ম্যাচ কমিশনারকে ধাক্কা মারার অভিযোগে শাস্তি পায় সাদ উদ্দিন। প্রথমে বলা হয় ৬ মাস নিষিদ্ধ তিনি, পরে সেই শাস্তি দুই মাস কমিয়ে ৪ ম্যাচ করা হয়। সোমবার (১৯ মে) অনলাইন জুম বৈঠকে বাফুফের শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাদ উদ্দিনের শাস্তি কমিয়ে চার ম্যাচ করা হয়।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সূত্রমতে, ম্যাচ কমিশনারকে সাদ উদ্দিনের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা শৃঙ্খলা বিধির ৪৫(১) (বি) ধারার আওতায় পড়ে না। বরং এটি ৪৫ (১) (এ) ধারার অধীনে পড়ে। সেই ধারায় সর্বনিম্ন শাস্তি ৪ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। যে কারণে আগের সিদ্ধান্ত সংশোধন করে ৬ মাসের বদলে ৪ ম্যাচ করা হয়েছে।
বাফুফের এক সূত্র বলছে, কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্তে ভুল হতেই পারে। তবে কার্যবিবরণী লেখার সময় কোনো অসংগতি দেখা গেলে সেটি কমিটির সদস্যদের জানিয়ে তারপর শোধরানো উচিত ছিল। সেটা না হওয়ায় আগের সিদ্ধান্তে নাকি ত্রুটি হয়েছে।
ফেডারেশনের আরেক সূত্র বলছে, সাদ উদ্দিন জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তাই সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ১০ জুনের ম্যাচের জন্য যেন জাতীয় দলে বিবেচনায় আসতে পারেন, এ কারণেই তার শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়টিতে লঘু ধারায় দেখা হয়েছে।
বাইলজে বলা আছে, রেফারিকে ধাক্কা মারলে কম করে হলেও ৬ মাস সাসপেন্ড করা হয়। বাফুফের সর্বশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাদ ম্যাচ কমিশনারকে ধাক্কা মেরেছেন। তাহলে শাস্তি কমলো কীভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়েছে, পাঞ্চিং এবং পুশিং এক জিনিস নয়। আইনে পাঞ্চিং বা মুষ্ঠাঘাত আছে ছয় মাস শাস্তির ক্ষেত্রে।
উল্লেখ্য, সাদ উদ্দিনের পাশাপাশি বসুন্ধরা কিংসের সহকারী কোচ মাহবুব হোসেন রক্সিও চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হন। ফলে চলতি মৌসুমে তিনি আর ডাগআউটে দাঁড়াতে পারবেন না। ভবিষ্যতের জন্য তাকে কড়া সতর্কতা প্রদান করা হয়।
আরটিভি/এসকে/এস