• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ প্রসঙ্গে যা বলল বিটিআরসি
অ্যান্ড্রয়েডে ভয়ংকর ত্রুটি, ঝুঁকিতে শতকোটি ব্যবহারকারী
অ্যান্ড্রয়েড বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম। এটি একটি ওপেন সোর্স মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যেটি পরিবর্তিত লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে গুগল এটির উন্নয়ন করছে। গুগল এবং অন্যান্য মুক্ত হ্যান্ডসেট অ্যাল্যায়েন্সের সদস্যরা অ্যান্ড্রয়েডের ডেভেলপমেন্ট ও রিলিজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স প্রজেক্ট’টি (এওএসপি) অ্যান্ড্রয়েডের রক্ষনাবেক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়নের কাজ করে। এবার অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের বড় ধরনের নিরাপত্তা ত্রুটির খোঁজ পেল প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট।  সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার। মাইক্রোসফটের দাবি, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে ত্রুটি পাওয়া গেছে। যেটি ব্যবহার করে স্মার্টফোন থেকে তথ্য চুরির পাশাপাশি ইনস্টল করা অন্য অ্যাপেরও তথ্য চুরি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে ক্ষতিকর কোড যুক্ত করে দূরে থেকেই অন্যে স্মার্টফোনের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে হ্যাকাররা। ক্ষতিকর এ ম্যালওয়্যারের নাম ‘ডার্টি স্ট্রিম ম্যালওয়্যার’। যা গুগল প্লে স্টোরে থাকা জনপ্রিয় বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেসব অ্যাপ ইতোমধ্যে প্রায় ৪০০ কোটির বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে। এসব অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারী মারাত্বক ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, ডার্টি স্ট্রিম ম্যালওয়্যার থাকলে স্মার্টফোনে থাকা এক অ্যাপ অন্য অ্যাপের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে। এতে স্মার্টফোনে সংরক্ষণ করা তথ্যের পাশাপাশি অন্য অ্যাপে থাকা ব্যবহারকারীদের তথ্যও হ্যাকারদের দ্রুত পেয়ে যাচ্ছে। মাইক্রোসফট ডার্টি স্ট্রিম ম্যালওয়্যারযুক্ত দুটি অ্যাপের নাম জানিয়েছে। এর মধ্যে একটি স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমির তৈরি জনপ্রিয় ‘ফাইল ম্যানেজার’ আর অন্যটি ‘ডব্লিউপিএস অফিস’। এই দুটি অ্যাপ ১৫০ কোটি বারের বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিষয়টি জানতে পেরে নিজেদের অ্যাপের নিরাপত্তা হালনাগাদ করেছে শাওমি ও কিংসফট। একই সঙ্গে গুগলও নিজেদের প্লে স্টোরের নিরাপত্তা নির্দেশিকা হালনাগাদ করেছে দুই প্রতিষ্ঠান। ডার্টি স্ট্রিম ম্যালওয়্যারযুক্ত দুটি অ্যাপের নামও প্রকাশ করেছে মাইক্রোসফট, যার মধ্যে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমির তৈরি জনপ্রিয় ফাইল ম্যানেজার। অন্য অ্যাপটি হলো ডব্লিউপিএস অফিস। এরই মধ্যে অ্যাপ ২টি দেড়শো কোটির বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
সিক্স-জি নিয়ে হাজির জাপান, গতি ফাইভ-জি’র চেয়ে ২০ গুণ
গুগল ম্যাপে যেভাবে চিনবেন জাতীয়-আঞ্চলিক মহাসড়ক
বাংলাদেশে আসছে অপো এ৬০
স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় চোখ নিরাপদ রাখার ৬ কৌশল
ভিজলেও নষ্ট হয় না এই ল্যাপটপ, পাবেন দেশেই
