• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
বঙ্গ রাখালের প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘বিপ্লবী লীলা নাগ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’
কবি জাহিদ নয়নের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘আততায়ী অন্ধকার’
কবি ও আবৃত্তি শিল্পী জাহিদ নয়নের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘আততায়ী অন্ধকার’ একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৫ উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে দ্বিমত পাবলিশার্স, আর এর নান্দনিক প্রচ্ছদ তৈরি করেছেন শিল্পী আইয়ুব আল আমিন। জাহিদ নয়ন, যিনি দীর্ঘ এক দশক ধরে দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, লিটল ম্যাগাজিন ও যৌথ সংকলনে নিয়মিত কবিতা ও প্রবন্ধ লিখে আসছেন, তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কে বলেন, ‘আততায়ী অন্ধকার’ বইটিতে প্রেম-বিরহ, বিদ্রোহ, বিপ্লব এবং আধ্যাত্মিক চিন্তাধারার মিশ্রণ রয়েছে। কবিতাগুলো পাঠকদের ভিন্ন ভিন্ন চিন্তার জগতে নিয়ে যাবে। দ্বিমত পাবলিশার্স-এর কর্ণধার একরাম আজাদ জানান, বইটি একুশে বইমেলার পাশাপাশি চট্টগ্রাম বইমেলাতেও পাওয়া যাবে। এছাড়া বাতিঘর, রকমারি এবং কলকাতার বুকস অব বেঙ্গল থেকে সহজেই সংগ্রহ করা যাবে। ‘আততায়ী অন্ধকার’ বইটির মুদ্রিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০৯ টাকা। এটি শুধু মেলায় নয়, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেও সংগ্রহ করতে পারবেন পাঠকরা। বইপ্রেমী এবং কবিতার পাঠকদের জন্য ‘আততায়ী অন্ধকার’ হতে পারে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচনের জানালা। কবিতার ভাষায় প্রেম, বিদ্রোহ, এবং আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া যারা খুঁজছেন, তাদের জন্য এই বই অবশ্যই একটি অনন্য সংযোজন। আরটিভি/এএইচ
অমর একুশে গ্রন্থমেলার গোড়াপত্তন ও কালানুক্রম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে ডালিমের লেখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধান বিচারপতি
পাপিয়া সারোয়ার: বাংলা গানে অনন্য এক স্বাক্ষর 
চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৪ গুণিজন
কবি হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজা বাংলা একাডেমিতে
কবি হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজা বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে।  শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হেলাল হাফিজের বড় ভাই দুলাল এ হাফিজ জানান, বাংলা একাডেমিতে শনিবার বেলা ১১টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।   তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় জানাজা রোববার বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।  কবি হেলাল হাফিজের মরদেহ গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় নেওয়া হবে না বলেও জানান দুলাল। এর আগে, এদিন দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত সুপার হোমের বাথরুমে পড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয় হেলাল হাফিজের। পরে কর্তৃপক্ষ তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কবি হেলাল হাফিজ গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়বেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন। হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায়। তার প্রথম কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত বইটির মুদ্রণ হয়েছে ৩৩ বারেরও বেশি। লেখালেখির পাশাপাশি হেলাল হাফিজ দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘যে জ্বলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশের পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন কবি। দেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় হেলাল হাফিজের ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র পঙক্তি ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ উচ্চারিত হয় মিছিলে, স্লোগানে, কবিতাপ্রেমীদের মুখে মুখে। ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তার আগে খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পান তিনি। আরটিভি/আরএ/এআর
দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজের বিখ্যাত ৫ কবিতা
নিষিদ্ধ সম্পাদকীয় এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় মিছিলের সব হাত কণ্ঠ পা এক নয় । সেখানে সংসারী থাকে, সংসার বিরাগী থাকে, কেউ আসে রাজপথে সাজাতে সংসার । কেউ আসে জ্বালিয়ে বা জ্বালাতে সংসার শাশ্বত শান্তির যারা তারাও যুদ্ধে আসে অবশ্য আসতে হয় মাঝে মধ্যে অস্তিত্বের প্রগাঢ় আহ্বানে, কেউ আবার যুদ্ধবাজ হয়ে যায় মোহরের প্রিয় প্রলোভনে কোনো কোনো প্রেম আছে প্রেমিককে খুনী হতে হয় । যদি কেউ ভালোবেসে খুনী হতে চান তাই হয়ে যান উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায় । এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় ।   ফেরীঅলা কষ্ট নেবে কষ্ট হরেক রকম কষ্ট আছে কষ্ট নেবে কষ্ট! লাল কষ্ট নীল কষ্ট কাঁচা হলুদ রঙের কষ্ট পাথর চাপা সবুজ ঘাসের সাদা কষ্ট, আলোর মাঝে কালোর কষ্ট ‘মালটি-কালার’ কষ্ট আছে কষ্ট নেবে কষ্ট। ঘরের কষ্ট পরেরর কষ্ট পাখি এবং পাতার কষ্ট দাড়ির কষ্ট চোখের বুকের নখের কষ্ট, একটি মানুষ খুব নীরবে নষ্ট হবার কষ্ট আছে কষ্ট নেবে কষ্ট। প্রেমের কষ্ট ঘৃণার কষ্ট নদী এবং নারীর কষ্ট অনাদর ও অবহেলার তুমুল কষ্ট, ভুল রমণী ভালোবাসার ভুল নেতাদের জনসভার হাইড্রোজনে দুইটি জোকার নষ্ট হবার কষ্ট আছে কষ্ট নেবে কষ্ট। দিনের কষ্ট রাতের কষ্ট পথের এবং পায়ের কষ্ট অসাধারণ করুণ চারু কষ্ট ফেরীঅলার কষ্ট কষ্ট নেবে কষ্ট। আর কে দেবে আমি ছাড়া আসল শোভন কষ্ট, কার পুড়েছে জন্ম থেকে কপাল এমন আমার মত ক’জনের আর সব হয়েছে নষ্ট, আর কে দেবে আমার মতো হৃষ্টপুষ্ট কষ্ট।   প্রস্থান এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিয়ো৷ এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালী তাল পাখাটা খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র দিয়ো৷ ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পত্র দিয়ো৷ কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল বাজে মনের কানে কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে পত্র দিয়ো, পত্র দিয়ো৷ আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেয়ো, আপত্তি নেই৷ গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে? আমি না হয় ভালোবেসেই ভুল করেছি ভুল করেছি, নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে পাঁচ দুপুরের নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায়? এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে, এক মানবী কতোটা আর কষ্ট দেবে!   অমিমাংসিত সন্ধি তোমাকে শুধু তোমাকে চাই, পাবো পাই বা না পাই এক জীবনে তোমার কাছেই যাবো। ইচ্ছে হলে দেখতে দিয়ো, দেখো হাত বাড়িয়ে হাত চেয়েছি রাখতে দিয়ো, রেখো। অপূর্ণতায় নষ্টে-কষ্টে গেলো এতোটা কাল, আজকে যদি মাতাল জোয়ার এলো এসো দু’জন প্লাবিত হই প্রেমে নিরাভরণ সখ্য হবে যুগল-স্নানে নেমে। থাকবো ব্যাকুল শর্তবিহীন নত পরস্পরের বুকের কাছে মুগ্ধ অভিভূত।   মানবানল আগুন আর কতোটুকু পোড়ে ? সীমাবদ্ধ ক্ষয় তার সীমিত বিনাশ, মানুষের মতো আর অতো নয় আগুনের সোনালি সন্ত্রাস। আগুন পোড়ালে তবু কিছু রাখে কিছু থাকে, হোক না তা শ্যামল রঙ ছাই, মানুষে পোড়ালে আর কিছুই রাখে না কিচ্ছু থাকে না, খাঁ খাঁ বিরান, আমার কিছু নাই। আরটিভি/এআর
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা শুরু মঙ্গলবার
