অনুমোদন না থাকায় বা সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ না করায় জারের পানি বিক্রি বন্ধে অভিযান চালিয়েছে মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন -বিএসটিআই।
সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর মতিঝিল ও পল্টন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। দুপুর পর্যন্ত ৬শ’ পানির জার জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএসটিআইয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা সিদ্দিকা বেগম। এ পানি বিভিন্ন অফিস ও বাসা-বাড়িতে সরবরাহ করা হচ্ছিল। সরবরাহ নিয়োজিত ছয়টি ভ্যানও জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে অংশ নেয়া বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক আরাফাত হোসেন সরকার জানান, জব্দকৃত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধু এভারেস্ট ড্রিংকিং ওয়াটার বিএসটিআইযের অনুমোদন নিয়ে ব্যবসা করছে। কিন্তু তাদের পানির মানও সঠিক নয়। অন্যগুলো অনুমোদন ছাড়াই পানি বিক্রি করে আসছিল বলে জানান তিনি।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট অভিযোগে নিখোঁজ ৩জন গ্রেপ্তার
--------------------------------------------------------
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) একদল গবেষক সম্প্রতি বোতলজাত ও জারের পানিতে খনিজ উপাদানের মাত্রা ও গুণাগুণ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছেন, ৯৭ ভাগ জারের পানিতে মানুষ ও প্রাণীর মলের জীবাণু ‘কলিফর্ম’ রয়েছে ক্ষতিকর মাত্রায়।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আড়াইশ জারের পানির নমুনা পরীক্ষা করে গবেষকরা দেখতে পান, প্রতি ১০০ মিলিলিটার পানিতে টোটাল কলিফর্মের মাত্রা ছিল ১৭ থেকে ১৬শ’ এমপিএন (মোস্ট প্রবাবল নম্বর) এবং ফিকাল কলিফর্মের মাত্রা ছিল ১১ থেকে ২৪০ এমপিএনের মধ্যে।
কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের ওই গবেষক দলের মতে, বিএসটিআই মান নির্ধারণ করে দিলেও কার্যকর কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় অবাধে চলছে অপরিশোধিত পানির ব্যবসা।
আরও পড়ুন:
- শিক্ষামন্ত্রীর পিওসহ নিখোঁজ ৩ জন গ্রেপ্তার
- নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা
জেএইচ