ভারতের ওড়িশার পুরী সমুদ্রসৈকতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলীর ভাই স্নেহাশিষ গাঙ্গুলী এবং তার স্ত্রী অর্পিতা গাঙ্গুলী। এ সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন তারা।
রোববার (২৫ মে) সমুদ্রের বিশাল ঢেউয়ে একটি স্পিডবোট উল্টে গেলে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন তারা। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাঙ্গুলী পরিবার সমুদ্র সৈকতে জলক্রীড়া উপভোগ করছিলেন। তবে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তাল সমুদ্রে স্পিডবোটটি উল্টে গেলে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মীরা পর্যটকদের উদ্ধারে দ্রুত এগিয়ে আসেন। উদ্ধারকার্য পরিচালনার সময় রাবারের ভাসমান যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
দুর্ঘটনার জন্য বোট কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন অর্পিতা গাঙ্গুলী। তিনি বলেন, স্পিডবোটে মাত্র ১০ জনের ধারণক্ষমতা থাকলেও মাত্র ৩-৪ জনকে তোলা হয়েছিল। এতে বোটটি অতিরিক্ত হালকা হয়ে যায় এবং বিশাল ঢেউয়ের আঘাতে তা উল্টে যায়।
তিনি আরও বলেন, সমুদ্র ছিল অত্যন্ত উত্তাল। আমরা শুরুতেই শঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম। কিন্তু বোট অপারেটররা নিশ্চিত করেছিলেন যে, কোনো সমস্যা হবে না। যদি লাইফগার্ডরা না আসতেন, তাহলে হয়তো আমরা বাঁচতে পারতাম না। এখনও আতঙ্ক কাটছে না। আমার জীবনে এই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়নি। ফেরিতে আরও বেশি লোক থাকলে এই দুর্ঘটনা হতো না।
সমুদ্রে এই ধরনের জলক্রীড়া বন্ধ করার দাবি তুলেছেন অর্পিতা। তার ভাষ্য, এখানে এই ধরনের জলক্রীড়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কলকাতায় গিয়ে পুলিশ সুপার ও মুখ্যমন্ত্রীকে আমি চিঠি লিখব। তাদের অনুরোধ করব, পুরীর সমুদ্রে জলক্রীড়া বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।
উল্লেখ্য, স্নেহাশিষ গাঙ্গুলী বর্তমানে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সামনেই বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগ রয়েছে। তার পরে বাংলার ক্রিকেট সংস্থায় নির্বাচন। তার আগে স্ত্রীর সঙ্গে পুরীতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন তিনি।
আরটিভি/এসআর