যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অনীহা দেখানোয় মিয়ানমার ও লাওসের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসী ফিরিয়ে নেয়ার কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়নে বিলম্ব করায় দেশ দুটির ক্ষেত্রে এমন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি।
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ যৌথভাবে এ সংক্রান্ত এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) জানিয়েছে, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ দুটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি বা অযৌক্তিক বিলম্ব করার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তারা বলছে, ডিএইচএসর মূল্যায়নের ভিত্তিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর মিয়ানমার ও লাওসে কনস্যুলার অফিসকে ‘নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির ভিসা আবেদনকারীর’ক্ষেত্রে ভিসা বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে বলেছে।
-------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তাদের ‘স্টুপিড’ বললেন ট্রাম্প
-------------------------------------------------------------
ডিএইচএস বলছে, বার্মা ও লাওস যদি যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের পদক্ষেপের পরও যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এই নিষেধাজ্ঞার আওতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
মার্কিন অভিবাসন কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমার ও লাওসের মতো দেশগুলো তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তারা সমাজে ‘বিপজ্জনক অপরাধীদের’ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এরইমধ্যে ইয়াঙ্গুনে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বি-১ ও বি-২ ক্যাটাগরির সব নন-ইমিগ্রেন্ট ভিসা দেয়া বন্ধ করেছে। এ তালিকায় আছে মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক পর্যায় এবং এর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বেশ কঠোর। তিনি আগেই বলেছিলেন, যেসব দেশের তাদের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানাবে তাদের সাজা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন :
এ/পি