নিরাপত্তার দোহায় দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যায় ভারত দল। তাদের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তাদের একগুঁয়েমিতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বাকি দলগুলো। রোহিত-কোহলিরা যেখানে একই ভেন্যুতে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে, আর বাকি দলগুলো ভ্রমণ ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এর মাঝেই ভারতের বাড়তি সুবিধার বিষয়ে মুখ খুলেছেন একাধিক ক্রিকেটার। তবে তা মানতে নারাজ গৌতম গম্ভীর। কিন্তু ভারতীয় কোচ না মানলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভ্রমণ-ঝক্কির একটি পরিসংখ্যানে যা উঠে এসেছে, তাতে করে যে কেউই ভারতের বাড়তি সুবিধা পাওয়া নিয়ে কথা বলবেন।
সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলা ভারতের ভ্রমণ ০ কিলোমিটার। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ-ঝক্কি সামলাতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডকে, ৭০৪৮ কিলোমিটার। ‘রেডিট পেজ আর ক্রিকেট’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
পাকিস্তান, যারা আনুষ্ঠানিকভাবে আয়োজক, তারাও ৩,১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করেছে। এ ছাড়া, অস্ট্রেলিয়াকেও গুরুত্বপূর্ণ নকআউট ম্যাচের আগে ২,৫০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করতে হয়েছে। বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছে ১,৯৫৩ কিলোমিটার।
অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এই পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেছেন এবং ভারতের নির্দিষ্ট ভেন্যুতে খেলার সুবিধাকে অন্য দলের জন্য ‘বড় অসুবিধা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, টুর্নামেন্ট এগিয়ে যাওয়া ভালো ব্যাপার, কিন্তু ভারত যদি সব ম্যাচ এক ভেন্যুতে খেলে, তাহলে এটি অবশ্যই তাদের জন্য বড় সুবিধা।’
এ ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রাও ঘন ঘন ভ্রমণের কারণে হতাশা প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ পর্ব ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে, ভারতের ‘ঘরোয়া পরিবেশে’ সুবিধাপ্রাপ্তির বিতর্ক এখনও আলোচনার কেন্দ্রে রয়ে গেছে।
প্রথম সেমিফাইনালে আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে ২৬৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে ১১ বল এবং ৪ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে ভারত।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৬৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১২ রান তুলতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে ৫০ রানের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
আরটিভি/এসআর