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হবে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রাঙ্গণে উদ্বোধন করা হয় এ আয়োজনের। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত হচ্ছে এ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব। এ বছর দেশের ১২৮টি জায়গায় এ ভ্রাম্যমাণ মেলায় থাকবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের তিনটি গাড়ি। প্রতিটি গাড়িতে থাকবে ১০ হাজার করে বই। এসব বই ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি করা হবে। প্রতি জায়গায় পাঁচ দিন করে বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে বইমেলা। এদিন সকালে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নিজের ছাত্রজীবনের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মানেই স্মৃতিকাতর হওয়ার প্রসঙ্গ। গণগ্রন্থাগারের সঙ্গে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ছিল বই পড়ার অন্যতম জায়গা। বর্তমান সময়ে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যাতে সত্যিকারের আলোকিত মানুষ গড়ার পথ সুগম হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বই-ই পারে মানুষের হতাশা দূর করে জীবনকে আনন্দে পরিপূর্ণ করতে। তাই বইপড়া উদ্যোগের সঙ্গে সব সময় একাত্মতা পোষণ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুবিভাগ) নাফরিজা শ্যামা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি বলেন, প্রায় আড়াই কোটি পাঠককে বিনা পয়সায় বই পড়িয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বই সবার জন্য উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র কাজ করে যাচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের কমিউনিকেশন বিভাগের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারিয়া মাহবুবসহ অন্যরা। আরটিভি/এমএ
গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশের নতুন কমিটি
গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশের ২০২৪-২৬ মেয়াদি নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি আসিফ ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জয় শাহরিয়ার। গত ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৪-২৬ মেয়াদি গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশের ১৫ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নকীব খান। নির্বাচনের অপর দুই নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ফোয়াদ নাসের বাবু ও ফাহমিদা নবী। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি কে. এম. মোস্তাফিজুর রহমান (বাপ্পী খান), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাকীউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সীরাজুম মুনির, অর্থ সম্পাদক এনামুল কবির সুজন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেজাউর রহমান রিজভী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকী আহমদ, দপ্তর সম্পাদক আপন আহসান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তুষার হাসান এবং কার্যনির্বাহী সদস্য- আশরাফ বাবু, আশফাকুল বারী রুমন, অধরা জাহান, রবিউল আওয়াল ও তালহা বিন পারভেজ। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগে অ্যাডর্ন পাবলিকেশন ও গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশের যৌথ প্রকাশনায় প্রকাশিত ‘সংঘজনের গীতিকবিতা’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এতে দেশের খ্যাতিমান গীতিকবি থেকে নবীন ১২৯ জন গীতিকবির সংক্ষিপ্ত জীবনী, ছবি, প্রত্যেকের সেরা ১০টি গানের তালিকা ও ১টি করে পূর্ণাঙ্গ গানের গীতিকবিতা সন্নিবেশিত রয়েছে। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদেরকে শপথ পাঠ করান বিদায়ী সভাপতি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। শপথের পর দায়িত্ব হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়।  অনুষ্ঠানের শেষে সাংস্কৃতিক আয়োজনে সঙ্গীত পরিবেশন করেন তরুণ মুনশী, অটমনাল মুন, আশফাকুল বারী রুমন, জয় শাহরিয়ার, নাহিদ হাসান ও প্রিন্স রুবেল। আরটিভি/এইচএসকে   
মুহাম্মদ (সা.) স্মরণে সমধারার আয়োজন ‘নবিজি’ 
মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর স্মরণে সাহিত্যের কাগজ ‘সমধারা’ তৃতীয়বারের মতো সিরাত অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে।  শনিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রধান মিলনায়তনে বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিতব্য এই আয়োজন দুই পর্বে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্বে মহানবির (সা.) শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা নিয়ে আবৃত্তি প্রয়োজনা ‘দ্য লাইট ৩’। এর আগে, প্রথম পর্বে নবি আগমনের পটভূমি, দ্বিতীয় পর্বে সত্যের উপলব্ধি, সত্যের প্রচার; নির্মম নির্যাতনেও বিশ্বাসে অটল; হিজরত : সোনালি সকালের সূচনা নবি জীবনের এ বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।  এবারের পর্বে থাকছে মহানবি (সা.) মদিনায় শুরু করে ঘর গোছানোর কাজ; সীমিত শক্তি ও উপকরণ নিয়ে বদরের প্রান্তরে বড় বিজয়ের উপাখ্যান; ধনীর সম্পদে দরিদ্রের অধিকার প্রতিষ্ঠা; নিশ্চিত বিজয় যেভাবে বিপর্যয়ে পরিণত হলো; ওহুদের প্রান্তরে বিপর্যয় থেকে বিজয়, এই বিষয়গুলো ধরে ‘দ্য লাইট ৩’ তৈরি করা হয়েছে। প্রযোজনায় যুক্ত হয়েছে কুরআনের বাণী, নবির জীবনী অংশ বিশেষ, কাজী নজরুল ইসলাম রচিত নাত এবং নবিজিকে নিবেদিত কবিতা।  সবশেষে থাকছে নবিজিকে (সা.) নিবেদিত সমধারার ১০৩তম সংখ্যার পাঠ উন্মোচন। সংখ্যায় প্রবন্ধ ও কবিতা স্থান পেয়েছে। উল্লেখযোগ্য লেখকরা হচ্ছেন ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন, হাসান হাফিজ, রোকেয়া ইসলাম,  মুহম্মদ নুরুল হুদা, ফরিদ আহমদ দুলাল, আজিজুল আম্বিয়া, চৌধুরী মনজুর লিয়াকত রুমি, দীপু মাহমুদ, ড. মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, আরিফ মঈনুদ্দীন প্রমুখ।     আরটিভি নিউজ/টিআই
ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন আরটিভির রুবেলসহ ২৫ সাংবাদিক
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন লেখক মাইদুর রহমান রুবেলসহ ২৫ সাংবাদিক। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মানবজমিন সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরী। বিজয়ীদের নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদ এবং সম্মাননা প্রাপ্তদের ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, লেখক-সাহিত্যিক আমাদের সমাজের দর্পন। তারা তাদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজের ভুলত্রুটি, ভালো-মন্দ, অসংঙ্গতি সবকিছু তুলে ধরতে পারে। নিরেট আনন্দ দিতে পারে। নিরানন্দ জীবনে একটা ভালো গল্প, একটা ভালো কবিতা ও প্রবন্ধ অনেক বেশি উপকারে আসতে পারে মানুষের জীবনে। তিনি আরও বলেন, যেকোনো মানুষই তার কাজের স্বীকৃতি চান। তবে লেখক হোক, গায়ক হোক বা অভিনয় শিল্পী হোক তিনি কিন্তু পুরস্কারের আশায় কাজ শুরু করেন না। কাজ করতে করতে যখন পুরস্কার পান, কাজের স্বীকৃতি পান তখন তার কাজের স্পৃহা আরও বেড়ে যায়, দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। এ সময় তিনি লেখক-সাহিত্যিকদের পুরস্কৃত করার জন্য ডিআরইউকে ধন্যবাদ জানান তিনি। পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বলেন, এ সাহিত্য পুরস্কার ডিআরইউ সদস্যদের মননশীলতা বিকাশে সহায়ক হবে এবং ডিআরইউতে সাহিত্য চর্চা আরও বেগবান করবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউর সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী সম্পাদক মাহমুদা ডলি,  তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা) ক্রীড়া সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন, কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ শিপন, মুহিববুল্লাহ মুহিব, রফিক মৃধা, দেলোয়ার হোসেন মহিন ও শরিফুল ইসলাম। এ বছর ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ৩ জন। কাব্যে (কবিতা/ছড়া) হাসান হাফিজ (কালের কণ্ঠ) মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা) ক্যাটাগরিতে জাকির হোসেন (কালবেলা) ও কথা সাহিত্যে (গল্প/উপন্যাস) আহমেদ আল আমীন (বাংলাদেশ প্রতিদিন)। এ ছাড়াও লেখক সম্মাননা পেয়েছেন আরও ২২ সাংবাদিক। কাব্য (কবিতা/ছড়া): শেখ এনামুল হক (চলো ফিরে যাই অরণ্যে), চপল, মাইদুর রহমান রুবেল (প্রেমের কবিতা সংকলন), বাশার (নির্বাচিত কবিতা), উমর ফারুক (দ্রোহের উপধারা)।  কথা সাহিত্যে (গল্প/উপন্যাস): এহসানুল হক জসীম (বরাক পারের বয়ান), জীবন ইসলাম (পূর্ণিমায় সেন্টমার্টিন), প্রণব মজুমদার (বিড়াল কাণ্ড), সিরাজুল ইসলাম কাদির (সবুজ ভালোবাসা), আবু আলী (প্যারিস থেকে হামবুর্গ), মুহম্মদ মোফাজ্জল (চাষাভুষার সন্তান) কাওসার রহমান (সিঁদুর) ও কানাই চক্রবর্ত্তী (ইতিহাসে নেই)।  মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা): আসিফ হাসান (হসপিস ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার : পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ), সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা (রেখার মাঝে), মোহাম্মদ আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর (Dhaka : A City Plagued by problems), মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল (যাপিত জীবনের গল্প ), সিদ্দিকুর রহমান খান (কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা), আমিরুল মোমেনীন মানিক( নিষিদ্ধ গান বিশুদ্ধ বাদ্য), মিজান রহমান (বরিশালে ৭৩০ দিন) কুদরাত-ই-খোদা (সিভিল সার্ভিসের ভিতর বাহির), মোস্তফা কামাল মজুমদার (Thorny Path of Jounalism) ও শাহেদ মতিউর রহমান ( আওয়ামী লীগের বিতর্কিত কারিকুলাম)।
সুন্দর কিছু দিয়ে প্রতিটা মিনিট এই পৃথিবীকে উপহার দাও: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন, তোমরা সবাই বড় হও। নানান দিকে বিকশিত হও। চারিদিকে তোমাদের আলোর ঝরণাধারা ছড়িয়ে পড়ুক। জীবনকে মূল্যবান ভেবো। প্রতিটা মিনিট এই পৃথিবীকে উপহার দাও, বড় কিছু দিয়ে, সুন্দর কিছু দিয়ে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আলোর ইশকুল কার্যক্রমের পাঁচ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে পাঠক সদস্যদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি। এ উপলক্ষে বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশিত হয়। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। পাঠচক্র সদস্যদের স্মৃতিচারণ, কবিতা পাঠ, গান, নাচ, পুঁথি পাঠ, নাটিকাসহ নানা আয়োজনে বর্ণিল হয়ে ওঠে পাঁচ বছর পূর্তি উৎসব। এই উদযাপানকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রকাশিত হয় স্মৃতি ও সৃজন নামের বিশেষ স্মরণিকা, সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন রুখসানা মিলি, প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করেন মুহিব নেসার। এ উৎসবের আহ্বায়ক ছিলেন মো. সাকিব চৌধুরী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন অদ্রিকা এষণা পূর্বাশা। ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর ফ্রানজ কাফকার বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস মেটামরফোসিস পাঠের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই বিশেষায়িত পাঠচক্র। পাঁচ বছরের পরিক্রমায় বাংলা সাহিত্য ও বিশ্বসাহিত্যের দেড়শোর বেশি বই দলগতভাবে পাঠ ও আলোচনা করা হয় এ পাঠচক্রে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, লিও তলস্তয়, জ্যঁ পল সার্ত্র, জ্যাক লন্ডন, ম্যাক্সিম গোর্কি, হেনরিক ইবসেন, জ্যঁ জিরাদু, নিকোলাই গোগল, ক্লাইভ বেল, আন্তন শেখভ, ফিওদর দস্তয়ভস্কি, জর্জ বার্নাড শ, ইউজিন ও নীল, ভলতেয়ার, লর্ড মেকলে, জোনাথন সুইফট, ইউভাল নোয়াহ হারারি, আলবেয়ার কাম্যু ও মিগেল দে সেরভানতেসের মতো বিশ্বনন্দিত সাহিত্যিক ও চিন্তকদের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলো ছিল এই পাঠচক্রের পাঠ্য তালিকায়। চিরন্তর ও সমকালীন বাংলা সাহিত্য থেকে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রমথ চৌধুরী, জসীমউদ্‌দীন, বেগম রোকেয়া, নিরঞ্জন মজুমদার, অন্নদাশংকর রায়, মৈত্রেয়ী দেবী, জাহানারা ইমাম, সরদার ফজলুল করিম, আহমদ ছফা, শংকর, প্রবোধকুমার সান্যাল, সাগরময় ঘোষ রচিত নির্বাচিত বইও পড়েছেন পাঠচক্রের সদস্যরা। নিয়মিত বই পড়ার পাশাপাশি এই পাঠচক্রের সদস্যরা একসঙ্গে ভ্রমণ, মঞ্চ নাটক দেখা, গাছ-ফুল- নিসর্গ পরিচিতি, রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী, বিভিন্ন প্রতিবাদে অংশগ্রহণও করে। সমাজের যেখানে যার অবস্থান সেখান থেকেই নিজেদের আরও একটু উন্নততর মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে পাঠচক্রের সদস্যদের এ একত্রিত পথচলা। আরটিভি/এমএ-টি