• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্টসংক্রান্ত হাইকমিশনের জরুরি নোটিশ
রিয়াদে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) দূতাবাসের অডিটরিয়ামে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। একাত্তরের এই দিনে অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনা প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায়। মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে এক রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে যে অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়েছিল তা জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। চরম দুঃসময় ও এক ক্রান্তিলগ্নে সেদিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সরকার শপথ নিয়ে দেশবাসীকে আশার আলো দেখিয়ে ছিল এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে দিক নির্দেশনা প্রদান করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেদিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়। রাষ্ট্রদূত বলেন, সেদিনের সরকারের শপথ নেয়া জাতীয় চার নেতাকে জাতি যুগ যুগ ধরে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তিনি সবাইকে দেশের জন্য তাঁদের অবিস্মরণীয় অবদান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার আহবান জানান। দূতাবাসের কাউন্সেলর মোঃ বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।  আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ,মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
মালয়েশিয়ায় ২৩ বাংলাদেশিসহ ২৬ জন আটক
মালয়েশিয়ায় ২৩ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীর মালয়েশিয়ায় মৃত্যু
লস অ্যাঞ্জেলসে নানান আয়োজনে নববর্ষ উদযাপন
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিকে হত্যা করল আরেক বাংলাদেশি
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যায় আশরাফুল মিয়া নামে আরেক বাংলাদেশির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামা। জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল মালয়েশিয়ার গেন্টিং হাইল্যান্ডসের এক নির্মাণস্থলে নজরুল মোল্লা (৪৪) নামে এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ৩১ মার্চ বিকেল ৩টা থেকে ১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। এতে বাংলাদেশি প্রবাসী আশরাফুল মিয়া ও পালাতক আরেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) আদালতের বিচারক নাদরতুন নাঈম জয়নানের সামনে ওই হত্যার অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। তবে মামলাটি হাইকোর্টের এখতিয়ারে থাকায় কোনো আবেদন রেকর্ড করা হয়নি। এরপর আদালত ফরেনসিক রিপোর্ট দাখিলের জন্য ১৫ মে দিন ধার্য করেন।  দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামির মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। এ মামলায় আসামির কোনো প্রতিনিধি ছিলনা। তাই মামলাটি পরিচালনা করেন ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর মুহম্মদ জামহারির মুহম্মদ জুহিদ।  
পর্তুগালে বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের প্রথম সফল আয়োজন
এবারই কোনো সংগঠন পর্তুগালের লিসবনে প্রথম বাংলা নববর্ষ উদযাপন করল।   রোববার (১৪ অক্টোর) পহেলা বৈশাখ দুপুর ১২টা থেকে ভেন্যুটি উন্মুক্ত ছিল। যেখানে শত শত প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সপরিবারে অংশ নেন। অনুষ্ঠানমালায় ছিল শিশুদের দেশীয় ছড়া, আবৃত্তি ও নববর্ষ নিয়ে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং আগত নারীদের নিয়ে ছিল বালিশখেলা। এই আয়োজনের বিশেষ চমক ছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে সবার জন্যে পান্তা-ইলিশ ও দেশীয় ভিন্ন স্বাদের ভর্তার আয়োজন। এ ছাড়াও নাচ ও গানে অতিথিদের মাতিয়ে রাখতে আয়োজকদের কোনো কমতি ছিল না। আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং আরও বড় পরিসরে পরবর্তীতে এমন আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও স্থানীয় রাজনীতিবিদ রানা তাসলিম উদ্দিন, বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক খলিলুর রহমান সাগর ও সদস্য সচিব শিপলু আহমেদ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের আরটিভি প্রতিনিধি আনোয়ার এইচ খান ফাহিম, সময় টিভি প্রতিনিধি তারিকুল হাসান আশিক, পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রনি মোহাম্মদ, সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী, বর্তমান সভাপতি রাসেল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক শহীদ আহমদ সহ প্রেস ক্লাবের সদস্যরা। ব্যবসায়ী মো. জহিরুল ইসলাম, লেখিকা ফৌজিয়া খাতুন রানা, ব্যবসায়ী মাসুম আহমেদ, পর্তুগাল সাহিত্য সংসদের সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবুল আসাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ, কমিউনিটির তরুণ উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী আবু ইমন, যুবনেতা আহমেদ লিটন, সাংবাদিক এস.