ইভানস-ডেসকাটের ব্যাটিংয়ে ছিটকে পড়ল সিলেট
রাজশাহী কিংসকে এবারের আসরের ‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ’ বললে খুব একটা ভুল বলা হবে না। আসরের শুরুতে সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে মেহেদি হাসান মিরাজের নাম ঘোষণা করে শুরু সারপ্রাইজের। এরপর একে একে জায়ান্ট দল ঢাকা, কুমিল্লা, রংপুরকে হারায় তারা। অপেক্ষাকৃত কম শক্তির দল নিয়ে গ্রুপ পর্বটা শেষ করে পয়েন্ট টেবিলের চারে থেকে। আজ চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচে তারা হারায় সিলেট সিক্সার্সকে।
টস জিতে লিটন দাসকে হারিয়ে শুরুটা ভালো না হলেও নিকোলাস পুরান (৭১) ও সাব্বির রহমানের (৪৫) ব্যাটিংয়ে ১৮৯ রানের বড় পুঁজি পায় সিক্সার্সরা।
বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা মনের মতো হয়নি রাজশাহীর। দলীয় ১৪ রানের মাথায় জাকির হাসানের উইকেট হারায় দলটি। দলে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি শাহরিয়ার নাফিস। ১৩ বলে ৯ করে আউট হন তিনি। ক্যারিবীয় ওপেনার জনসন চার্লস ফেরেন ২৬ বলে ৩৯ করে।
৬৪ রানে ৩ উইকেট হারনো রাজশাহীর জয়ের স্বপ্ন যখন ফিকে হতে থাকে তখনই ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান লরি ইভানস। তাকে সঙ্গ দেন রায়ান টেন ডেসকাটে। এই দুই ডান-হাতি ব্যাটসম্যানের ৪৫ বলে ১০৯ রানের জুটি ম্যাচে ফেরায় রাজশাহীকে। ইভানস করেন ৩৬ বলে ৭৬ রান ও ডেসকাটের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ৪২ রান।
সোহেল তানভিরের একই ওভারে এই দুই ব্যাটসম্যান ফিরে গেলেও ফলে কোনও হেরফের হতে দেননি ক্রিশ্চিয়ান জঙ্কার ও সৌম্য সরকার। ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে উত্তারাঞ্চলের দলটি।
এই জয়ে শেষ চারের আশা ভালোভাবেই টিকে রইলো মেহেদি মিরাজের দলের। প্লে-অফে খেলার জন্য গ্রুপ পর্বের বাকি ম্যাচ গুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের। ১২ ম্যাচ শেষে ৬ জয়ে রাজশাহীর পয়েন্ট ১২।
অপরদিকে এই ম্যাচ হেরে প্লে-অফের আশা শেষ হয়ে গেল সিলেটের। ১১ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয় নম্বরে অবস্থান করছে চায়ের দেশের দলটি।
এস/ এমকে
মন্তব্য করুন