• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
বাংলাদেশ নিয়ে রিপাবলিক বাংলার ফের মিথ্যা খবর
হীরার তৈরি যে ব্যাটারি একবার চার্জে চলবে হাজার বছর
বিশ্বে প্রথমবার হীরার মতো দামি পাথর দিয়ে তৈরি হলো এমন এক ব্যাটারি, যা একবার চার্জ করলেই চলবে হাজার বছর। এই যুগান্তকারী উৎস শুধু চিকিৎসা সরঞ্জাম আর মহাকাশযানে ব্যবহারের জন্য নয়, এটি পাল্টে দেবে ভবিষ্যতের প্রযুক্তির দিকনির্দেশনা ।  এই অসাধারণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাজ্যের অ্যাটমিক এনার্জি অথরিটি (ইউকেএইএ) এবং ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা। কার্বন-১৪ নামে এক তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ দিয়ে তৈরি এই ব্যাটারিকে বলা হচ্ছে ডায়মন্ড ব্যাটারি। এটি সৌর প্যানেলের মতো কাজ করে, তবে আলোর পরিবর্তে কার্বন-১৪ এর ক্ষয় থেকে পাওয়া ইলেকট্রনকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করে। আরও মজার বিষয় হলো এটি শুধু দীর্ঘস্থায়ী নয়, অত্যন্ত নিরাপদ। এটি স্মার্টফোন, গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম যেমন পেসমেকার, শ্রবণ সহায়ক যন্ত্র এবং চোখের ইমপ্ল্যান্টে এই ব্যাটারি ব্যবহার করা যাবে। রোগীদের জন্য এটি হবে একটি বিশাল সুবিধা, কারণ একবার ব্যাটারি লাগানোর পর আর বদলানোর প্রয়োজনই হবে না। মহাকাশ গবেষণার জন্যও এটি হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। চরম পরিবেশে সাধারণ ব্যাটারি যেখানে কাজ করে না, সেখানেও ডায়মন্ড ব্যাটারি কাজ করতে সক্ষম। মহাকাশযান, স্যাটেলাইট এবং পেলোডের মতো ডিভাইসগুলোতে এটি কয়েক দশক ধরে শক্তি সরবরাহ করতে পারবে। কারণ, একবার চার্জ দিয়ে এটি মহাকাশযানে কয়েক শ বছর কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম। তবে, এর দাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হীরার মতো ব্যাটারির মূল্য সাধারণ মানুষের জন্য কতটা সাশ্রয়ী হবে, সেটি নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে এর উৎপাদন প্রক্রিয়া উন্নত হলে খরচ কমে আসবে। এই ব্যাটারির প্রযুক্তি আরও একটি বিশেষ দিক তুলে ধরে—এটি পরিবেশবান্ধব। তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ হলেও, কার্বন-১৪ এর ক্ষুদ্র পরিমাণ কৃত্রিম হীরায় সুরক্ষিতভাবে স্থাপন করা হয়। তাই এটি ব্যবহারে কোনো ঝুঁকি নেই। গবেষকদের মতে, এই ব্যাটারি শুধু শক্তি খাতে নয়, প্রযুক্তির অন্যান্য ক্ষেত্রেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। এটি এমন এক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে, যা ভবিষ্যতের অনেক জটিল সমস্যার সমাধান দেবে। আরটিভি/জেএম/এআর
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ
নিজস্ব ফ্যাক্টচেকিং ব্যবস্থায় তাক লাগাতে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ 
প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড করবেন যেভাবে
পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে ফ্যাক্ট-চেকিং বন্ধ করবে মেটা 
নতুন ইউনিকর্ন বাইক আনল হোন্ডা
হোন্ডার জনপ্রিয় মোটরসাইকেল সিবি ইউনিকর্ন সম্প্রতি নতুন রূপে আন্তর্জাতিক বাজারে এসেছে। ২০২৫ এডিশনের এই বাইকে নতুন বেশ কিছু ফিচার যোগ করা হয়েছে। হোন্ডার এই বাইকে একটি ১৬৩ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন, ফুয়েল ইঞ্জেক্টেড পেট্রোল ইঞ্জিন রয়েছে। আরও অসংখ্য ফিচার থাকছে নতুন এই বাইকে। হোন্ডা ইউনিকর্নের এই নতুন ভার্সনে ইনস্টল করা হয়েছে ফুল ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। এর সঙ্গে সঙ্গে এলইডি হেডল্যাম্প, সার্ভিস রিমাইন্ডার, ১৫ ওয়াটের ইউএসবি টাইপ সি চার্জিং পোর্ট এই বাইকে রয়েছে। এই বাইক আবার গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর এবং একটি ইকো ইন্ডিকেটরের সঙ্গে বাজারে এসেছে। ২০২৫ এডিশনের হোন্ডা ইউনিকর্নে ব্যবহৃত হয়েছে একটি আপডেটেড ১৬২.৭১ সিসি, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা ওবিডি২বি নিয়মাবলী মেনে তৈরি। এই ইঞ্জিনটি আগের মডেলের তুলনায় সামান্য বেশি পাওয়ার এবং টর্ক উৎপ পালনকারী ইঞ্জিনটি ১৩ বিএইচপি এবং ১৪.৫৮ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। মোটরসাইকেলটিতে পাঁচ-গতির গিয়ারবক্স যুক্ত রয়েছে। এটি যাত্রাপথে মসৃণ অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। হোন্ডার এই নতুন বাইক ৩টি রঙের বিকল্প নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাট অ্যাক্সিস গ্রে মেটালিক, পার্ল ইগনিয়াস ব্ল্যাক এবং রেডিয়ান্ট রেড মেটালিক রং। বাইকের অন রোড দাম ভারতীয় বাজারে ১ লাখ ৩৪ হাজার রুপি থেকে শুরু। সূত্র: হিন্দুস্থান অটো আরটিভি/এমএ/এআর