দেশের বাজারে ‘আইডিয়াপ্যাড স্লিম ৩ আই’ মডেলের লেনেভোর নতুন ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে। এটি টি ৮১০ এইচ মিলিটারি গ্রেড স্ট্যান্ডার্ড প্রযুক্তির পানিরোধী হওয়ায় ভিজলেও নষ্ট হবে না।  সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গ্লোবাল ব্র্যান্ড। এতে বলা হয়েছে, ১৪ এবং ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল হাই ডেফিনেশন পর্দার ল্যাপটপটির ধারণক্ষমতা ৫১২ গিগাবাইট, যা ১ টেরাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যায়। ৮ গিগাবাইট র‍্যাম সুবিধার ল্যাপটপটিতে টি ইউভি লো ব্লু লাইট ডিসপ্লে প্রযুক্তি থাকায় চোখের ক্ষতি হয় না। ল্যাপটপটিতে দুটি অ্যান্টিনাযুক্ত ওয়াইফাই ৬ রিসিভার রয়েছে, ফলে সহজেই নিরবচ্ছিন্নভাবে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। দুটি মাইক্রোফোন এবং ডলবি অডিও স্টেরিও স্পিকারযুক্ত ল্যাপটপটিতে ৬৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সুবিধা থাকায় চার্জ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। জানা গেছে, ইন্টেলের ১২ প্রজন্মের কোর আই ৫ প্রসেসর থাকায় দ্রুত কাজও করা যায় ল্যাপটপটিতে। দুই বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ সংস্করণভেদে ল্যাপটপটির সর্বনিম্ন দাম ৭০ হাজার টাকা।  
মোবাইল ডাটা দ্রুত শেষ না হওয়ার উপায়
চলতি বছরের মার্চে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম প্রতি জিবিতে গড়ে বেড়েছে ২০ টাকা। ফলে বিভিন্ন কোম্পানির সিম দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের খরচ বেড়ে গেছে ৩০ শতাংশ। কিন্তু মোবাইল ডেটা ব্যবহার করে শান্তি পাওয়া যায় না। খুব দ্রুতই যেন শেষ হয়ে যায় এ ধরনের ইন্টারনেট প্যাক। মোবাইল ডেটার অন্যতম সুবিধা হলো যেকোনো স্থানেই মোবাইল ডেটা ব্যবহার করা যায়। লোডশেডিংয়েও নেট দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন আপনি, যা ওয়াইফাই ব্যবহারে সম্ভব হয় না। কীভাবে মোবাইল ডাটা সাশ্রয় করবেন এবার সেই উপায় জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সাইট গাইডিং টেক। চলুন জেনে নেই মোবাইল ডেটা যাতে দ্রুত শেষ না হওয়ার উপায়।  আপনি যদি অ্যাড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন তবে এই মোবাইলে আপনি দুর্দান্ত সেটিং পাবেন। এই ফিচারের নাম ডেটা সেভার মোড। এ ফিচার ব্যবহার করলে আপনি ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক রিল এবং ইউটিউব যতই দেখেন না কেন, ডেটা ব্যবহারের হিসাব কমে আসবে।  মোবাইলে এই সেটিংটি করতে প্রথমে আপনাকে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের সেটিংসে যেতে হবে। সেখানে সিম কার্ড এবং মোবাইল ডেটার অপশন পাবেন। সেটিতে ক্লিক করুন। এরপর ডেটা ইউজেস অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ব্যবহারকারীরা ডেটা সেভিং অপশন পাবেন। এতে ট্যাপ করুন। এরপর ডেটা সেভিং টগল চালু করলেই আপনি এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
আইফোনের বিক্রি কমেছে বিশ্বজুড়ে
অ্যাপলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আইফোনের বিক্রি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ১০ শতাংশেরও বেশি কমেছে। এর মধ্য দিয়ে অ্যাপলের রাজস্বে গুরুত্ব কমেছে আইফোনের। জানুয়ারি থেকে মার্চ- এই তিন মাসে ইউরোপ ছাড়া বিশ্বের প্রতিটি বাজারে কমেছে আইফোনের বিক্রি। অ্যাপল আরও বলেছে, সামগ্রিকভাবে বছরে প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির রাজস্ব আয় ৪ শতাংশ কমে ৯০ দশমিক ৮ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৮০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। গত এক বছরে তাদের রাজস্ব আয় আর কখনোই এতটা কমেনি। খবর বিবিসির। বলা হচ্ছে, অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হওয়ার কারণে