হোসেনি দালানে বোমা হামলা: বয়স জটিলতায় থমকে গেছে বিচার
আজ পবিত্র আশুরা। ইসলামের ইতিহাসে এক অসামান্য তাৎপর্যে উজ্জ্বল আশুরা। মুসলিম উম্মাহর জন্য এক তাৎপর্যময় ও শোকাবহ দিন।
৬১ হিজরি সালের এই দিনে মুসলমানদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার পরিবারের সদস্যরা ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে কারবালার ময়দানে শহিদ হন।
এ ঘটনা স্মরণ করে বিশ্ব মুসলিম যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে।
বাংলাদেশেও আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় ও সংক্ষিপ্ত কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র আশুরা পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে আজ রোববার সরকারি ছুটির দিন।
৫ বছর আগে দিবস উপলক্ষে অন্য দেশের মতো ঢাকায় বের করা হয় তাজিয়া মিছিল। আর সেই তাজিয়া মিছিলের প্রাণকেন্দ্র পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে ভয়াবহ এক বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, হোসেনি দালানে হামলার ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এই ঘটনায় হওয়া মামলার বিচারে খুব একটা অগ্রগতি নেই। দুই আসামি ঘটনার সময় অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিলেন আসামিপক্ষের এমন দাবির পরই দেখা দেয় জটিলতা। প্রায় দুই বছর একই কারণে নতুন কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
ওই হামলার ঘটনায় হওয়া মামলাটি বর্তমানে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে বিচারাধীন। সবশেষ ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ৪৬ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে জেএমবির সদস্যরা হোসেনী দালানে গ্রেনেড হামলা চালায়। এতে দুইজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। ওই ঘটনায় চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন
এম
মন্তব্য করুন