নতুন বছরে হোয়াটসঅ্যাপের উপহার একগুচ্ছ ফিচার
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং এন্ড কলিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হচ্ছে এতে, যার ফলে নতুন সব অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারছেন ব্যবহারকারীরা। সবশেষ হোয়াটসঅ্যাপের ফিচারে যুক্ত হয়েছে চ্যাটজিপিটি, যেখানে সরাসরি ব্যবহারকারী এই এআইয়ের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। সদ্য বিদায়ী বছরে হোয়াটসঅ্যাপ তার প্ল্যাটফর্মে এরকম উপভোগ্য অসংখ্য ফিচার যুক্ত করেছে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। এবার কলিং ফিচারে একাধিক নতুন আপডেটের ঘোষণা দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। মেটা মালিকানাধীন মেসেজিং অ্যাপটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রতিদিন ২ বিলিয়নের বেশি কল করেন ইউজাররা। তাই কলিংকে আরও ইন্টারঅ্যাকটিভ এবং সহজ করতে ডেস্কটপ এবং মোবাইল ইউজারদের জন্য নতুন টুল নিয়ে আসা হচ্ছে। পাশাপাশি ভিডিও কলেও আসছে নতুন এফেক্টস। ডেস্কটপে কল করাও আগের চেয়ে সহজ হয়ে যাবে। সঙ্গে ভিডিও কলের গুণমানও বাড়তে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই বিষয়গুলোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন ব্যবহারকারীরা। অবশেষে তাদের ইচ্ছাপূরণ হতে চলেছে। এছাড়াও ডেস্কটপ ভার্সনে উন্নত কলিং ট্যাব নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ, যা কল শুরু করা, কল লিঙ্ক তৈরি করা এমনকি একটি নির্দিষ্ট নম্বরে ডায়াল করা সহ এক ক্লিকে সব ফিচারের অ্যাক্সেস দেবে। গ্রুপ হোক কিংবা বান্ধববান্ধব, সামনের দিনে ভিডিও কলের গুণমান আগের চেয়ে আরও উন্নত হতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপে। ভিডিও এবং ছবির কোয়ালিটি হবে উচ্চমানের। ডেস্কটপ অ্যাপ এবং মোবাইল; উভয় ক্ষেত্রেই এই সুবিধাগুলো পাবেন ব্যবহারকারীরা। আরটিভি/এসএইচএম
নিদিষ্ট চক্রের স্বার্থে বিটিআরসি’র তড়িঘড়ি নীতিমালা, বাড়বে ইন্টারনেটের দাম
দুই বছর ধরে ঝুলে থাকা ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) নীতিমালা সংশোধন না করে তড়িঘড়ি করে ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ করতে চলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি)। অভিযোগ উঠেছে, এই নীতিমালার মাধ্যমে একচেটিয়া মোবাইল ফোন অপাটেরদের হতে টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যবসা তুলে দিতে চলেছে বিটিআরসি। ফলে বাড়বে ইন্টারনেট সেবার দাম। টেলিযোগাযোগ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৮ সালে টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১ সালের আলোকে এনটিটিএন নীতিমালা করে বিটিআরসি। যেটির সংশোধনের প্রস্তাব গত দুই বছর ঝুলিয়ে রেখে নতুন ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ করতে যাচ্ছে বিটিআরসি। ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ ও এনটিটিএন এর মধ্যে কোনো পার্থক্য না থাকায় সংশ্লিষ্টদের শঙ্কা, এটি টেলিযোগাযোগ খাতে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি করবে। একই সঙ্গে অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে দেশীয় বিনিয়োগে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে পারেন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা ‘ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই সঙ্গে দেশের ইন্টারনেট সেবার দাম বাড়তে পারে। দেশীয় উদ্যোক্তারা বলছেন, বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরদের হাতে দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা তুলে দেওয়ার আয়োজন করতে চলেছে।এনটিটিএন নীতিমালা সংশোধন না করে প্রয়োজন ছাড়াই ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ অনুমোদন করতে চলেছে।  সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৯ ডিসেম্বর) কমিশন সভায় ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ অনুমোদন করার আয়োজন চূড়ান্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর হঠাৎ করেই এই গাইডলাইন করার কথা জানিয়ে খসড়া ওয়েবসাইটে দেয় বিটিআরসি। এতে মোবাইল অপারেটরদের নিজস্ব ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপারেটরদের ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়ারও সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে টেলিযোগাযোগ খাতের সব ধরনের সেবার নিয়ন্ত্রণ শুধু তিনটি মোবাইল অপারেটরের কাছে চলে যাবে।  