• ঢাকা শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১
logo
নারী চ্যাম্পিয়নশিপের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা
সদ্য শেষ হওয়া বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে শেষ হয়েছে আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২২-২৫ চক্র। স্বাগতিক দেশসহ চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা ছয়টি দল এই টুর্নামেন্টে সরাসরি খেলবে। যেখানে পয়েন্ট টেবিলের সবার ওপরে রয়েছে অজি মেয়েরা। সেই সঙ্গে নারী চ্যাম্পিয়নশিপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবে তারা। কারণ, সর্বোচ্চ ৭টি শিরোপা জয়ের রেকর্ড রয়েছে অজি মেয়েদের। তারই ধারাবাহিকতায় নারী চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) অস্ট্রেলিয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি তুলে দিয়েছে আইসিসি।  অজি অধিনায়ক অ্যালিসা হিলির হাতে মেলবোর্নে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার হস্তান্তর করেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান ও আইসিসির পরিচালক মাইক বেয়ার্ড।  আইসিসি ২০১৪ সাল থেকে ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করে আসছে। এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত তিনটি চক্রেই চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। আগের দুবার এই ট্রফি উঠেছিল মেগ ল্যানিংয়ের হাতে, প্রথমবার অজি তারকা হিলি এই পুরস্কার জিতলেন। অ্যালিসা হিলি বলেন, আইসিসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে আমরা খুবই রোমাঞ্চিত। এখানে দারুণ প্রতিযোগিতা হয়েছে এবং চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়া আনন্দের। আমরা বিশ্বকাপে উত্তীর্ণ হয়েছি যে সেটি আগেই জানতাম, এখন টেবিলের শীর্ষ থাকা আমাদের জন্য বড় সুবিধা।  ‘বিশ্বকাপের জন্য এটি আমাদের কিছুটা এগিয়ে রাখবে। আমরা ভারতে অনেক খেলেছি, তবে সেখানকার কন্ডিশন বেশ রহস্যময়। কী মোকাবিলা করতে হবে সেটি নিশ্চিত নই, তবে নিশ্চিত যে দারুণ কিছু হবে।’ এবারের চক্রে মোট ১০টি দল অংশ নিয়েছিল। প্রতিটি দল চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে ২৪টি করে ম্যাচ খেলেছে। যেখানে টেবিল টপার অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৩৯। এ ছাড়া বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করা ছয় দল হচ্ছে যথাক্রমে ভারত (৩৭), ইংল্যান্ড (৩২), দক্ষিণ আফ্রিকা (২৫), শ্রীলঙ্কা (২২) ও নিউজিল্যান্ড (২১)।  আরটিভি/এসআর-টি
২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:২৯

অস্ট্রেলিয়া ওপেনের ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন সিনার
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে আলেকজান্ডার জভেরেভের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল ইয়ানিক সিনার। তার কাছে এই লড়াই ছিল শিরোপা ধরে রাখার। যেখানে পুরোপুরি সফল হয়েছেন ইতালিয়ান এই টেনিস তারকা। জভেরেভেকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের রাজা সিনার।       রোববার (২৬ জানুয়ারি) মেলবোর্নে বিশ্বের নাম্বার-টু জার্মানির আলেকজান্ডার জভেরেভকে ৬-৩, ৭-৬ (৪), ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন রাজা সিনার। সিনারের এই জয় ইতালির টেনিস ইতিহাসে বড় এক মাইলফলক গড়েছে। প্রথম ইতালিয়ান টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি মেজর শিরোপা জিতলেন সিনার। পেছনে ফেললেন নিকোলা পিট্রানগেলির রেকর্ড। গ্র্যান্ডস্লামে প্রথম তিন ফাইনাল খেলে তিনটিতেই শিরোপা জয়—এটা যেমন হ্যাটট্রিক, সিনার হ্যাটট্রিক করেছেন আরেক দিন থেকেও; হার্ড কোর্টের গ্র্যান্ড স্লামে এটি তার টানা তৃতীয় শিরোপা।  সিনার এখন নাম লিখিয়েছেন টেনিস কিংবদন্তি আন্দ্রে আগাসি, রজার ফেদেরার এবং নোভাক জকোভিচের সঙ্গে। একুশ শতকে টানা দুটি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতার কীর্তি আছে কেবল তাদেরই। অন্য একদিক থেকে হ্যাটট্রিক করেছেন জভেরেভও। জার্মান টেনিস তারকা ক্যারিয়ারের প্রথম তিনটি গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালেই হারলেন। এর আগে তিনি হেরেছেন ২০২০ সালের ইউএস ওপেন আর ২০২৪ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে। আরটিভি/এসআর/এস
২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৫১

সাবালেঙ্কার স্বপ্নভঙ্গ করে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন রানী ম্যাডিসন
অস্ট্রেলিয়ার ওপেনের ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন কিসের মুখোমুখি হয়েছিল গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন আরিনা সাবালেঙ্কা। হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখলেও তার পূরণ হতে দেননি ম্যাডিসন। জমজমাট ফাইনালে সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা ঘরে তুলেছেন তিনি। এতে নতুন রানী পেল অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। প্রথম সেটে ৬-৩ গেমে সাবালেঙ্কাকে পরাস্ত করেন ম্যাডিসন। তবে দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৬-২ গেমে সেটটি নিজের করে নেন বর্তমান বিশ্বের নাম্বার ওয়ান টেনিস তারকা সাবালেঙ্কা। কিন্তু তৃতীয় সেটে দুর্দান্ত খেলায় ৭-৫ গেমে জয় তুলে নেন ২৯ বছর বয়সী ম্যাডিসন কিস।  এ জয়ের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের স্বপ্ন থেমে যায় সাবালেঙ্কার। অন্যদিকে দীর্ঘ ১৬ বছরের অপেক্ষার পর গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে ম্যাডিসনের। এত লম্বা সময়ের অপেক্ষার পর গ্র্যান্ডস্ল্যাম শিরোপা জয় করার ঘটনা টেনিস ইতিহাসে বিরল।  এর আগে সেমিফাইনালে ইগা সোয়াতেকের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ে জয় তুলে ফাইনালে পৌঁছান ম্যাডিসন। প্রথম সেট হারার পর দারুণ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন তিনি। বিশ্বের ১৯ নম্বর খেলোয়াড় ম্যাডিসন কিস এবং সাবালেঙ্কার মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাসে সাবালেঙ্কার জয়ই বেশি। এর আগে পাঁচবারের মুখোমুখি সাক্ষাতে ম্যাডিসন জয় পেয়েছিলেন মাত্র একবার, তাও চার বছর আগে বার্লিনে। তবে এবারের ম্যাচে সাবালেঙ্কার টানা ১১ ম্যাচের জয়ের ধারা থামিয়ে দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করলেন ম্যাডিসন। তাই ২০২৫ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এখন ম্যাডিসনের ঐতিহাসিক জয় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। টেনিস দুনিয়া তাকে অভিবাদন জানাচ্ছে এবং নতুন রাণীর উত্থানে বিশ্বজুড়ে উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে। আরটিভি/এসআর-টি
২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:২০

