• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

মাঠে থেকেই তামিমকে রেকর্ড ভাঙতে দেখলেন রকিবুল

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৪০
highest First-Class score by a Bangladeshi batsman
ছবি- সংগৃহীত

২০০৬-০৭ মৌসুমে ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) ৩১৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন রকিবুল হাসান। ২০০৭ সালের ২১ মার্চ ফতুল্লায় দুর্দান্ত এই ইনিংস খেলেন ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। যা প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

দীর্ঘ ১৩ বছর পর রকিবুলের করা এই রেকর্ড ভাঙলেন বন্ধু তামিম ইকবাল। যা মাঠে থেকেই দেখতে হয়েছে রকিবুলকে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) পূর্বাঞ্চলের হয়ে খেলছেন তামিম। প্রতিপক্ষ মধ্যাঞ্চলের দলে রয়েছেন রকিবুল।

রোববার শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ৪২৬ বলে অপরাজিত ৩৩৪ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। ৪২টি চার ও তিনটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন বাম-হাতি এই ব্যাটসম্যান।

চলমান এই ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষ তামিম-রকিবুল দুজন মিলেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে দেয়া কেক কেটে রেকর্ড উদযাপর করেন দুজন মিলেই।

ক্যারিয়ারে ত্রিপল সেঞ্চুরি করতে পারবেন সেটা নিয়ে কখনও ভাবেননি। এমটাই জানিয়েছেন তামিম।

‘কোনও সময় চিন্তা করিনি আমি তিনশ করবো। স্বপ্ন সবারই থাকে, তবে এই ম্যাচে হবে এটা ভাবিনি। কত রান করেছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে কিভাবে আমি ব্যাট করেছি।’

১৩ বছর আগে রকিবুল যখন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ত্রিপল সেঞ্চুরি করেন তামিমসহ জাতীয় দলের অন্য খেলোয়াড়রা সেটা নিয়ে অনেকবার কথা বলেছেন।

‘৩০০ রান করা যেকোনও প্রতিপক্ষের বিপক্ষে অথবা যেকোনও লেভেলে অনেক বড় কিছু। যদি এটা সহজ হতো তাহলে প্রতি মাসেই একটা করে ত্রিপল সেঞ্চুরি দেখা যেতো। এটা অনেক স্পেশাল। যা আমার মনে জায়গা করে নিয়েছে। আমি যখনই চিন্তা করতাম রকিবুলের ব্যাপারে, একজনই ছিল যে ৩০০ করেছে, সব সময়ই আমরা বলতাম, কত ধৈর্য্য ৩০০ করে ফেলেছে। ৩০০ করা এতটাও সহজ না। বিশেষ করে আমাদের মতো উইকেটে। যেগুলো সাধারণত স্লো থাকে, স্পিনিং থাকে। আমি সব সময় চিন্তা করতাম করলোটা কেমনে? জাতীয় দলেও এটা নিয়ে আলাপ হত। ছয়শোর মতো বলও খেলেছিলেন তিনি।’ যোগ করেন তামিম।

দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে তামিম যখন এই মাইলফলক স্পর্শ করেন এসময় ফিল্ডিং করছিলেন রকিবুল। এসময় হাত মিলিয়ে অভিনন্দন জানান তিনি।

‘তামিমের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট খেলেছি। অনূর্ধ্ব-১৭ থেকে আমাদের যাত্রা। তখন থেকে তিনি আমার অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু। যেভাবে খেলেছেন আমি মনে করি অবশ্যই তিনি এটার প্রাপ্য।’

দীর্ঘ দিনের রেকর্ডটি যখন ভাঙা হচ্ছিল, কি চলছিল রকিবুলের মনে?

‘ক্রিকেটার হিসেবে যদি বললে, অবশ্যই চাচ্ছিলাম আমার রেকর্ডটা উপরে থাক। তামিম যে মানের ব্যাটসম্যান, তার ব্যাট থেকে রেকর্ডটি ভাঙা হয়েছে তা সত্যি অসাধারণ।’

ওয়াই

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এনসিএল দিয়ে মাঠে ফিরছেন তামিম
চলতি বছর দেশের জার্সিতে মাঠে নামা হচ্ছে না মুশফিকের
চমক নিয়ে আসছে এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট
এনসিএল টি-টোয়েন্টি উদ্বোধনে সিয়াম ও আমিন খান