যদিও সংশ্লিষ্টদের দাবি, তিনটিও নয়, ২০০৮ সালের আগের মতো একটিমাত্র মোবাইল অপারেটরের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। ২০০৮ সালের আগে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে একটি মোবাইল অপারেটরের একক আধিপত্য ছিল। ওই কোম্পানি ট্রান্সমিশন এবং ব্যান্ডউইথের পাইকারি সরবরাহ করায় আরও তিনটি মোবাইল অপারেটর এবং ইন্টারেনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কোম্পানিটির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল। ওই সময়  প্রতি সার্কিট ট্রান্সমিশন সেবার জন্য একটি অপারেটরকে ১৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হতো। আর প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ পরিবহনের জন্য ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হতো। এ ছাড়া ভয়েস কলের জন্য আন্তঃসংযোগের ক্ষেত্রে অন্য তিনটি মোবাইল অপারেটরের জন্য মাত্র একশটি শেয়ারিং সার্কিট খোলা রাখা হতো। ফলে সাধারণ অন্য তিনটি অপারেটরদের গ্রাহকরা প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতেন। সে সময় বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও টেলিযোগাযোগ খাত জিম্মি করে রাখা প্রভাবশালী মোবাইল অপারেটর ট্রান্সমিশন সেবা এবং ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম কমায়নি। এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ খাত বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে নতুন এই ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ তৈরির উদ্যোগ অহেতুক। এটি অনুমোদন পেলে টেলিযোগাযোগ খাতে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতার সৃষ্টি করবে। কারণ এর ফলে গত দেড় দশক ধরে টেলিযোগাযোগ ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক তৈরি করা দেশীয় এনটিটিএন কোম্পানি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। তিনি বলেন, এর পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরদের ক্ষেত্রে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ব্যবসারও দখল নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে দেশে আবারও ২০০৮ সালের আগের মতো ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।’ তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান এনটিটিএন গাইডলাইনের দু-একটি বিষয় মোবাইল অপারেটরদের কিছু পর্যবেক্ষণ এবং বিতর্ক ছিল। এ কারণে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বিটিআরসিতে বিদ্যমান এনটিটিএন নীতিমালা সংশোধনের একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ প্রস্তাবের আলোকে বিটিআরসি একটি কমিটি গঠন করে। পরে ওই কমিটি তিনবার পরিবর্তন করা হয়। অথচ ওই নীতিমালা সংশোধন করা হলে এখন এ ধরনের বিতর্কিত ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ তৈরির প্রয়োজন হতো না।’ এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, ‘খসড়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইনের যে উদ্দেশ্য এবং প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে, তা বিদ্যমান এনটিটিএন নীতিমালার সঙ্গে হুবহু এক। এর অর্থ এনটিটিএন নীতিমালা সংশোধনই যথেষ্ট ছিল। সেটা না করে একই ধরনের নতুন একটি গাইডলাইন প্রণয়নের উদ্যোগ কী কারণে হচ্ছে তা বোধগম্য নয়।’ আরটিভি/এসএপি
সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছে ইতিহাস সৃষ্টি নাসার 
সফলভাবে সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার মহাকাশযান ‘পার্কার সোলার প্রোব’। এর আগে সূর্যের এত কাছাকাছি যেতে পারেনি কোনো মহাকাশযান। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার দিকে সফলভাবে সূর্যের কাছাকাছি যেতে সক্ষম হয় নাসার মহাকাশযানটি। খবর বিবিসির। নাসা জানিয়েছে, ‘পার্কার সোলার প্রোব’ এর একটি ‘আলোক সংকেত’ যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের লরেল শহরে অবস্থিত জনস হপকিনস অ্যাপ্লায়েড ফিজিকস ল্যাবরেটরিতে (এপিএল) এসে পৌঁছেছে। এখান থেকেই মহাকাশযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সৌরপৃষ্ঠ থেকে ২৪ ডিসেম্বর যাত্রার পর থেকে মহাকাশযানটির সঙ্গে এপিএলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। এটির প্রোগ্রামই এমন করা ছিল, প্রোবটি যদি সফলভাবে সূর্যের কাছাকাছি প্রত্যাশিত স্থানে পৌঁছাতে পারে, তা হলে একটি আলোক সংকেত পাঠাবে। এই সংকেতের জন্যই নাসার বিজ্ঞানীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। সংকেত পাঠানোর অর্থ হলো, মহাকাশযানটি নিরাপদ আছে এবং ঠিকভাবে কার্যক্রম চালাতে পারছে।  