শ্রিংলার বাংলাদেশ সফর নিয়ে আশাবাদী নন বিশ্লেষকরা (ভিডিও)
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সফরে বাংলাদেশ-ভারত অমীমাংসিত সমস্যার আশু সমাধান দেখছেন না কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। ভারতের গণমাধ্যম বিষয়টি স্পষ্ট করলেও বাংলাদেশের বিশ্লেষকরা মনে করেন, এতে খুশির তেমন সংবাদ নেই। তবে করোনাভাইরাসের টিকা আগে ও স্বল্পমূল্যে পাওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ।
ভারত-চীন টানাপোড়েনে করোনা মহামারির মধ্যেই প্রতিবেশী দেশ সফর শুরু করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন।
প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সফরকে সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ভারতীয় গণমাধ্যম। তবে ঢাকায় আনুষ্ঠানিক বৈঠকে সীমান্ত হত্যা বন্ধের নিশ্চয়তা মেলেনি। আলোচনায় আসেনি তিস্তা প্রসঙ্গও। আর শুরু থেকেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের কার্যকর সমর্থনের প্রত্যাশায় বাংলাদেশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বেশ কিছু সমস্যা যেমন, তিস্তা নদী নিয়ে, বর্ডার হত্যা নিয়ে, রোহিঙ্গা (যদিও ভারত বলছে তারা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে) ইস্যু নিয়ে রয়েছে। তা ভারতের পররাষ্ট্র সচিবরের এই সফরে কতটুকু সমধান হবে তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
চীন-ভারত দুই দেশই তাদের উৎপাদিত করোনার টিকা বাংলাদেশকে দেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বল্পমূল্যে ও আগে পাওয়ার দিক বিবেচনা করে কিনলে দেশের কল্যাণ হবে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. সাহাব এনাম খান বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফর গুরুত্বপূর্ণ। তবে এতে অতি উৎসাহিত হওয়ার কিছু নেই। চীন, রাশিয়া আমাদের অফার (করোনার টিকা) করছে। যেটি আমাদের জন্য মঙ্গল, সেটিই অতি দ্রুত নেয়া উচিৎ।
টিকা পাওয়ার খবরটি খানিক স্বস্তির হলেও বড় অর্জন দেখছেন না সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হাসান।
তিনি বলেন, অক্সফোর্ড যেই করোনার টিকা উদ্ভাবন করেছে। সেটার বড় একটা অংশ ভারতে তৈরি হবে। আর এটা হলে আমার বিশ্বাস আমরা এই টিকাটা সাশ্রয়ী মূল্যে পাব। এটা আমাদের জন্য ভালো একটা খবর। আর যে বিষয়গুলো ঝুলে আছে, সত্যিকার অর্থে আমি সেগুলো নিয়ে কোনও আশা করতে পারছি না।
পশ্চিমা বিশ্বের মতো চীন ও ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশিদার। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে জাতীয় স্বার্থের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।
এসএ/এমকে
মন্তব্য করুন