রাজধানীতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের নিচেই রয়েছে অবৈধ চায়ের দোকান। অফিসে ঢোকার গেইটের সামনে লম্বা টুল বসিয়ে চা বিক্রি চলছে। চায়ের দোকানের ঠিক উপরেই সাইনবোর্ডে লেখা ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রধান কার্যালয়।
বৃহস্পতিবার রমনা মডেল থানার বিপরীতে শপিং মার্কেটের নিচে এ চিত্র দেখা যায়।
কাউন্সিলরের কার্যালয়ের নিচে দোকানটিতে চা, বিস্কিট, সিগারেটসহ শুকনো খাবার বিক্রি করা হয়। দোকানটি পরিচালনা করেন রতন নামে একজন ব্যবসায়ী।
তিনি আরটিভি অনলাইনকে বলেন, দোকান মালিক সমিতির সভাপতির কাছ থেকে কয়েক বছর আগে তিন লাখ টাকা অগ্রিম ও মাসিক ৬ হাজার টাকা ভাড়ায় দোকানটি নেয়া হয়। দোকানটিতে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বেচাকেনা করেন তিনি।
------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : খালেদার নিরাপত্তার জন্যই কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে: আইনমন্ত্রী
------------------------------------------------------------------
ঢাকা দক্ষিণের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুন্সী কামরুজ্জামান কাজল আরটিভি অনলাইনকে বলেন, রমনা শপিং কমপ্লেক্সের ২য় তলায় আমার অফিস। কিন্তু আমি সেখানে বসি না। মার্কেটটিতে লিফট নেই বলে সিনিয়র সিটিজেনরা উঠতে পারে না। তাই আমি আমার বাসার নিচে অফিস করেছি। আমি ওই অফিসটিতে দুই তিন মাস বসেছিলাম। শপিং সেন্টারটি এখন পরিচালনা করেন ওই মার্কেটের মালিক সমিতি। যেহেতু চায়ের অবৈধ দোকানটি বসেছে তাই এটি রাখাই ঠিক না।
তিনি আরও বলেন, শপিং সেন্টারটি এখনও সিটি করপোরেশন মালিকদেরকে বুঝিয়ে দেয়নি। কিন্তু অবৈধভাবে তারা সমিতি করে দোকানপাট বসিয়েছে।
এ বিষয়ে শপিং সেন্টারের সেক্রেটারি লতিফ শেখ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, অবৈধ দোকানের পক্ষে আমিও না। এটা ঠিক সমিতির মাধ্যমে মার্কেটে দোকান বসানো হয়েছে। ২০০৬ সালে মার্কেটটি তৈরির পর এখনও আমাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। সমিতির মাধ্যমে ২৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা খরচ করে বিদ্যুতের লাইন নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ফুটপাতে দোকান বসানোর পক্ষে না। সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে দোকানি যে অভিযোগ করেছেন তা ঠিক নয়। তবুও বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখব। যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন :
- ৩৯তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৩,৭৫০ জন
- অর্থমন্ত্রী ভুল করেছেন, তার এটা বলা উচিত হয়নি : সিইসি
এমসি/এমকে