নতুন লিঙ্গ যাচাই নীতিমালা তৈরি করেছে বিশ্ব বক্সিং ফেডারেশন। আর এই পরীক্ষার জন্য আলজেরিয়ান স্বর্ণজয়ী বক্সার ইমান খলিফের নাম সরাসরি উল্লেখ করে তোপের মুখে পড়েছে ফেডারেশন। এই জন্য ইমান খলিফের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট বরিস ভ্যান ডার ভোর্স্ট।
আলজেরিয়ান স্বর্ণজয়ী বক্সার ইমান খলিফের নাম সরাসরি উল্লেখ করে ফেডারেশন গত শুক্রবার তাদের নতুন বাধ্যতামূলক লিঙ্গ পরীক্ষার নীতিমালা ঘোষণা করে। এতে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে বক্সিং দুনিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
গত সোমবার (২ জুন) আলজেরিয়ান বক্সিং ফেডারেশনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বরিস লিখেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইমান খলিফের গোপনীয়তা রক্ষা করা উচিত ছিল, সেটি আমরা বুঝতে পেরেছি। এই যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা আপনাদের এবং খেলোয়াড়দের প্রতি আমাদের সম্মান জানাতে চাই।
লিঙ্গ-সংক্রান্ত অজানা একটি ‘যোগ্যতা পরীক্ষায় ব্যর্থ’ হওয়ায় ২০২৩ সালের ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ইমান খলিফ ও তাইওয়ানের আরেক স্বর্ণজয়ী লিন ইউ-টিংকে বাদ দিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ)।
তবে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) আগের নীতিমালা অনুসরণ করে তাদের অলিম্পিকে খেলার অনুমতি দেয়। প্যারিস অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী এই দুই বক্সার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। এরপর বিশ্ব বক্সিং নতুন করে লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য কঠোর নীতিমালা চালু করে।
ইমান খলিফ ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে তার স্বর্ণপদক ধরে রাখার পরিকল্পনা করেছেন। এ মাসেই তিনি নেদারল্যান্ডসে অনুষ্ঠিতব্য ‘আইন্ডহোভেন বক্স কাপ’-এ অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তবে তার অংশগ্রহণ নিয়ে ইতোমধ্যেই কিছু বক্সার ও ফেডারেশন প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্ব বক্সিং-এর নতুন নীতিমালা এবং খলিফকে প্রকাশ্যে নাম করায় আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে লিঙ্গ এবং গোপনীয়তার প্রশ্নে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বিশ্ব বক্সিংয়ের নতুন নীতিমালা অনুসারে, আগামী ১ জুলাই থেকে সব প্রতিযোগিতায় ১৮ বছরের বেশি বয়সী খেলোয়াড়দের জেনেটিক পিসিআর পরীক্ষার আওতায় আনা হবে। মুখের লালা, রক্ত বা সোয়াব নমুনা নিয়ে খেলোয়াড়ের জন্মগত ক্রোমোজোম যাচাই করা হবে।
নারীদের বিভাগে অংশ নিতে ইচ্ছুক যাদের মধ্যে পুরুষ ক্রোমোজোম পাওয়া যাবে, তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জেনেটিক ও হরমোনাল স্ক্রিনিং, শারীরিক পরীক্ষা ও এন্ডোক্রিন প্রোফাইল বিশ্লেষণ করা হবে। তবে এতে আপিল করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
আরটিভি/এসআর/এস