জাপানি ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি কাজুয়োশি মিউরা ভক্তদের কাছে যিনি পরিচিত ‘কিং কাজু’ নামে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৫৮ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি। বয়সের ছাপ উপেক্ষা করে এখনও পেশাদার ফুটবলে খেলে যাচ্ছেন তিনি। ৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এবার মাঠে ফিরলেন নতুন করে, নতুন উদ্যমে।
গত বছর জুনে জাপানের চতুর্থ স্তরের ক্লাব সুজুকায় ধারে দেড় বছরের চুক্তিতে যোগ দেন মিউরা। তবে জানুয়ারিতে চোট পেয়ে বেশ কয়েক মাস মাঠের বাইরে ছিলেন। চলতি মার্চে শুরু হওয়া ‘জাপান ফুটবল লিগ’-এ অবশেষে গত ১৫ জুন ইয়োকোহামার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জেতা ম্যাচে মাঠে ফেরেন তিনি। যদিও তিনি খেলেন ম্যাচের শেষ কয়েক মিনিট, তবুও এ বয়সে তার মাঠে ফেরা এক অনন্য ঘটনা।
ম্যাচশেষে মিউরা বলেন, ‘আমি আরও ম্যাচ খেলতে চাই, নিজের মনোভাব দেখাতে চাই। সমর্থন আর সহায়তায় মাঠে ফিরেছি। এখান থেকেই সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’
১৯৮৬ সালে ব্রাজিলের সান্তোস ক্লাবে পেশাদার ফুটবল শুরু করেন মিউরা। এরপর খেলেছেন পালমেইরাস, জেনোয়া, দিনামো জাগরেব, পর্তুগাল ও অস্ট্রেলিয়ার ক্লাবগুলোতে। ১৯৯০ সালে জাতীয় দলে অভিষেক, এরপর ৮৯ ম্যাচে ৫৫ গোল করে জাপানের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে আছেন তিনি।
১৯৯৮ বিশ্বকাপের বাছাইয়ে ১৪ গোল করেও মূল দলে জায়গা না পাওয়ায় জাপানজুড়ে সৃষ্টি হয়েছিল বিতর্ক। নব্বই দশকে তার জনপ্রিয়তা এতটাই বেশি ছিল যে ‘কিং কাজু’ উপাধি পান তিনি।
মিউরা এখনও সবচেয়ে বেশি বয়সে পেশাদার ফুটবলার হওয়ার রেকর্ডধারী নন। এই রেকর্ড আছে মিশরের এজেলদিন মোহামেদ আলি বাহাদের দখলে, যিনি ৭৪ বছর বয়সে মাঠে নেমেছিলেন। তবে কাজু যা করে যাচ্ছেন, তা নিঃসন্দেহে ফুটবল ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
আরটিভি/এসকে -টি