গত ২৪ ডিসেম্বর প্রোবটি সৌরপৃষ্ঠ থেকে ঘণ্টায় প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার মাইল গতিতে সূর্যের দিকে ছুটতে শুরু করে। এর ফলে প্রোবটিকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮০০ ফারেনহাইট বা ৯৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে হয়েছে। এসব প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে অবশেষে তা শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সৌরপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৮ লাখ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছাতে সক্ষম হয়। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, আগামী ১ জানুয়ারি মহাকাশযানটি নিজের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাঠাবে। সূর্যের এতটা কাছাকাছি যাওয়ার ফলে এই নক্ষত্র সম্পর্কে নতুন তথ্য জানা যাবে। এসব তথ্য সূর্যের চারপাশের অতি উত্তপ্ত অঞ্চলকে বুঝতে এবং সৌরবায়ুর উৎস শনাক্ত করতে সহায়ক হবে। আরটিভি/এসএপি
ফিলিপাইনের ডিজিটালাইজেশনে কাজ করছে অরেঞ্জবিডি
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এবার ফিলিপাইনের ডিজিটালাইজেশনে কাজ করছে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অরেঞ্জ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (অরেঞ্জবিডি)। আগামী ২৩ জানুয়ারি ফিলিপাইনের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং ইউএনডিপির ফিলিপাইন প্রধান আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।  মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আল-আশরাফুল কবীর জুয়েল। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অরেঞ্জবিডির পরিচালক মো. হাফেজ আহাম্মদ, মো. শামীম হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহরিয়ার শামস। এসময় জানানো হয়, ফিলিপাইন সরকারের বিভিন্ন ই-গভর্নেন্স প্রকল্পের প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় কাজ করছে অরেঞ্জবিডি। ইতিমধ্যে ফিলিপাইনের একটি রাজ্যে ১২৩টি পৌরসভার মধ্যে ২০টি পৌরসভার ১৪টি নাগরিক ও ব্যবসা সংক্রান্ত সেবাসমূহ ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে সকল পৌরসভায় কার্যকর করা হবে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় সকল নাগরিক ও ব্যবসা সংক্রান্ত সেবা পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের আওতাধীন হবে।  এছাড়াও ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতির অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইকোনোমিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির প্রোগ্রাম অ্যান্ড প্রজেক্ট মনিটরিং সিস্টেম ডেভেলপমেন্টেরও কাজ করছে অরেঞ্জবিডি। এই সিস্টেম ফিলিপাইন সরকার এবং দাতা সংস্থার অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহের পর্যবেক্ষণ, তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে ডাটা ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ফিলিপাইন সরকারকে সহযোগিতা করবে।  এ ব্যাপারে অরেঞ্জ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক ও সিইও আল-আশরাফুল কবীর জুয়েল বলেন, বিদেশে ই-গভর্নেন্স প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সফটওয়্যার ব্যবহার দেশের সম্মানকে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিবে। একইসঙ্গে রেমিটেন্সেও ভূমিকা রাখছে। দেশের বাইরে দেশীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের বাজার উন্মোচনে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রসঙ্গত, অরেঞ্জ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড ২০০৫ সাল থেকে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশে এবং বিদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সেবাসমূহ ডিজিটালকরণের পাশাপাশি দেশের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের অনলাইন ভার্সনের কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে আসছে অরেঞ্জ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। আরটিভি/ ডিসিএনই
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম / সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট প্রাপ্তির অধিকারকে স্বীকৃতি দিলো বাংলাদেশ