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ‘হল অফ ফেমে’ যুক্ত হলেন ক্লার্ক
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন হলেন মাইকেল ক্লার্ক। তার নেতৃত্বে ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পঞ্চম শিরোপা ঘরে তুলেছিল অজিরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার প্রায় এক দশক পর এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে ‘হল অব ফেমে’ অন্তর্ভুক্ত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এই খেতাব গ্রহণ করেন বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার ৬৪তম ক্রিকেটার হিসেবে হল অফ ফেমে যুক্ত হয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে মাইকেল ক্লার্ক বলেন, ছেলেবেলায় যেসব দারুণ খেলোয়াড়দের আদর্শ ও রোল মডেল মেনে বেড়ে উঠেছি, তাদের সঙ্গে একই কাতারে বসার সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। অবসর নিজের ভেতরে অনেক পরিবর্তন বয়ে আনে। এখন যখন ক্রিকেট দেখি, তখন কিছু  মুহূর্ত খুব মিস করি। সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেললে মানুষ কেবল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলে, তবে আমার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ছয় বছর বয়সে।  অবসর নিয়েছে ৩৪ বছর বয়সে, সুতরাং এটাই আমার জীবন। এখনও ক্রিকেট আমার জীবনের অংশ। ক্রিকেট অনেকটাই জীবনের মতো। আপনি যখন সেঞ্চুরি করেন তখন ব্যাট উঁচিয়ে অভিবাদনের জবাব দেন। কিন্তু এরপর ফিল্ডিংয়ে নেমে ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই স্লিপে ক্যাচ মিস করে বসেন।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকটা দুর্দান্তভাবে রাঙান ক্লার্ক। ভারতের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু টেস্টে ১৫১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরাও হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ২০০৫ সালের শেষ দিকে অবশ্য দল থেকে বাদ পড়েন। তবে ফেরার পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ১২ বছরের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১১৫টি টেস্ট, ২৪৫টি ওয়ানডে এবং ৩৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে তার রান সংখ্যা ১৭ হাজারেরও বেশি। ৪৭টি টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া এই অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়াকে ২০১৩-১৪ অ্যাশেজে ৫-০ ব্যবধানে ঐতিহাসিক জয় এবং ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দেন। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি পার্ট-টাইম বোলার হিসেবেও খ্যাতি ছিল ক্লার্কের। অভিষেক সিরিজেই মুম্বাই টেস্টে বাঁ-হাতি অফস্পিনে কেবল ৯ রানে ৬ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ২০০৮ সালে ভারতের বিপক্ষেই কেবল ১.৫ ওভারে ৫ রান খরচে  ৩ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজ জেতাতে ভূমিকা রাখেন সাবেক এই অধিনায়ক। অনুষ্ঠানে হল অব ফেমের চেয়ারম্যান পিটার কিং বলেন, মাইকেলের অসাধারণ প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুরু হয়েছিল। এখানেই তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের জন্ম দিয়েছেন, যার মধ্যে ২০১২ সালে ভারতের বিপক্ষে ট্রিপল সেঞ্চুরি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মাইকেলের ক্যারিয়ার অস্ট্রেলিয়ান জনগণের কাছে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে এবং তিনি সর্বকালের সেরাদের কাতারে স্থান করে নিয়েছেন। আরটিভি/এসআর-টি
২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৫৫

এক স্পিনার নিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াড ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার
আইসিসির টুর্নামেন্ট মানেই অস্ট্রেলিয়ার দাপট। আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও তার ব্যতিক্রম হবে না। কারণ, এই আসরকে সামনে রেখে এক স্পিনার নিয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে ভারতকে হারিয়ে হেক্সা মিশনে সফল হয়েছিল অজিরা। তাই পাকিস্তানের মাটিতেও এই পেসারের নেতৃত্বের উপর ভরসা রেখেছে তারা। ইনজুরির কারণে শ্রীলঙ্কা সফরে প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড না থাকলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য এই দুজনকেই রেখে দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।   অস্ট্রেলিয়ার ১৫ সদস্যের দলে ডাক পাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রথমবার কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট খেলবেন ম্যাট শর্ট ও অ্যারন হার্ডি। দলে একমাত্র স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। কারণ, পাকিস্তানের মাটিতে প্রচুর রান হওয়ায় একজন স্পিনার নিয়েছে তারা। আর অপশনাল স্পিনার হিসেবে কাজ করবেন হেড ও ম্যাক্সওয়েল। বরাবরের মতো অস্ট্রেলিয়া হাজির হচ্ছে ভারি পেস বোলিংলাইন নিয়ে। কামিন্স, হ্যাজলউড ছাড়াও আছেন মিচেল স্টার্ক ও নাথান এলিস।  প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি খেলোয়াড় বাছাই নিয়ে বলেন, সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, গত বছরের সফল ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে সাম্প্রতিক হোম সিরিজের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মূল খেলোয়াড়দের নিয়ে অভিজ্ঞ ও সামাঞ্জস্যপূর্ণ একটি স্কোয়াড গড়া হয়েছে।  আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়া তাদের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। অজিরা টুর্নামেন্ট শুরু করবে ২২ ফেব্রুয়ারি লাহোরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াড প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যালেক্স ক্যারি, নাথান এলিস, অ্যারন হার্ডি, জশ হ্যাজলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস, মারনাস লাবুশেন, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যাট শর্ট, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়নিস ও অ্যাডাম জাম্পা। আরটিভি/এসআর/এস
১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:০৪