আইফোন বিক্রির এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চীনের বাজারে শাওমি ও হুয়াওয়ের মতো স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার কারণে চাপের মুখে রয়েছে অ্যাপল। বিশাল এই বাজারটিতে ৮ শতাংশ বিক্রি কমেছে আইফোনের। অ্যাপল প্রধান টিম কুক অবশ্য বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের বাজার নিয়ে অ্যাপলের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে অ্যাপল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সামনের মাসগুলোতে নতুন আইফোন বাজারে এলে এর বিক্রি বৃদ্ধি পাবে।
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার, নিয়ম না মানলেই অ্যাকাউন্ট ব্যান
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে মেটার হোয়াটসঅ্যাপ। এই অ্যাপের মেসেঞ্জার হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে উপলব্ধ ফ্রিওয়্যার, ক্রস-প্ল্যাটফর্ম, সেন্ট্রালাইজড ইন্সট্যান্ট মেসেজিং এবং ভয়েস-ওভার-আইপি পরিষেবা। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পাঠ্য এবং ভয়েস বার্তা পাঠাতে, ভয়েস এবং ভিডিও কল করতে এবং ছবি, নথি, ব্যবহারকারীর অবস্থান এবং অন্যান্য শেয়ার করতে দেয়। হোয়াটসঅ্যাপের ক্লায়েন্ট অ্যাপ্লিকেশন মোবাইল ডিভাইসে চলে এবং কম্পিউটার থেকে অ্যাক্সেস করা যায়। তুমুল জনপ্রিয় হওয়ায় একের পর এক ফিচার এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ। সম্প্রতি সাড়া ফেলা বেশ কয়েকটি ফিচারের পর ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে দিন দিন কঠোর হচ্ছে মেটার মালিকানাধীন সাইটটি। এবার নতুন নিয়ম আনলো প্ল্যাটফর্মটিতে। যা ভাঙলেই ব্যান হবেন ব্যবহারকারী। শিগগির আসতে চলেছে অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিকশন ফিচার। এই ফিচারের নিয়ম না মানলে বন্ধ হয়ে যাবে চ্যাটিং করা।  প্রতিষ্ঠানটি খুব শিগগির রোল আউট করবে বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। প্রতিবেদনে থেকে জানা গেছে, অ্যাপে যে ফিচারটি যুক্ত হবে তা না মানলে কিছু সময়ের জন্য চ্যাটিং করতে পারবেন না। অ্যাপ তো খুলবে কিন্তু কাজ করবে না। সব ফিচার নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। তবে এটি নতুন চ্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে। পুরাতন চ্যাটে যারা রয়েছেন তাদের সাথে যোগযোগ বা চ্যাটিং চালিয়ে যাওয়া যাবে। এরই মধ্যে প্ল্যাটফর্মে একাধিক অটোমেটেড টুল বসিয়ে রেখেছে হোয়াটসঅ্যাপ। যাদের কাজ হলো অ্যাপে কোনো স্প্যাম, বাল্ক মেসেজ এবং অন্যান্য অপব্যাবহার হচ্ছে কি না দেখা। হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন থাকায় স্বাধীনভাবে কাজ করে এই অটোমেটিক টুলগুলো। যদি কোনো অপব্যবহার বা স্প্যামিং ধরা পড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সুখবর
অবশেষে সব ধরনের রিচার্জে মেয়াদ বাড়িয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, এখন থেকে গ্রামীণফোনের ২০ থেকে ৪৯ টাকা রিচার্জের ক্ষেত্রে মেয়াদ হবে ৩৫ দিন, যা আগে ছিল ১৫ দিন। ৫০ থেকে ১৪৯ টাকা রিচার্জের মেয়াদ ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৪৫ দিন এবং ১৫০ থেকে ২৯৯ টাকা রিচার্জের মেয়াদ ৪৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৬৫ দিন করা হয়েছে।  এ ছাড়া ২৯৯ টাকার বেশি যেকোনো রিচার্জের মেয়াদ হবে ৩৯৫ দিন। সব ধরনের প্রিপেইড গ্রাহক ইলেকট্রনিক রিচার্জ সিস্টেম (ইআরএস), মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এবং অনলাইন রিচার্জের মাধ্যমে অফারগুলো উপভোগ করতে পারবেন। রিচার্জের মেয়াদকাল রিচার্জের দিন থেকে শুরু হবে।