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কোনো দেশ হিসেবে প্রত্যেক নাগরিককে সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির অধিকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিলো বাংলাদেশ। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি নীতি উপদেষ্টা ফাইজ তাইয়্যেব এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নাগরিকদের সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট প্রাপ্তির অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সব নাগরিককে সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট প্রাপ্তির অধিকার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২(ভ)-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রণীত ‌‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ থেকে বিতর্কিত সব ধারা বাদ দিয়ে ‌‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’ খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। অধ্যাদেশে প্রত্যেক নাগরিককে সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির অধিকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অধ্যাদেশের ২(ভ)-তে ইন্টারনেট প্রাপ্তির এ অধিকারের কথা উল্লেখ রয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের ১৭তম বৈঠকে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ বিষয়ে উপদেষ্টা ফাইজ তাইয়্যেব বলেন, ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশটি সংজ্ঞায়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও ভবিষ্যতমুখী। একই সঙ্গে প্রযুক্তি ও কারিগরি দিক দিয়েও সমৃদ্ধ। আইনটি মানবিক ও ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে ভুক্তভোগীকে পর্যাপ্ত সুবিধা দেবে। হয়রানির প্রশ্নে আদালতকে অবহিতকরণেও বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে। বিচারককেও পর্যাপ্ত স্পেস দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘অনুমোদিত এ আইনের অধিকাংশ ধারাই জামিনযোগ্য করা হয়েছে। পাশাপাশি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিপরীতে শাস্তিকে কমিয়ে অর্ধেকে নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে।’ ‘নিশ্চিত থাকুন, নতুন যে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ; এর মাধ্যমে সাইবার স্পেস যেমন সুরক্ষিত হবে, ঠিক তেমনি এটি আমাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করবে,’ যোগ করেন তথ্যপ্রযুক্তি নীতি উপদেষ্টা। আরটিভি/এসএপি-টি
বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের মিশন: বিশ্বব্যাপী হালাল ইন্টারনেটের উন্মোচন
কাহফ হালাল ইন্টারনেটের সূচনালগ্নে ডিজিটাল সেবাগুলো প্রদর্শনের জন্য সম্প্রতি একটি প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে দুটি প্রধান প্রোডাক্ট উপস্থাপন করা হয়: কাহফ গার্ড এবং মাহফিল। আসন্ন প্রোডাক্টগুলো হল কাহফ কিডস, কাহফ ব্রাউজার, কাহফ ইন্টারনেট এবং কাহফ সিম। কাহফের সিটিও ও কো-ফাউন্ডার ওমর আল জাবির বলেন, গত চার বছর আমি ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটাতে কাজ করেছি। আমার কাজ ছিলো সোশ্যাল মিডিয়ায়—বিশেষ করে মেসেঞ্জার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটস অ্যাপ—যেসব অপরাধ ঘটে তা দমন করা নিয়ে। এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে ১০ জন শিশু-কিশোরের মধ্যে ছয় জনই ক্ষতির শিকার হয়। তারা অশ্লীল কন্টেন্ট দেখে এবং এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় যা তাদের মানসিকতাকে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হালাল ইন্টারনেট আনতে চাই। কাহফ গার্ড পর্ন সাইট, জুয়া, ম্যালওয়্যার এবং ফিশিং সাইটসহ অন্যান্য ক্ষতিকর সাইট ব্লক করে। মাহফিল হলো ইউটিউবের হালাল বিকল্প যার নিজস্ব বিজ্ঞাপন ইঞ্জিন রয়েছে। কাহফ ব্রাউজার হালাল ব্রাউজিং অভিজ্ঞতার জন্য কন্টেন্ট ফিল্টার করে এবং কাহফ কিডস একটি নিরাপদ ও শিশু-বান্ধব প্ল্যাটফর্ম নিশ্চিত করে। কাহফ সিম এবং কাহফ ইন্টারনেট হালাল ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করবে। কাহফের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও নিজাম বলেন, আমরা অনলাইনের সমস্ত হারাম কন্টেন্ট বন্ধ করতে, হালাল বিকল্প প্ল্যাটফর্ম আনতে এবং একটি বড় হালাল ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চাই।