ঢাকারোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

স্তন্যপান করাতে পারবেন তৃতীয় লিঙ্গের নারীরাও!

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ , ০১:০২ পিএম


loading/img
ছবি: প্রতীকী

তৃতীয় লিঙ্গের ৩০ বছরের এক নারী প্রথমবারের মতো তার সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে সক্ষম হয়েছেন। এজন্য ওই নারীকে সাড়ে তিন মাসের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান, দ্য স্ট্রেইট টাইমস, এএফপির।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞানীরা বলছেন, হরমোন, বমির ওষুধ ও স্তন উদ্দীপনার মতো বিভিন্ন ট্রিটমেন্টের পর ওই নারী দিনে ২২৭ গ্রাম দুধ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন।

তারা বলছেন, ওই ট্রিটমেন্টের পর ‘নারীটির ক্ষেত্রে পরিমিত কিন্তু কার্যকরী দুগ্ধ ক্ষরণের ঘটনা ঘটেছে।’

বিজ্ঞাপন

তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি সাময়িকীতে বৃহস্পতিবার এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরুষ হিসেবে জন্মগ্রহণকারী ৩০ বছর বয়সী তৃতীয় লিঙ্গের ওই ব্যক্তি ৬ বছর থেরাপি নিয়েছেন। তিনি সার্জারি করে লিঙ্গ ও বুকের দুধের পরিবর্তন করেননি।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: এই ভিডিওটি ঝড় তুলেছে ফেসবুকে
--------------------------------------------------------

নিউ ইয়র্কের সিনাই হাসপাতালের একজন ডাক্তার তামার রেইসম্যান বলেছেন, তৃতীয় লিঙ্গের ওষুধ এখন মূলধারার ওষুধ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। আমরা আগের চেয়ে বেশি প্রমাণভিত্তিক তথ্য, সঠিক সেবা ও প্রজননজনিত অপশন পাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

ওই তৃতীয় লিঙ্গের নারীর পার্টনার গর্ভবতী হলে তিনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। তার পার্টনার শিশুকে দুধ খাওয়াতে রাজি না হওয়ায় তিনি খাওয়াবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

ডাক্তার রেইসম্যান ও নার্স জিল গোল্ডস্টেইন তাদের প্রতিবেদনে লিখেন, ওই নারীকে নিদ্রাহীনতা ও দুশ্চিন্তার চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাকে ‘হাসিখুশি, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও বাড়ন্ত নারী’ হিসেবেও রিপোর্টে লিখেছেন তারা।

ওইসময় তার প্রোজেস্টেরন ও এস্ট্রাডিওল হরমোন বাড়ানোর জন্য ওষুধের পাশাপাশি তার স্তনে পাম্পের সাহায্যে উদ্দীপনা দেয়া হয়। আর দুধের উৎপাদন বাড়ানো জন্য বমির জন্য ব্যবহৃত ডমপেরিডন ওষুধও তাকে দেয়া হয়।

ডমপেরিডন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি ওষুধ হলেও এটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ। কারণ এর সঙ্গে হার্টঅ্যাটাক ও তাৎক্ষণিক মৃত্যুর সম্পর্ক রয়েছে। তবে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় এই ওষুধটি স্বীকৃত।

ওই সাময়িকীর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এভাবে প্রায় সাড়ে তিন মাস ওই তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। এরইমধ্যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করে। তিনি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে শুরু করেন।

তবে পাশাপাশি শিশুটিকে অতিরিক্ত খাদ্যও দেয়া হচ্ছিল। শিশুটি বেড়ে উঠছিল ও তার খাদ্যের অভ্যাস স্বাভাবিক ছিল। এ গবেষণা কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিভার্সিটি অব কলম্বিয়ার ক্লিনিক্যাল বিভাগের পরিচালক ম্যাডেলিন ডিউচেস। তিনি বলেন, এটা এখন বলা যাচ্ছে যে তৃতীয় লিঙ্গের নারীদের বুকের দুধ খেয়ে সুস্থ সবলভাবে একটি শিশু বেড়ে উঠতে পারে।

আরও পড়ুন:

এ/পি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |