটও হলেন তেমন এক শটেই। এর মধ্যে দিয়ে চতুর্থ উইকেটে দুজনের ১৪০ রানের জুটিও ভাঙে। ২২১ বলের এ জুটিতে লুইসের অবদান ১০২ বলে ৪৫। অ্যাথানেজের ১১৯ বলে ৮৯।
এরপর ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে আগমন ঘটে জাস্টিন গ্রিভসের। কিন্তু ব্যক্তিগত রানের খাতায় আর একটি মাত্র রান যোগ করেই বিদায় নেন অ্যাথানেজ। নিজের প্রথম সেঞ্চুরির সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছিল বলেই কি না, নার্ভাস নাইন্টিজের ঘরে পা দিয়েই চাপ পেয়ে বসেছিল হয়তো তাকেও।
১৩০ বলে ৯০ রানে আউট হওয়ার আগে সুইপ ও রিভার্স সুইপে বেশ কিছু রান করেন অ্যাথানেজ। নার্ভাস নাইন্টিজের চাপ কাটিয়ে উঠতেই সম্ভবত ৭৭.৪ ওভারে তাইজুলকে সুইপ করার চেষ্টা করেছিলেন অ্যাথানেজ। ঠিকমতো খেলতে পারেননি। বল উইকেটকিপার লিটন দাসের মাথার ওপর ওঠায় সহজ ক্যাচ নিয়েছেন।
লুইস-অ্যাথানেজ জুটির ব্যাটিংয়ের সময় ম্যাচে বেশ পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। দুজনেই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন। কিন্তু তিন ওভারের ব্যাবধানে তাদের চলে যাওয়ায় উল্টো চাপে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আরটিভি/এসএইচএম
মন্তব্য করুন