গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
শরীয়তপুরে গৃহবধূ সামসুন নাহার তানুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক আব্দুস ছালাম খান এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শরিয়তপুর সদর উপজেলার মধ্য চরোসুন্ধি গ্রামের আব্দুল কাদের তালুকদারের ছেলে রেজাউল করিম সুজন তালুকদার (২৪), একই গ্রামের মজিবুর রহমান পোদ্দারের ছেলে সাইফুল ইসলাম পোদ্দা (২২) ও আব্দুল মান্নান মাদবরের ছেলে দুলাল মাদবর (২২)।
এর মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন আসামি কারাগারে থাকলে মূল আসামি জামিন নিয়ে মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।
মামলা বিবরণে ও কোট সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ বালুচরা গ্রামের প্রবাসী ইসাহাক মোল্লার সঙ্গে একই উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নে মধ্য চরোসুন্ধি গ্রামের হাফিজ উদ্দিন পাটোয়ারীর মেয়ে শরীয়তপুর সরকারী গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সামসুন্নাহার তানির বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে ১৭ আগস্ট বিকেলে তার স্বামীর বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরেনি। ওই দিন রাতেই ইচহাক এর বড় ভাই কাসেম মোল্লা পালং মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করে।
পরে প্রযুক্তির সহায়তায় রেজাউল করিম সুজন তালুকদার নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুজন স্বীকার করে যে, তানুকে সাইফুল ইসলাম ও দুলাল ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। পরে সুজন তাকে ধর্ষণ করে। এরপর তিনজন মিলে ১৮ আগস্ট সদর উপজেলার ধানুকা গ্রামের নাসির উদ্দিন কালু সরদারের বাড়ির পেছনের বাগানে নিয়ে তানুকে হত্যা করে। পরে ইট বেঁধে মরদেহ পাশের ডোবায় ফেলে দেয়।
এরপর ২২ আগস্ট তানুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় তানুর ভাসুর আবুল কাশেম মোল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বিচারক ১৭ জন জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ মামলায় রায় দেন।
এসএস
মন্তব্য করুন