ভারতকে হারিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
পাঁচ ম্যাচের শেষ টেস্টে ভারতকে হারিয়ে ৩-১ ব্যবধানে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। এ জয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।  রোববার (৫ জানুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নামে ভারত।  কিন্তু মাত্র ৪৫ মিনিটেই গুটিয়ে যায় তারা।  আগের দিনে ৬ উইকেটে ১৪১ রান করে তৃতীয় দিনে মাত্র ১৬ রান যোগ করে ১৫৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। দুই ইনিংস মিলিয়ে ভারতের দেওয়া ১৬২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র চার উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।  এ জয়ের ফলে দীর্ঘ ১০ বছর পর ভারতের বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ অজিদের পকেটে গেল। এর আগে, সর্বশেষ ২০১৪-২০১৫ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।   দুর্দান্ত এই জয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও নিশ্চিত করে ফেলেছে অজিরা।  বাদ পড়েছে ভারত। আগামী ১১-১৫ জুনে ২০২৩-২০২৫ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। সংক্ষিপ্ত স্কোর ভারত: ১৮৫ ও ১৫৭ (পান্ত ৬১, জয়সওয়াল ২২; বোলান্ড ৬/৪৫, কামিন্স ৩/৪৪)। অস্ট্রেলিয়া: ১৮১ ও ১৬২/৪ (উসমান ৪১, ওয়েবস্টার ৩৯*, হেড ৩৪*; কৃষ্ণা ৩/৬৫)। ফল: অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যানসেরা: স্কট বোলান্ড। সিরিজসেরা: জসপ্রিত বুমরাহ। আরটিভি/আরএ/এস
০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৫৪

এক দিনেই ১৫ উইকেট, রোমাঞ্চের অপেক্ষায় সিডনি টেস্ট
সিডনি টেস্টে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৮৫ রান করে অলআউট হয়েছিল ভারত। জবাব দিতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে সুবিধা করতে পারেনি অজিরা, ১৮১ রানে অলআউট হয়েছে। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে ভারত। এক দিনে ১৫ উইকেট তুলেছে দুই দল। এতে রোমাঞ্চের অপেক্ষায় সিডনি টেস্ট। শনিবার (৪ জানুয়ারি) দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেছিল দুই ভারতীয় ওপেনার লোকেশ রাহুল এবং জয়সাওয়াল। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি দুজনের কেউই। ১৩ রান করে রাহুল আউট হলে ৩৫ বলে ২২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন জয়সাওয়াল। এরপর বিরাট কোহলি ৬ রানে এবং শুভমান গিল ১৩ করে সাজঘরে ফিরলে ভারতীয় শিবিরে হাল ধরেন ঋষভ পান্ত। ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এরপর পিচে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তিনি। ৩৩ বলে ৬১ রান করেন তিনি। এরপর নীতিশ কুমার ৪ রান করে আউট হলে ১২৯ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত।  শেষ পর্যন্ত ওয়াসিংটন সুন্দরের ৬ রান এবং রবিন্দ্র জাদেজার ৮৯ বলের অপরাজিত ৮ রানে ভর করে ১৪১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার স্কট বোল্যান্ড। এ ছাড়াও প্যাট কামিন্স এবং ওয়েবস্টার একটি করে উইকেট নেন। এর আগে, নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৮১ রানে অলআউট হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলে ওয়েবস্টার। আর ৩৩ রান করেন স্টিভেন স্মিথ। আরটিভি/এসআর/এস
০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৩১

সিডনি টেস্টে না খেলার কারণ জানালেন রোহিত
অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারের দ্বারপ্রান্তে ভারত। টানা ব্যর্থতায় সিডনি টেস্টের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন দলের নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যার ফলে সমালোচকদের অনেকেই মনে করেছেন টেস্টে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে এই মারকুটে ব্যাটারের। তবে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতির সময় সমালোচকদের এক হাত নিলেন রোহিত। শনিবার (৪ জানুয়ারি) ফক্স স্পোর্টসকে ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, মাইক্রোফোনে কে কী বললেন বা কলম, ল্যাপটপে কারও লেখায় তো জীবন বদলে যাবে না। আমাদের কখন অবসর নিতে হবে, বসে যেতে হবে এবং নেতৃত্ব দিতে হবে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন না। আমি বুদ্ধিমান একজন মানুষ। দুই সন্তানের বাবা। আমার জীবনে কী দরকার, সেটা জানি। বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের তিন টেস্টে খেলেছেন রোহিত। পাঁচ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৩২ রান করেছেন। সর্বোচ্চ ১০ রান করেছেন। তাই সিডনি টেস্টে রোহিত না খেলায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।  অবসর নিয়ে তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত অবসরের সিদ্ধান্ত নয়। অথবা আমি খেলা থেকে নিজেকে গুটিয়ে ফেলিনি। ব্যাটে রান আসছে না বলেই আমি বসে গেছি। আগামী পাঁচ অথবা দুই মাসে রান আসবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। ‘প্রতি সেকেন্ড, প্রতি মিনিট, প্রতিদিন জীবন কীভাবে পরিবর্তন হয়, ক্রিকেটে এটা বহুবার দেখেছি। পরিবর্তন যে আসবেই সে ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। একই সঙ্গে আমাকে বাস্তববাদী হতে হবে।’ রোহিত না থাকায় সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পঞ্চম টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জসপ্রীত বুমরাহ। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে ভারত ১৮৫ রানে অলআউট হয়েছে। লো-স্কোরিং ম্যাচে বোলারদের যখন জ্বলে ওঠার প্রয়োজন, সেটাই হয়েছে। ভারতের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে ১৮১ রানে অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়াও। আরটিভি/এসআর/এস
০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৪০

