পেহেলগামের বন্দুকধারীদের হামলাকে গত দুই সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তবে দুই দেশের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। যার প্রভাব পড়েছে বিমান চলাচলেও। এতে বিপাকে পড়েছে আইপিএলের দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি।
দুই দেশের এমন পাল্টাপাল্টি হামলার কারণে ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভারতের সীমান্তবর্তী ১৮টি বিমানবন্দর। এর ফলে আইপিএলের দুই দল দিল্লি ক্যাপিটালস এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ‘ট্র্যাভেল প্ল্যানে’ পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। বিমানের আরামদায়ক সফর ছেড়ে সড়কপথে যাত্রা করতে হতে পারে তাদের। এ জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে তারা।
আগামী ১০ মে স্থানীয় সময় ভোর ৫.৩০ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ধর্মশালা বিমানবন্দর। পাঞ্জাব কিংস নিজেদের শেষ তিনটি হোম ম্যাচ খেলছে ধর্মশালায়। সেই মাঠে খেলতে গেলে সাধারণত ধর্মশালা বিমানবন্দরেই নামতে হবে দলগুলোকে।
সেই হিসেবে এই মুহূর্তে ধর্মশালায় রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেটাররা। দু’দিন পরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সেরও পৌঁছানোর কথা। তবে বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
আগামীকাল আইপিএলের ৫৮তম ম্যাচের পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে দিল্লি। এরপর একই মাঠে অর্থাৎ ধর্মশালায় খেলতে আসবে মুম্বাই। তাই কী ভাবে এই দুই দল যাতায়াত করবে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। কারণ, ধর্মশালা স্টেডিয়ামের কাছাকাছি আরও যে দুই বিমানবন্দর রয়েছে, সেই অমৃতসর এবং চণ্ডীগড়ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, আপাতত আমরা অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরও বন্ধ থাকায় আমাদের হাতে আর বিকল্প নেই। দেখা যাক কী হয়। দুটো দল ইতিমধ্যে ধর্মশালায় রয়েছে। পরের দিকে মুম্বাইও আসবে।
তিনি আরও বলেন, আপাতত দিল্লি বিমানবন্দর ছাড়া হাতে কোনো বিকল্প নেই। তবে সেখান থেকে সড়কপথে লম্বা যাত্রা করে ধর্মশালা পৌঁছাতে হবে। সরকার কী নির্দেশ দেয়, সবাই সে দিকেই তাকিয়ে।
আরটিভি/এসআর