এম আজাদ, টিপু, আসাদ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব গোলাম মাহমুদ আযম, সোহেল আহমদ, ইমরানুল হক ইমু, শিহাব আহমেদ, আমির আলী, মাসুম আহমেদ, ব্যবসায়ী নাঈম হাসান ও আব্দুল কাদের জিলানী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের আয়োজক তরুণ উদ্যোক্তা রনি হুসাইন, বলেন পর্তুগালের সকল প্রবাসীদের নিয়ে ভবিষ্যতে  আরও বড় পরিসরে এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। সেই সাথে ঘোষণা করেন আজ থেকে নতুন ভাবে বাংলাদেশের সকল জাতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো খোলা মাঠে বড় পরিসরে আয়োজন করে, এখানে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধারার জন্য কাজ করবেন তারা। তিনি দলমত নির্বিশেষে এমন আয়োজন সফল করতে কমিউনিটির সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
চীনে ঈদ পুনর্মিলনী ও পহেলা বৈশাখ উদযাপন
লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল আয়োজনে চীনে ঈদ পুনর্মিলনী এবং বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে। ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’র কোরাস উপস্থাপন করে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। রবিবার (১৪ এপ্রিল) গুয়াংঝু শহরের সানইউয়ালি পার্কে বাংলাদেশি কমিউনিটি গুয়াংঝু (বিসিজি) এর আয়োজনে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটি কয়েকটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। হাজার মাইল দূরে থেকেও বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি কোনো কিছুরই কমতি ছিলা না এই আয়োজনে। কিছুক্ষণের জন্য হলেও মনে হয়েছে এ যেন এক টুকরো বাংলাদেশ।  আড়ম্বর আয়োজনে ছিল- নববর্ষের র‌্যালি, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বড়দের দেশীয় ঘরোয়া খেলা, কবিতা আবৃত্তি, বাংলা লোকসঙ্গীত পরিবেশন, আলোচনা সভা এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি নানা পদের খাবারের মাধ্যমে মধ্যাহ্নভোজ। গোলাম কাদের সিদ্দীকি এবং আবু সায়েদ সায়েমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি কোরআন তেলাওয়াত এর মাধ্যমে শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে সবাই সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ড. মিরাজ আহম্মেদ, হুমায়ন কবির দুলাল, কল্লোল কান্তি দেবনাথ, মামুন শিকদার, সাখাওয়াত হোসেন, আতিকুল্লাহ, মাহাদী অমিতসহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃতি ও লোক সংগীতে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। তাছাড়া, দুই শতাধিক বাংলাদেশি ও চীনা নাগরিক এই প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চীনের নানজিং ইউনিভার্সিটিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
চীনের নানজিং শহরের নানজিং ইউনিভার্সিটি অফ পোস্ট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনের (এনজেইউপিটি) বাংলাদেশি কমিউনিটির আয়োজনে পহেলা বৈশাখ- ১৪৩১ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দেশীয় ঘরোয়া খেলা, আবৃত্তি, বাংলা লোকসঙ্গীত পরিবেশনসহ বাংলাদেশি নানান পদের খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নানান পর্বে বিদেশিদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। রোববার (১৪ এপ্রিল) চীনের নানজিং শহরের নানজিং ইউনিভার্সিটি অফ পোস্ট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনের বাংলাদেশি কমিউনিটির এই আয়োজনে চীন, পাকিস্তান, ভারত, মরক্কো, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল। মরক্কোসহ কয়েকটি দেশের শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষায় গান ও নাচে অংশগ্রহণ করেন। এনজেইউপিটির পিএইচডি শিক্ষার্থী নাঈম মণ্ডল পুরো অনুষ্ঠানের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মাস্টার্স শিক্ষার্থী তাজবিদ শ্রিজন। অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ-চায়না ইয়ুথ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ বি সিদ্দিক, সাবেক সেক্রেটারি খাইরুল ইসলাম, প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি আহনাফ আনন, সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ-চায়না ইয়ুথ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নানজিং ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক এ বি সিদ্দিক বলেন, ‘দেশীয় সংস্কৃতি সবার মাঝে আমরা ছড়াতে চাই। আমরা যে তা করতে পারছি, এর প্রমাণ হলো আজকের অনুষ্ঠানে বিদেশিদের অংশগ্রহণ।’ প্রথম আলো বন্ধুসভা চীনের সভাপতি আহনাফ আনন সবাইকে ধন্যবাদ জানান এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য। তিনি জোর তাগিদ দেন এমন আয়োজন প্রতিবছর করার প্রতি। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও লোক সংগীতে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে ‘পহেলা বৈশাখ উদযাপন’ অনুষ্ঠানে সমাপ্ত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে ‘বাংলাদেশ হেরিটেজ ডে’ উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রে ‘বাংলাদেশ হেরিটেজ ডে’ উদযাপন করেছেন সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়া বাংলাদেশিরা। দিবসটি উপলক্ষে রোববার (১৩ এপ্রিল) পেপ্যাল পার্ক স্টেডিয়ামে একটি ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। সান হোজে আর্থ কুইক বনাম কলোরাডো র‌্যাপিডসের মধ্যে খেলা শুরুর আগে বাংলাদেশি নৃত্যশিল্পীরা দেশের সংস্কৃতিকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেন।  এ সময় বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে স্টেডিয়ামে স্থানীয় বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাদেরকে ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ বলে স্লোগান দিতে শোনা যায়। এ ছাড়া ‘ও পৃথিবী এবার এসে বাংলাদেশ নাও চিনে’ এবং ‘চার ছক্কা হই হই’ এই গান দুটো সঙ্গে মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা করেন ‘Bangladeshis in the Bay’ দল।  এই আয়োজনে পৃষ্টপোষকতা করেন সান হোজে আর্থকুয়েকস মাকেটিং ভাইস প্রেসিডেন্ট টুটুল রহমান এবং জিয়া করিম। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন কাজী শাহরিয়ার রহমান। নৃত্য পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন তাহরিনা আহমেদ রুমু, হুমায়রা আজিজ, তাসনিম রিয়া, অর্চি দাসগুপ্তা, সাঞ্জিনা হাসান, সোফিয়া রহমান, আরুশা, ফাহিম করিম, আরমান এলাহি, রাহামিন হোসেন, আবরার জামাল, আনজার জামাল, জেরিন পুলম, খাদিজা পিউ, প্রিয়তি, তাহমিনা ইমাম এবং কাওসার জামাল।  এছাড়া স্থানীয় বাংলাদেশি ফুটবল খেলোয়াড়দের একটি প্রতিনিধি দলকে মাঠে নিয়ে বিশেষ সংবর্ধনা প্রদান করেন সান হোজে আর্থকুয়েকস কর্তৃপক্ষ। সুন্দর এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সান হোজে আর্থকুয়েকস অথরিটি এবং সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান স্থানীয় বাংলাদেশি জ্যামিং এন্টারটেইনমেন্টের সিইও আজিজ চৌধুরী ।
বৈধ পথে ইউরোপ প্রবেশে সুখবর 
দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ পথে প্রবেশ বন্ধ করার চেষ্টা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আর এজন্য এবার কঠোর নীতি আরোপ করতে যাচ্ছে তারা। তবে, নতুন নীতিতে বৈধ পথে প্রবেশকারীদের জন্য আছে বড় সুখবর।  গত বুধবার (১০ এপ্রিল) অভিবাসন ও রাজনৈতিক আশ্রয়-সংক্রান্ত নিয়ম কঠিন করার পক্ষে ভোট দিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। দীর্ঘদিন আলোচনার পর জোটভুক্ত ২৭ সদস্য রাষ্ট্রের ভোটের মাধ্যমে নতুন এই অভিবাসন ও রাজনৈতিক আশ্রয়-সংক্রান্ত নীতি অনুমোদিত হয়েছে। নতুন এই নীতি অনুযায়ী, দ্রুততার সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রক্রিয়া শেষ করা হবে আগামীতে। নীতিতে আরও বলা হয়েছে, অবৈধ পথে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী প্রবেশ করে ইতালি, গ্রিস ও স্পেনে। অন্যান্য ইইউভুক্ত সদস্য রাষ্ট্র এই রাষ্ট্রগুলোকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করবে অথবা প্রবেশকারী অভিবাসীদের একটি অংশকে নিজেরা আশ্রয় দেবে।   