অভিষেক টেস্টের দুজনকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ
ইডেন গার্ডেনসে বাংলাদেশ-ভারত দিবা-রাত্রির টেস্টকে সামনে রেখে ব্যাপক আয়োজন। বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট একাদশে থাকা খেলোয়াড়দেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের (সিএবি) পক্ষ থেকে। ২০০০ সাল সালে ঢাকার মাটিতে ভারতের বিপক্ষে ওই টেস্ট নাইমুর রহমান দুর্জয়ের নেতৃত্বে সাদা পোশাকের প্রথম দলটিতে ছিলেন মেহরাব হোসেন অপি, শাহরিয়ার হোসেন, হাবিবুল বাশার সুমন, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, আকরাম খান, আল শাহরিয়ার রোকন, খালেদ মাসুদ, মোহাম্মদ রফিক, হাসিবুল হোসেন ও রঞ্জন দাস (বর্তমানে মাহমুদুল হাসান)। এই একাদশে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে মাত্র দুইজন যাচ্ছেন না কলকাতায়। এমটাই জানিয়েছেন দুর্জয়।
বুধবার ঢাকা ছাড়ার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক বলেন, ‘আমি আজকেই যাচ্ছি, আকরাম ভাইও আজ যাচ্ছে। বাকীরা সবাই কালকে যাবে। দুর্ভাগ্যবশত দুজন মিস করবে। আমিনুল ইসলাম বুলবুল ভাই উনি জানিয়েছেন উনি যোগ দিতে পারছেন না। আল শাহরিয়ার রোকন নিউজিল্যান্ডে। সেখান থেকে আসা কঠিন। ভিসা করতে আরও সময় লাগবে। এই দুজনই মিস করছে। তাছাড়া বাকিরা কালকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে পৌঁছে যাবে।
শুক্রবার থেকে শুরু হতে চলা গোলাপি বলের এই ক্রিকেট ম্যাচকে কেন্দ্র করে কি কি আয়োজন থাকছে?
‘আসলে এখনও পর্যন্ত আমরা সূচি পাইনি অনুষ্ঠানের। যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন ২২ তারিখ, একটি হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ঘণ্টা বাজিয়ে উদ্বোধন করবেন। বিরতিতে হয়তো কিছু সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম থাকতে পারে, আর শেষে একটি প্রোগ্রাম আছে। এটুক জানি কিন্তু এত বিস্তারিত কিছু জানিনা গেলেই বুঝতে পারবো।
অভিষেক টেস্টের ক্যাপ বা অন্য কিছু নিয়ে যাচ্ছেন কিনা?
হেসে জবাব দিয়ে নাইমুর রহমান দুর্জয় বললেন, ‘আসলে সবারই সাইজ পরিবর্তন হয়ে গেছে। অভিষেক টেস্টের ব্লেজার কারও গায়েই লাগবেনা। তো বোর্ড থেকে নতুন করে অভিষেক টেস্টের ক্রিকেটারদের ব্লেজার, ট্র্যাকস্যুট এসবের ব্যবস্থা করছি।’
বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গাঙ্গুলিরও। যিনি বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিসিসিআই) সভাপতি।
এই টেস্টের মাধ্যমে সিএবির সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো হবে বলে আশা করেন দুর্জয়।
বিসিবির এই কর্তা বলেন, ‘ভারত এবং বাংলাদেশ বোর্ডের সম্পর্ক বেশ পুরোনো ও ভালো ছিল। ভারত শুরু থেকেই বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে। বিশেষ করে টেস্টের ক্ষেত্রে অনেক বড় বড় দল বিরোধিতা করেছিল বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস নিয়ে। সেসময়ও কিন্তু ক্রিকেট ডিপ্লোমেসির মাধ্যমে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ওপার থেকে ভারতীয় বোর্ড সভাপতি জাগমোহন ডালমিয়া অনেকটা খোলাখুলি সমর্থন দিয়েছেন বাংলাদেশকে। এটা যদি সবসময় হয়ে থাকে, এখনো আইসিসিতে মিটিংগুলোতে দেখা যায় ভারত বাংলাদেশের পক্ষে থাকে অনেক ইস্যুতেই। সেগুলো আরও জোরদার করার ব্যাপারে এটি আরও সাহায্য করবে।’
ওয়াই
মন্তব্য করুন