ভারতকে অলআউট করে প্রথম দিন রাঙালো অজিরা
বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের ৪ ম্যাচ শেষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শেষ টেস্টে হার এড়াতে পারলেই সিরিজ নিশ্চিত অজিরা। সেই লক্ষ্যে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছে স্টার্ক-কামিন্সরা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতকে প্রথম ইনিংসে ১৮৫ রানে অলআউট করে প্রথম দিন রাঙিয়েছে স্বাগিতকরা। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভারত ১৮৫ রানে অলআউট হলে দিনের শেষ দিকে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। এদিন মাত্র ৩ ওভার ব্যাট করতে পারে তারা। তবে দিনের শেষ বলে আউট হন ওসমান খাজা (২)। ১ উইকেট হারিয়ে ৯ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। ৭ রান করে অপরাজিত আছেন স্যাম কনস্টাস। এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ভারত। মাত্র ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লোকেশ রাহুল। ১০ রান করে তাকে সঙ্গ দেন জয়সাওয়ালও। এরপর শুভমান গিল (২০) এবং বিরাট কোহলি ১৭ রান করে আউট হলে দলীয় ৭২ রানেই ৪ উইকেট হারায় ভারত। এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ঋষভ পান্ত। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ৪০ রান করে এই উইকেট রক্ষক ব্যাটার আউট হলে উইকেট মিছিল শুরু করে বাকিরা। নীতিশ কুমার (০), রবিন্দ্র জাদেজা (২৬), ওয়াসিংটন সুন্দর (১৪), কৃষ্ণা (৩) এবং শেষ দিকে বুমরাহ ২২ রান করে আউট হলে ১৮৫ রানে অলআউট হয় ভারত। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন স্কট বোল্যান্ড। মিচেল স্টার্ক নেন ৩ উইকেট। এ ছাড়াও প্যাট কামিন্স দুটি এবং নাথান লায়ন নেন একটি উইকেট। আরটিভি/এসআর/এস
০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৫৪

বাংলাদেশকে দেখে ভয় পাবে অস্ট্রেলিয়া: সুমাইয়া
আগামী ১৮ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে আগেভাগেই দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশ দল। এবারের আসরে ‘ডি’ গ্রুপে রয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া, স্কটল্যান্ড এবং বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা একটি দল।  কাগজে কলমে গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু নিজেদের সামর্থ্যের সেরাটা দিতে পারলে অস্ট্রেলিয়াকেও ভয় পাইয়ে দেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার। বুধবার (১ জানুয়ারি) মিরপুরে বিশ্বকাপের ফটোসেশন শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি। টাইগ্রেস অধিনায়ক বলেন, আসলে আমাদের দল বেশ ভালো, আলহামদুলিল্লাহ। আমরা যদি আমাদের শক্তির জায়গাগুলো কাজে লাগাতে পারি এবং আমাদের ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে দিন শেষে ভালো কিছুই হবে।  তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, আমাদের নিজেদের খেলাটা খেলা। আমরা মনে করি, অস্ট্রেলিয়া আমাদের গ্রুপে পড়ে অন্তত কিছুটা ভয় পাবে। মালয়েশিয়ায় আমরা আগেও খেলেছি, সেখানকার অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে আসবে।  টুর্নামেন্ট ১৮ জানুয়ারি হলেও আগেভাবে দেশ ছাড়ছেন সুমাইয়ারা। কারণ, ৩-৯ জানুয়ারি হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে নিজেদের প্রস্তুতি পর্ব সারবে বাংলাদেশ দল।  উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা দলের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ২০ জানুয়ারি খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এবং ২২ জানুয়ারি স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। আরটিভি/এসআর/এআর
০১ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়