নতুন নীতি অনুযায়ী, যেসব প্রবেশকারীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের সম্ভাবনা কম, মূল ইউরোপে প্রবেশের আগেই তাদের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে। ১২ সপ্তাহের মধ্যে তাদের আবেদন নিষ্পত্তির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং যারা ব্যর্থ হবে, তাদের পরবর্তী ১২ সপ্তাহের মধ্যে জোর করে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। সেইসঙ্গে যারা প্রবেশ করবে, এমন ছয় বছরের বেশি প্রত্যেকের বায়োমেট্রিক ডাটা সংরক্ষণ করা হবে। বলা হচ্ছে, নতুন এই নীতি পুরোপুরি কার্যকর হলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে বৈধ পথে ইউরোপে প্রবেশ করা আগের চেয়ে যথেষ্ট সহজ হবে এবং একইসঙ্গে অবৈধ পথে প্রবেশ কঠিন হয়ে যাবে। এ বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার মো. শহীদুল হক বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই পুরো বিষয়টিকে অবৈধভাবে না যাওয়ার একটি প্রণোদনা হিসাবে দেখা যেতে পারে। এটি একটি ভালো ও বাস্তবধর্মী পন্থা। সবার জন্যই লাভজনক হবে এই নীতি।’ এদিকে ইউরোপসহ সব দেশে বৈধ পথে লোক পাঠাতে চায় বাংলাদেশ সরকারও। একইসঙ্গে অবৈধদের ফেরত নিয়ে আসতে চায় সরকার। এ বিবেচনায় ইউরোপের নীতির সঙ্গে বাংলাদেশের নীতির মিল আছে। ইউরোপ থেকে অবৈধদের ফেরত আনার জন্য ইইউ’র সঙ্গে ২০১৮ সালে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রসিডিওর (এসওপি) সই করে বাংলাদেশ। ওই চুক্তিটি ভালো কাজ করছে এবং এর ফলে ইতোমধ্যে জার্মানি, ইতালি, গ্রিস ও রোমানিয়া বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে শ্রমিক নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে শহীদুল হক বলেন, ‘আমি মনে করি এটি বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ। ইউরোপের দেশগুলো অনেকের সঙ্গে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করছে। এখন তাদের অর্থনীতি চাঙা আছে। তাদের শ্রমিকের প্রয়োজন আছে। তাদের নিজস্ব শ্রমিকের সংখ্যা কমছে। সব মিলিয়ে তারা একটি বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশেরও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’ উল্লেখ্য, গত বছর প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষ অবৈধ পথে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। নিজেদের শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার। তবে, পদ্ধতিগত কিছু ত্রুটির কারণে ব্যাঘাত ঘটছে সেই প্রচেষ্টায়। 
মালয়েশিয়া প্রবাসীদের জন্য সুসংবাদ
মালয়েশিয়া প্রবাসীদের প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে। নানা জটিলতা কাটিয়ে দেশটিতে চলতি মাসেই চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। আগামী শুক্রবার ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে আবেদন গ্রহণ। আর এ সেবাটি দেবে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এক্সপ্যাট সার্ভিসের পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন।  তিনি জানান, কল সেন্টার দিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও, বর্তমানে যুক্ত হয়েছে বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সার্ভিস এবং পাসপোর্ট নেই এমন প্রবাসীদের জন্য ট্রাভেল পারমিট প্রদান, যা আগে সরাসরি হাইকমিশন থেকে সংগ্রহ করতে হতো প্রবাসীদের। প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং পরিচালক এসএম আরমান পারভেজ বলেন, ই-পাসপোর্ট চালুর সব প্রক্রিয়া শেষ, আগামী শুক্রবার থেকে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হবে। আমরা প্রবাসীদের জন্য জালান চান সো লিনে (সিটি সেন্টারের পাশে) প্রায় ১৪ হাজার বর্গফুট প্রশস্ত ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিয়ে আসছি, যেখানে একইসঙ্গে সব সেবা যুক্ত থাকবে। ৪৫টি কাউন্টারের মাধ্যমে চলবে এ সেবা। তিনি আরও বলেন, প্রবাসীরা পাসপোর্ট করতে চাইলে ব্যাংক ড্রাফট থেকে শুরু করে ফর্ম পূরণ পর্যন্ত সব কাজে সহযোগিতা করবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। সেবা গ্রহণকারী প্রবাসীদের প্রয়োজন হলে +৬০৩৯২১২০২৬৭ নম্বরে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং এক্সপ্যাট সার্ভিস দ্রুততম সময়ে প্রবাসীদের আন্তরিক সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। রাজধানী কুয়ালালামপুরের বাইরে একাধিক রাজ্যে, যেমন জহরবারু ও পেনাংয়ে হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে মোবাইল টিমের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হবে। প্রসঙ্গত, প্রবাসে সেবা সহজতর ও দ্রুততরকরতে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে ‌‘ওয়ান স্টপ’ সার্ভিস। যা সিসিটিভির মাধ্যমে তা হাইকমিশন থেকে সরাসরি মনিটরিং করা হবে।