বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ঘরের মাঠে কলম্বিয়াকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ব্রাজিল। এই ম্যাচে অতিরিক্ত দুইজনসহ মোট ৭ খেলোয়াড়কে বদলি (সাবস্টিটিউট) হিসেবে নামিয়েছে ব্রাজিল। যা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কিন্তু নিয়ম মেনেই ৭ খেলোয়াড়কে বদলি করেছেন দরিভাল জুনিয়র।
শুক্রবার (২১ মার্চ) কলম্বিয়ার বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এরপর তাকে তুলে নেন ব্রাজিল কোচ। আর সপ্তম বদলি হিসেবে নামানো হয় লিও ওরটিজকে।
এর আগে চোটের কারণে খেলার মাঝেই মাঠ ছাড়তে হয় মিডফিল্ডার গারসন ও গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারকে। ফলে তাদের স্থলাভিষিক্ত কাউকে তো নামাতেই হতো। সেটি অবশ্য স্বাভাবিক সাবস্টিটিউটের আওতায় পড়বে না।
ফিফার কনকাশন প্রোটোকল নিয়ম অনুযায়ী– যেকোনো দলই কনকাশন সাবস্টিটিউট করার প্রয়োজন হলে বাড়তি খেলোয়াড় নামানোর অনুমতি পায়। কোনো ফুটবলার যদি ম্যাচের সময় মাথায় আঘাত পান তবে তার জায়গায় একজন নতুন খেলোয়াড় মাঠে প্রবেশ করতে পারবে। এ ছাড়া কোনো দল কনকাশন সাব করলে, বাড়তি একজন খেলোয়াড় বদলি নামাতে পারবে তাদের প্রতিপক্ষরাও।
অর্থাৎ, ইনজুরির কারণে ওই খেলোয়াড় বদলি করার সুযোগ তো থাকছেই, এর বাইরে স্বাভাবিক নিয়মে ৫টি বদল করতে পারে দলগুলো। ব্রাজিল বাড়তি সাব করায় অ্যালিসন ও গারসনের কনকাশন হিসেবে।
২৭ মিনিটে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় গারসনকে, ফলে তার জায়গায় নামানো হয় জোয়েলিন্টনকে। ৭১ মিনিটে কলম্বিয়ার ড্যাভিনসন সানচেজের সঙ্গে সংঘর্ষ লেগে মাথায় আঘাত পান অ্যালিসন। ফলে দুজনকেই মাঠ ছাড়তে হয়। সে কারণে ব্রাজিলের গোলবার সামলাতে নামেন ম্যাথিয়াস বেন্তো।
এর বাইরে ব্রাজিল ভিনিসিয়ুস, ভেন্ডারসন, গুইমারেস, রদ্রিগো ও ম্যাথিউস কুনহার বদলি ফুটবলার নামিয়েছিল। এ ছাড়া ১০ ফুটবলারের ওপর ছিল হলুদ কার্ড দেখলে আর্জেন্টিনা ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা। যা সত্যি হয়েছে দুজনের ক্ষেত্রে, গুইমারেস ও গ্যাব্রিয়েল মাগালায়েসের।
পরবর্তী ম্যাচে ব্রাজিল ২৬ মার্চ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তাদের মাঠে খেলতে নামবে। যেখানে গুইমারেস ও গ্যাব্রিয়েলকে ছাড়ায় মাঠে নামতে হবে ব্রাজিলকে।
আরটিভি/এসআর/এস