দেখে নিন ফেসবুকে দিনে কত সময় কাটাচ্ছেন
ফেসবুক হলো মেটার মালিকানাধীন বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, যা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিত্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন।    সারাবিশ্বে বর্তমানে এই ফেসবুক ব্যবহার করছেন ২.৯৩ বিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী। আপনিও তার মধ্যে একজন। নানান কাজে দিনের বেশিরভাগ সময়টা কাটাচ্ছেন ফেসবুকে। অনেকেই এই সময় কাজে লাগিয়ে ফেসবুক থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।  আপনি প্রতিদিন কত সময় ধরে ফেসবুক ব্যবহার করছেন তা চাইলেই জানতে পারবেন- প্রথমে ফেসবুক অ্যাপ ওপেন করুন। এবার মূল ফিডের ডান দিকের ওপরে থাকা হ্যামবার্গার মেন্যুতে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি’ তে ক্লিক করুন। এবার ‘ইওর টাইম অন ফেসবুক’ এ ট্যাপ করতে হবে। এরপর নতুন একটি ম্যানু ওপেন হবে, সেখানে ‘সি ইওর টাইম’ এ ট্যাপ করে দেখতে পারবেন প্রতিদিন ফেসবুক ব্যবহারে কত সময় ব্যয় হয়েছে তার রিপোর্ট।
এসির ‘টন’ কী? কেনার আগে জেনে নিন
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। একটু প্রশান্তি পেতে সামর্থবানরা তো বটেই মধ্যবিত্তরাও মার্কেটে ছুটছেন এয়ার কন্ডিশনার বা এসি কিনতে। এজন্য যেকোনো টনের এসি কিনলেই হবে না। এসি কেনার সময় ঘরের মাপ অনুযায়ী কিনতে হবে। অনেকেই হয়তো এই টনের মানে বোঝেন না। আসলে এই টন এসির সাইজ বা ওজনকে বোঝায় না। ১ টন এসি মানে হলো ১২০০০ বিটিইউ/আওয়ার, ১.৫ টন মানে হলো ১৮০০০ বিটিইউ/আওয়ার, এভাবে বাড়তে থাকে। এক টনের একটি এসি প্রতি ঘণ্টায় ঘর থেকে ১২০০০ বিটিইউ তাপ শোষণ করতে পারে। দুই টন এসি থাকা মানে প্রতি ঘণ্টায় ২৪ হাজার বিটিইউ তাপ বের করে দেওয়া। আরও সোজা করে বললে, এক টন বরফ এক ঘণ্টায় একটা ঘরের তাপমাত্রা যতটা ঠান্ডা করবে, এক টন এসির কার্যক্ষমতাও একই। তার মানে যত বেশি টন মানের এসি; তত বেশি কুলিং ক্ষমতা। এক টন এসি কথাটা তাই এসির ওজন থেকে নয়, বরং আগের এক টন বরফ গলিয়ে বাতাস ঠান্ডা করার রীতি থেকে এসেছে। তবে আপনার ঘরের জন্য কত টনের এসি কিনবেন, তা নির্ণয়ের সময় ঘরের আকার জানার পাশাপাশি ঘরটি কততম ফ্লোরে অবস্থিত, সূর্যের তাপ দেয়ালের কোন পাশে লাগে, ঘরে কতজন মানুষ থাকবে, ঘরে কোনো হিটিং জিনিসপত্র যেমন- ওভেন বা আয়রন ব্যবহার করবেন কি না, জানালা, দরজা, পর্দা, সিলিং, ফ্লোর- এসবের হিট কন্ডাকটিভিটি কেমন এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে। আপনার ঘর যদি ১০০-১২০ স্কয়ার ফুট হয়, সেক্ষেত্রে ১ টন এসি যথেষ্ট। ১২০-১৫০ স্কয়ার ফুট ঘরের জন্য প্রয়োজন ১.৫ টন এসি, ১৫০-২৫০ স্কয়ার ফুট বা তার বেশি আয়তনের ঘরের জন্য প্রয়োজন ২ টন ক্ষমতার এসি। আবার ঘর যদি ২৫১-৪০০ স্কয়ার ফিট বা তার চেয়ে বেশি আয়তনের হয় তাহলে ২.৫ টন বা তার থেকে বেশি টন এসি কিনতে পারেন। এছাড়া অনলাইনে এসি কেনার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা দরকার। যেমন ডেলিভারি আর ইন্সটলেশন চার্জ কেমন, ওয়ারেন্টি ঠিকঠাক আছে কিনা এগুলো জেনে নেবেন।  এসি ব্যবহারের আগে আরও যা জানা দরকার দীর্ঘসময় এসি চালানো উচিত নয়। চালাতে হলে মাঝে কিছুক্ষণের বিরতি দিতে হবে। এসির আউটডোর ইউনিট এমন স্থানে রাখতে হবে যেন সেটা গাছ দিয়ে ঢাকা না থাকে। খোলামেলা ও বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে রাখবেন এসির বাইরের অংশ। এসি বেশি ব্যবহৃত হলে ৬ মাসে একবার এবং কম ব্যবহৃত হলে বছরে একবার বিশেষজ্ঞ হাতে সার্ভিসিং করাতে হবে।