যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে ২০২৮ সালে অনুষ্ঠিত হবে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক। আসরটিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে। দীর্ঘ ১২৮ বছর পর অলিম্পিক গেমসে ফিরছে ক্রিকেট। ২০২৮ সালের অলিম্পিকে দেখা যাবে ব্যাটে-বলের লড়াই। অলিম্পিকের সেই আসরে ক’টি দেশ অংশ নেবে তাও নিশ্চিত হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) জানিয়েছে, সোনার পদকের জন্য পুরুষ ও মহিলা বিভাগে ৬টি করে দেশ লড়াই করবে। অলিম্পিক গেমসকে বলা হয় ‘দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’।
এই আসরকে সামনে রেখে ২২ গজে লড়াইয়ে বাড়তি গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে চিন। দল তৈরি করে এখন থেকেই লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে চিনারা।
ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলি পদকের জন্য লড়াই করবে। তবে বড় দলগুলির সোনা জয়ের স্বপ্ন ভেঙে দিতে পারে চিন। এমনই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ।
অলিম্পিকের আসরে চিন অত্যন্ত শক্তিশালী। পদক তালিকায় চিন সব সময় প্রথম দু’দেশের মধ্যে থাকে। প্রথম স্থান দখল নেওয়ার জন্য আমেরিকার সঙ্গে তাদের লড়াই চলে। যে কোনও ইভেন্টে সোনা জয়ই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর থেকে বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে চিনাদের কাছে। এর জন্য প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে তারা।
প্যারিস অলিম্পিকে ৪০টি সোনা, ২৭টি রুপো এবং ২৪টি ব্রোঞ্জ পদক জয় করে চিন। আগামী অলিম্পিকের আসরে ক্রিকেটেও সোনা জিততে চায় তারা। এই বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে স্টিভ বলেন, ‘‘অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পর থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে চিন। ভীষণ গুরুত্ব দিচ্ছে ক্রিকেটে। দল তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। সোনা জিততে চায় চিন।’’
চিন কি পারবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ক্রিকেটে শক্তিশালী দেশগুলোকে টপকে যোগ্যতা অর্জন করতে, কারণ চিনের তো ক্রিকেট খেলায় তেমন অভিজ্ঞতাই নেই। স্টিভ বলেন, চিন যে খেলাকে গুরুত্ব দেয় সেই খেলাতেই অত্যন্ত দ্রুত উন্নতি করে। অলিম্পকের কথা মাথায় রেখে এখন ক্রিকেটকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে চিন। অলিম্পিকে চিনকে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ করে তুলেছে। তাই ওরা অদূর ভবিষ্যতে ক্রিকেটেও অলিম্পিক পদক জয়ের দৌড়ে এগিয়ে থাকলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘‘ব্যাপারটা খুব আকর্ষণীয়। পৃথিবীর নতুন নতুন অংশে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে ক্রিকেট। আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। কারণ পর পর দুটি অলিম্পিকে ক্রিকেট নিশ্চিত।’’
স্টিভ আরও বলেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রভাব এখন দারুণ। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। টি-টোয়েন্টির সুবাদে প্রতি দিন ক্রিকেটের প্রসার হচ্ছে। আগমী দিনে আরও বেশি ২০ ওভারের ক্রিকেট খেলা হবে। ক্রিকেটারেরা আরও বেশি করে লিগগুলির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে। হয়তো এমন দিন আসবে যখন টেস্ট ক্রিকেট খেলার জন্য আলাদা করে অনুমতি নিতে হবে।’’
উল্লেখ্য, এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টি-টোয়েন্টির দলগত র্যাঙ্কিংয়ের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ হতে পারে কারা খেলবে। বর্তমান টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ছয়ে আছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ছাড়া সাতে আছে পাকিস্তান আর বাংলাদেশের অবস্থান নবম স্থানে।
সুতরাং অলিম্পিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে এর মধ্যে ক্রম তালিকায় পরিবর্তনও হতে পারে। তখন টাইগারদের সুযোগ তৈরি হতে পারে।
আরটিভি/এসকে/এআর