যাদের সেঞ্চুরি উৎসর্গ করলেন তামিম-আল আমীন (ভিডিও)
দুই দিনের অনুশীলন ম্যাচের সব রোমাঞ্চ জমে ছিল শেষ দিনের শেষ সেশনে। দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নামা বিসিবি একাদশকে ভোগায় জিম্বাবুয়ের পেসাররা। বুধবার দিনের প্রথম সেশন শেষ করার আগেই হারিয়ে বসে ৫ উইকেট।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলে আসা আকবর-পারভেজরা ব্যর্থ হোন রান করতে। শুরুটা হয় নাঈম শেখকে দিয়ে।
দলীয় ২০ রানের মাথায় ১১ রানে নাঈম শেখ ফেরার পর একে একে মাহমুদুল হাসান জয় (১), শাহাদাৎ হোসেন (২), ও আকবর আলী (১) ফেরেন সাজঘরে।
বিরতিতে যাবার আগে ইনিংস লম্বা করার ইঙ্গিত দিয়েও ব্যর্থ হোন পারভেজ হোসেন ইমন। তার ব্যাটে আসে ৬৬ বলে ৩৪ রান।
বিসিবি একাদশের হয়ে খেলেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের ছয় সদস্য। আকবর, পারভেজ, শাহাদাতরা ব্যর্থ হলেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন একই দলের সদস্য তানজিদ হাসান তামিম।
দলীয় অধিনায়ক আল-আমীনের সঙ্গে ২১৯ রানের জুটি গড়ে দলকে রক্ষা করেন অল-আউট হওয়া থেকে।
দুজনই পান শতকের দেখা। তামিম একশ রান পূর্ণ করেন ওয়ানডে মেজাজে। দশটি চার আর পাঁচটি ছয়ে ৮৭ বলের মাথায় চার হাঁকিয়ে পূর্ণ করেন একশ রান।
শতক হাঁকানো তামিম আরও ক্ষিপ্র হয়ে ওঠেন একশ রান পূর্ণ করার পর। বাম-হাতি এই ব্যাটসম্যানের পর আল-আমীনের শতকের অপেক্ষা। তার শতক পূর্ণ হবার সঙ্গে সঙ্গেই আসে ইনিংস ঘোষণার। বিসিবি একাদশের অধিনায়ক টেস্ট মেজাজে খেলেছেন। ১৪৫ বলে শতক পূর্ণ করেন আল-আমীন। তামিম অপরাজিত থাকেন ৯৯ বলে ১২৫ রানে।
ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের প্রশ্ন ছিল, সেঞ্চুরি কাকে উৎসর্গ করবেন। এমন প্রশ্নে দুজনই বলেন, প্রয়াত দুই কোচের কথা। যাদের হাত ধরে ক্রিকেট শেখা, ক্রিকেটার হওয়া।
তামিম বলেন, ‘বগুড়ার বিভাগীয় কোচ মুসলিম উদ্দিন স্যার আছেন। তিনি কিছুদিন আগে মারা গেছেন। আমার সেঞ্চুরিটা আমি উনাকে উৎসর্গ করতে চাই।
আল-আমীন বলেন, ‘আসলে ওরকম ভাবে চিন্তা তো করিনাই। আমি বলব, যার কাছ থেকে ছোট বেলা থেকে ক্রিকেট শিখেছি উনি চার বছর আগে মারা গেছেন। আল্লাহ’র রহমতে শেষ চার বছরে আমি চারটা সেঞ্চুরি পেয়েছি। আরও যত ভালো ইনিংসগুলো খেলছি। আমি স্যারকে (আবদুল হাদী রতন) অনেক মিস করি। আসলে স্যারকেই উৎসর্গ করছি।
এমআর/ওয়াই
মন্তব্য করুন