নজরদারি ও দেখভালের অভাবে ফের দখল হয়ে যাচ্ছে রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা ও আশপাশের সড়কগুলো। এতে আবারও দেখা দিচ্ছে যানজট, বাড়ছে দুর্ভোগ। সমস্যা সমাধানে রাস্তাগুলো সব সময়ের জন্য দখলমুক্ত রাখার তাগিদ দিলেন নগরবিদরা। আর এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আবদুল গনি।
রাস্তা দখল করে গড়ে উঠা যে ট্রাকস্ট্যান্ড ছিল তেজগাঁওয়ের দুঃখ, দায়িত্ব নেয়ার পর সেই দুঃখ মোচনের উদ্যোগ নেন প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। বহু বছরের পুরনো সমস্যা দূর করতে গিয়ে জীবনেরও ঝুঁকি নিতে হয়েছিল প্রয়াত মেয়রকে। দারুণ সাহসিকতা ও নগরবাসীর জন্য ভালো কিছু করার মানসিকতার কারণে শেষ পর্যন্ত সফল হন তিনি। প্রয়াত মেয়রের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে সাতরাস্তা মোড় থেকে রেলগেইট পর্যন্ত সড়কটিকে তার নামে নামকরণ করা হয়।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আ.লীগের কাছে ৭০ আসন চায় ১৪ দলের শরিকরা
--------------------------------------------------------
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আনিসুল হক বেঁচে থাকতে সড়কগুলো পুরোপুরি দখলমুক্ত ছিল। জনগণের সুবিধার জন্য, মূল সড়কটিকেও দারুণভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। কিন্তু মেয়রের অনুপস্থিতিতে মাঝে-মধ্যেই অবৈধ দলখদারদের মনে পুরনো বাসনা জেগে উঠে। দ্রুত কিছু করা না হলে শিগগিরই পুরো রাস্তা আগের মতো বেদখল হয়ে যাবে।
এদিকে খাদ্য গুদাম ও সরকারি স্টাফ কোয়ার্টার লাগোয়া রাস্তাটি এরই মধ্যে পুরোপুরি দখল হয়ে গেছে। আশপাশের অন্যান্য রাস্তাও ওয়ার্কসপ এবং গাড়ির স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়ন তালুকদার মো. মনির বলেন, মেয়রের সফলতা ধরে রাখতে আমরা ট্রাকস্ট্যান্ডে কোন রকম অনিয়ম হতে দিব না।
সড়কগুলোকে দখলদারমুক্ত রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্যানেল মেয়র আবদুল গনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়ন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে রাস্তাটি সব সময় সচল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন :
এমসি/এমকে