রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের(ইইউ) তিন কর্মকর্তা।
গত বুধবার(৩ অক্টোবর ২০১৮) ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এখনও ইউরোপিয়ান কমিশনে আলোচনা চলছে। সম্ভবত ইউরোপের বাজারে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য করার সুবিধা হারাবে দেশটি। এর আওতায় পড়বে মিয়ানমারের লাভজনক টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি। ফলে দেশটির কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান ঝুঁকির মুখে পড়বে।
অবশ্য, এটি এখনই কার্যকর হচ্ছে না। মিয়ানমারকে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যা থামাতে এবং এই সমস্যা সমাধান করতে সুযোগ দেবে ইইউ। এই সমস্যা সমাধানে দেশটির নেয়া পদক্ষেপগুলো ছয়মাস পর্যবেক্ষণ করবে সংস্থাটি।
যদি মিয়ানমার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করার ক্ষেত্রে মানবিকতা দেখায় এবং গণতান্ত্রিক লক্ষ্য নির্ধারণ করে, তবে দেশটির ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সিদ্ধান্তে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে ইইউ।
ইইউ’র এই তিন কর্মকর্তা জানান, গত আগস্টে প্রকাশিত জাতিসংঘের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবা হচ্ছে। এই রিপোর্টে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর উদ্দেশ্যেই অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী।
ইউরোপীয় কমিশনের বিতর্কে এক ইইউ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলোর কারণে মিয়ানমারের জনগণের ওপর যে প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কিন্তু আমরা দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানকে গণহত্যা উল্লেখ করা জাতিসংঘের রিপোর্টকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারি না।
আরও পড়ুন :
কে/জেএইচ
