বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগসহ (বিপিএল) বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান পরিচালনা করে। দুদকের এই অভিযান শুরু হয় দুপুর ১২টায়। দুদকের তিন সদস্যের একটি বিশেষ টিম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুদকের সেই অভিযান নিয়ে গণমাধ্যমকে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘যেদিন দুদক বিসিবিতে অভিযান চালায়, সেদিনই আমি দেশে ফিরি। মনে হয়েছে, তারা নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে এসেছে। বোর্ড হিসেবে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করব। দুদকের যেসব নথি চাওয়া হয়েছে, সিইও তা নিয়ে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।’
বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘তদন্তে কিছু বেরিয়ে এলে আমরা সেটিকে ধামাচাপা দেব না। বরং কঠোর ব্যবস্থা নেব। আমি সিইওকে বলেছি, যেকোনো তথ্য তদন্ত কর্মকর্তারা চাইলে যেন সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হয়। সত্যি কিছু পাওয়া গেলে শাস্তির ব্যাপারে আমরা দ্বিধা করব না।’
এর আগে, অভিযান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দুদক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘দুদকের প্রধান কার্যালয়ের থেকে আমরা অভিযান পরিচালনার জন্য আজকে এখানে এসেছি। অভিযোগটির মূল বিষয় ছিল যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিভিন্ন ক্রিকেট লীগের বাছাইপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতি। অবৈধ অর্থসহ নানাবিধ দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজকে মূলত এই এনফোর্সমেন্ট অভিযানটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে আজকে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ ছিল। তার মধ্যে ছিল থার্ড ডিভিশন কোয়ালিফায়িং এর বিষয়ে ২০২৩ সালের টিম সিলেকশন নিয়ে। বিগত বছরগুলোতে কিভাবে হয়েছে সেটা আমরা এখানে এসে দেখেছি। তাদের আবেদনের জন্য ফি নির্ধারণ ছিল ৫ লাখ টাকা। তখন এখানে দুইটা অথবা তিনটা দল আবেদন করত। তা থেকেই তারা বাছাই করত দুইটা দল বা একটা দল। এবার ফি যখন এক লাখ টাকা করে দিল তখন ৬০ টা দল আবেদন করেছে। আমরা ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছি। এই জিনিসগুলো আমরা এখন যাচাই-বাছাই করব।’
দুদকের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আরও একটা ব্যাপার ছিল যে টিকিট বিক্রির বিষয়টি। বিপিএলের তৃতীয় আসর থেকে দশম আসার পর্যন্ত জানেন যে.... বিসিবির অন্যান্য এর থেকে টিকিট সেলিং এর একটা ইনকাম আছে। সেখানে দেখা গেছে যে গত ৮ আসরে ১৫ কোটি টাকা আয় দেখানো হয়েছে। এবার যখন বিসিবি নিজেরা টিকিট বিক্রি করল এবার এগারোতম আসরে তখন দেখা গেল যে আয় ১৩ কোটি টাকা প্রায়।'
উল্লেখ্য, বিসিবির সাবেক সভাপতি পাপনের বিরুদ্ধেও কিছু অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধেও অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক।
আরটিভি/এসকে-টি