ঢাকাসোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

টাইগারদের লজ্জায় ডুবিয়ে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় আরব আমিরাতের

ক্রীড়া প্রতিবেদক, আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫ , ০৮:২৩ এএম


loading/img
আরব আমিরাত দল। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম ম্যাচ হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল আরব আমিরাত। এই জয়কে অনেকেই অঘটন বলে ব্যাখ্যা করেছিল। তবে তৃতীয় ম্যাচে ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে স্বাগতিকরা। এতে টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি ঘরে তুলেছে আরব আমিরাত।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২১ মে) আগে ব্যাট করতে নেমে আরব আমিরাতকে ১৬২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে আরব আমিরাত। এতে সিরিজ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।

লক্ষ্য ছিল ১৬৩ রানের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। মারকুটে আরব আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম বাঁহাতি পেসারের সুইংয়ে ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে। তানজিদ তামিমের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে ৬ বলে ওয়াসিম করেন ৯।

বিজ্ঞাপন

তবে ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লেতে দারুণ ব্যাটিং করে আরব আমিরাত। ৬ ওভারে তোলে ১ উইকেটে ৫০ রান। অবশেষে অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়েই ব্রেক থ্রু দেন রিশাদ হোসেন। ২৩ বলে ২৯ করে বোল্ড হন মোহাম্মদ জুহাইব।

এরপর জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন আলিশান শারাফু আর রাহুল চোপড়া। তাদের ২০ বলে ২১ রানের জুটি ভাঙেন তানজিম সাকিব। স্লোয়ার বাউন্সারে রাহুলকে (১৩ বলে ১৩) শামীম পাটোয়ারীর ক্যাচ বানান তিনি।

তবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান আলিশান। রিশাদকে ছক্কা মেরে ৩৮ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। এরপর আসিফ খানকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসেন আলিশান। চতুর্থ উইকেটে তারা ৫২ বলে ৯১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। আলিশান ৪৭ বলে ৬৮ আর আসিফ ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ডাক আউট হন প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা পারভেজ হোসেন ইমন। 

বিজ্ঞাপন

এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি লিটন কুমার দাসও। ১০ বলে ১৪ রান করে ফেরেন এই টাইগার অধিনায়ক। ৯ বলে ২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শেখ মাহেদী।

তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালাতে থাকেন তানজিদ হোসেন তামিম। কিন্তু ফিফটি তুলতে পারেননি তিনি। ১৮ বলে ৪০ রান করে বোল্ড আউট হন তামিম। এরপর শামীমকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন জাকের আলী।

কিন্তু ১২ বলে ৯ রান কট আউট হন শামীম। এতে দলীয় ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। দুই বল পরেই সাজঘরে ফেরেন রিশাদ। তবে তানজিম সাকিবকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন জাকের আলী। ৬ বলে ১২ রান করে সাকিব বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়লে পিচে আসেন হাসান মাহমুদ।

দুজনের ব্যাটে ভর করে ১০০ রানের কোটা পর করে বাংলাদেশ। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি জাকের। ১৯তম ওভারের প্রথম ছক্কা মরার পর বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

শেষ দিকে ব্যাট চালাতে থাকেন শরিফুল ও হাসানও। হাসান মাহমুদের ১৪ বলে ২৫ রান এবং শরিফুল ইসলামের ৭ বলের অপরাজিত ১৬ রানে ভর করে ১৬২ রানের পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ।

আরটিভি/এসআর/এআর

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |