• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
রোমানিয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটি গঠিত
৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার ঘোষণা দিলো গ্রিস
কর্মী সংকট মোকাবিলায় চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজার কর্মী নেবে ইউরোপের দেশ গ্রিস। দু’দেশের মধ্যে পূর্বের চুক্তি অনুযায়ী এ সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশিরা। চলতি বছর কৃষি, নির্মাণ ও পর্যটন খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে এ বছর ৮৯ হাজার ২৯০ জন বিদেশি শ্রমিক নেবে দেশটি। সম্প্রতি তৃতীয় দেশ থেকে অভিবাসী কর্মী আনার জন্য একটি গেজেট পাস করেছে গ্রিক মন্ত্রিসভা।  প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে, ৪৫ হাজার ৬৭০ জন সিজনাল ভিসায়, ২ হাজার জন উচ্চ দক্ষ কর্মসংস্থানের জন্য এবং ৪১ হাজার ৬৭০ জন স্পন্সর ভিসার আওতায় কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।  ওই গেজেট থেকে জানা গেছে, বর্তমানে দেশটির বিভিন্ন সেক্টরে প্রায় তিন লাখ কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। সবচেয়ে বেশি শ্রমিক সংকটের মুখে কৃষি সেক্টর। দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক সংকটের মুখোমুখি কৃষি খাতের মালিকরা। নতুন গেজেট অনুসারে, আনা কর্মীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ অদক্ষ কৃষি শ্রমিক, নির্মাণকর্মী ও কারখানার শ্রমিক হবেন। এছাড়া ডিশওয়াশার, ওয়েটার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, শেফ, স্পা থেরাপিস্ট, নির্মাণকর্মী ও ভারী যন্ত্রপাতি চালকের মতো পদে প্রচুর কর্মীর চাহিদা দেখা দিয়েছে গ্রিসে।  গ্রিসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ এবং মিশর থেকে আসবেন প্রায় ৯ হাজার কর্মী। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায়, ৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মী কৃষি, বন, মৎস্য ও পর্যটন খাতে নিয়োগ পাবেন। তবে বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস না থাকায় ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভিসাপ্রত্যাশীদের। আরটিভি/এসএপি
লন্ডনে সস্ত্রীক মির্জা আব্বাস, জানালেন কবে দেশে ফিরবেন
মায়ের জন্য খাবার নিয়ে হাসপাতালে তারেক রহমান
কাতারে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের নতুন সভাপতি শামীম সম্পাদক সালাম
মালয়েশিয়ায় ৬৪ বাংলাদেশিসহ আটক ১৫৩ অভিবাসী 
সৌদি আরব প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ
ভিসা ও ইকামাসহ সাতটি সেবায় ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে গালফ নিউজ। সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে প্রবেশ ও বহির্গমনের ভিসা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ দশমিক ৫ রিয়াল। আর বসবাসের অনুমতি ও চূড়ান্ত বহির্গমনের ফি পুনর্বিবেচনা করে যথাক্রমে ৫১ দশমিক ৭৫ রিয়াল ও ৭০ রিয়াল করা হয়েছে। এছাড়া কর্মচারীদের রিপোর্ট ফি ধরা হয়েছে ২৮ দশমিক ৭৫ রিয়াল। আর পাসপোর্টের তথ্য হালনাগাদ করতে প্রবাসীদের দিতে হবে ৬৯ রিয়াল। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম আবসার এক্স পোস্টে জানিয়েছে, ভ্রমণ ভিসায় প্রবেশ করার পর যদি কেউ হারিয়ে যান, তাহলে তাকে দেশটিতে যিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি এ বিষয়ে রিপোর্ট করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে তাকে। সেটি হচ্ছে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ভ্রমণ ভিসা হতে হবে।  ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার সাত দিন পর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা যাবে, কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার ১৪ দিন পর আবেদন করা যাবে না। আর আবেদন তখনই করা যাবে, যখন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। একজনের জন্য কেবল একটি রিপোর্টই করা যাবে। আবার রিপোর্ট দাখিল পর তা প্রত্যাহার করা যাবে না বলে ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। আরটিভি/এসএপি
৭ দিনে সৌদিতে ১৯ হাজার প্রবাসী গ্রেপ্তার 
গত ৭ দিনে ১৯ হাজার ৫৪১ জন অবৈধ প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি প্রশাসন। একাধিক ঘটনায় জড়িত থাকার কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে- আবাসিক আইন লঙ্ঘন, সীমান্ত নিরাপত্তা ও শ্রম আইন লঙ্ঘন।  শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সৌদি প্রেস এজেন্সি। খবর আরব নিউজের।  সৌদির সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের মধ্যে ১১ হাজার ৪০২ জনকে আবাসিক আইন লঙ্ঘন, ৪ হাজার ৭৭৫ জনকে অবৈধভাবে সীমান্ত পার এবং ৩ হাজার ৩৬৪ জনকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশের দায়ে ৯৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ ইউথোপিয়ান, ৪০ শতাংশ ইয়েমেনি এবং ২ শতাংশ অন্যান্য দেশের।  এ ছাড়া ১২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সৌদি থেকে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার সময়। আরও ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পরিবহন আইন লঙ্ঘন করায়। এ দিকে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কেউ যদি কাউকে অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশে সহযোগিতা করে এবং কাউকে পরিবহন ও আশ্রয় দেয়া হলে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। এ ছাড়া ১০ লাখ সৌদি রিয়াদ জরিমানার বিধান রয়েছে। সঙ্গে তার সম্পত্তি এবং যানবাহনও বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। আইন ভঙ্গকারীদের সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে মক্কা অঞ্চলে টোল ফ্রি নম্বর ৯১১ এবং রিয়াদ অঞ্চলে ৯৯৯ অথবা ৯৯৬ নম্বরে কল করার কথা বলা হয়েছে।  আরটিভি/এমকে 
দাম্মামে জমকালো আয়োজনে আরটিভির বর্ষপূর্তি উদযাপন 
দেশ ও প্রবাসে সবচেয়ে জনপ্রিয়, দর্শকনন্দিত স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি ১৯ বছর পেরিয়ে ২০তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে সৌদি আরবের দাম্মামে আয়োজন করা হয়েছে জমকালো এক অনুষ্ঠানের।  বৃহস্পতিবার রাতে (২ জানুয়ারি) স্থানীয় নাবিয়া হলরুমে দাম্মাম আরটিভি দর্শক ফোরামের উদ্যোগে জমকালো এ আয়োজন হয়।  পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। মাহাবুব মোল্লা সোহাগের সভাপতিত্বে ও নেয়ামত উল্লাহ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন দাম্মামের কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব ফারুক হোসেন মোল্লা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দাম্মাম আরটিভির প্রতিনিধি মুখলেছুর রহমান অভি।  আরটিভিকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা সকল অতিথি ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, দীর্ঘ পথচলায় আরটিভি দর্শক-শ্রোতাদের ভালো লাগাকে প্রাধান্য দিয়ে সংবাদ ও অনুষ্ঠান সাজিয়েছে। বিপরীতে দর্শক-শ্রোতাদের আকুন্ঠ ভালোবাসা পেয়েছে। টেলিভিশনের পাশাপাশি অনলাইন প্লাটফর্মেও আরটিভি দেশীয় চ্যানেল হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। এ সময় আরটিভির পাশে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দাম্মামের কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মাহবুব আল হুদা মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শামসুল আলম, আতিকুল ইসলাম দানা,হারুন অর রশীদ, জামাল উদ্দিন সরদার,সোহেল চৌধুরী, মোহাম্মদ আল আমিন, হাবিবুর রহমান মৌলবী,কাউসার তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম, তারেক জামান, রাহুল পারভেজ, নুরে আলম,মাসুদ রানা,মোজাম্মেল হক সোহেল,মোঃ হাসান,মুরাদ পাটুয়ারী, সোলেমান, মোঃ শরীফ,  এমরান পাটুয়ারি সহ আরো অনেকে। আরো উপস্থিত ছিলেন আরিফুল ইসলাম শুকুর,জানে আলম ভুইয়া, ফরহাদ,আরিফুল ইসলাম,মঞ্জিল হোসাইন মঞ্জু,  রাফি মজুমদার সহ আরও অনেকে।  বক্তারা বলেন, দীর্ঘ পথ চলায় গতানুগতিক ধারার বাইরেও আরটিভির ছিল রুচিশীল বেশ কিছু অনুষ্ঠান। আরটিভির নাটক দর্শকপ্রিয়তায় বরাবরই সবার শীর্ষে। গঠনমূলক ও তথ্য নির্ভর সংবাদ প্রচারেও শীর্ষে উঠে এসেছে চ্যানেলটি। দেশের বাইরে প্রবাসের সংবাদগুলো গুরুত্ব সহকারে প্রচার ও প্রসারের কারণে প্রবাসীদের নানা খবর পৌঁছে যাচ্ছে সবার কাছে। এসব কারণে সব শ্রেণি-পেশার দর্শকের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয় আরটিভি। নতুন নতুন অনুষ্ঠান, নাটক, টকশো, রিয়েলিটি শো, অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ও ভিন্নধারার সংবাদ দিয়ে গত কয়েক বছরে দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে এসেছে চ্যানেলটি। এর আগে আরটিভির দাম্মাম প্রতিনিধি মুখলেছুর রহমান অভিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দাম্মামের কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, দাম্মাম প্রাদেশিক যুবদলের নেতৃবৃন্দ, নরসিংদী জেলা প্রবাসী যুবদলের নেতৃবৃন্দ, চাদপুর জেলার নেতৃবৃন্দ, কুমিল্লার নেতৃবৃন্দ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নেতৃবৃন্দ সহবিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও প্রবাসীরা। পরে আরটিভির জন্মদিনের কেক কাটেন অতিথিরা। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউকে’র যাত্রা শুরু 
যুক্তরাজ‍্যে প্রবাসী গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউকে নামে নতুন একটি সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছে।  মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) পূর্ব লন্ডনের মাইক্রো বিজনেস পার্কের কমিউনিটি হলে কেক কেটে এর শুভ উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতির সাবেক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ওয়ার্ডওয়াইল্ডের প্রধান সম্পাদক ও ক্লাবের চীফ পেট্রোন মোখলেসুর রহমান চৌধুরী। এ সময় ক্লাবের ওয়েবসাইটও উন্মোচন করেন তিনি।   অনুষ্ঠানে লন্ডন নিউহ্যাম কাউন্সিলের চেয়ার ও কাউন্সিল রহিমা রহমান, এনফিল্ড কাউন্সিলের মেয়র আমিরুল ইসলাম, টাওয়ার হেমলেটস কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র মতিন উজ জামান, টাওয়ার হেমলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পিকার আহবাব হোসেন, কাউন্সিলর মজিবুর রহমান, সাপ্তাহিক জনমত পত্রিকার সহকারী সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন, সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি এন্ড গুড গভর্নেন্সের চেয়ারম্যান সোয়ালেহীন করীম চৌধুরী, বেস্ট চারিটির চেয়ারম্যান ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব এডভোকেট আব্দুল হালিম হাওলাদার, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মোয়াজ্জেম হোসেন সোহরাব, ব‍্যারিস্টার ও সলিসিটর মাহাবুবুর রহমান, চার্টার্ড একাউটেন্ট মো. কায়কোবাদ, কমনওয়েলথ সলিসিটর লিমিটেডের প্রিন্সিপাল ব্যারিস্টার মুফতি নাফিস, একাউটেন্ট অ্যান্ড ট‍্যাক্স এডভাইজর এমডি এমএ খান, লন্ডন লায়ন্স স্পোর্টস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এনামুল হক, ক্লাব ফাউন্ডার জুবায়ের আহমেদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আজমীর হাসান কনকের উপস্থাপনায় ক্লাব মেম্বার আব্দুল বাসিত, মাহবুব তোহা, সোহেল সাদ, কামরুল আই রাসেল, আশরাফুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন, আবু বকর সিদ্দিক, শাকিল আহমেদ সোহাগ, সোহেল আহমেদ পাপ্পু, শাহ শরীফ উদ্দিন, এমকে জিলানী, মনির উদ্দিন, জাহান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।  অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে শাকির হোসাইনকে আহ্বায়ক ও জুনায়েত রিয়াজকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। আরটিভি/আরএ
নাহিদের হাত ধরেই ইউরোপে প্রথম বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট 
উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে ৯০ দশকে সুইডেনে পাড়ি জমান নাহিদ হাসান। এরপর জীবনে এসেছে নানা প্রতিকূলতা। তবুও হার মানেননি। বারবার বলেছেন, আমি পারবো। শেষ পর্যন্ত তিনি পেরেছেন। ইউরোপের বুকে লাল-সবুজের বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করে প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রথম বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট। যেখানে মেলে নিহারি থেকে বিরিয়ানি, সবই।  তবে তার পথচলাটা সুখকর ছিল না। শুরুতে এমনও হয়েছে তান্দুরির ওভেন চালানোর পয়সাটাও ছিল না তার পকেটে। আরটিভি অনলাইনকে শোনালেন সে গল্প। নাহিদ হাসান বলেন, অন্যান্য দু-চারজনের মতো আমিও ইউরোপে এসেছিলাম পড়াশোনার জন্য। কিন্তু খরচে পেরে না ওঠায় একটি রেস্টুরেন্টে পার্টটাইম কাজ শুরু করি। ভেবেছিলাম অবস্থার একটু পরিবর্তন হলে ছেড়ে দেব। কিন্তু হলো উল্টোটা। দিনদিন আমার রান্নার প্রতি আগ্রহটা বাড়তে থাকল। তিনি বলেন, ফ্যাশন ডিজাইনে পড়াকালে যখন আমি এই পার্টটাইম কাজটা শুরু করি, তখন স্টকহোমে মাত্র তিনটি ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট ছিল। এর মধ্যে একদিন আমার এক ছোট ভাই বলল, টাকা জমিয়ে দুজনে মিলে একটা রেস্টুরেন্ট দিলে কেমন হয়? আমি বললাম, মন্দ হয় না। এরপর ইরাকে যুদ্ধকালে (২০০০ সাল পরবর্তী সময়ে) সেই সুযোগ আসে। সস্তায় আমরা একটা রেস্টুরেন্ট পেয়ে যাই। চিন্তা করলাম যুদ্ধ-বিগ্রহ যেহেতু ভালো লাগে না, সেহেতু রেস্টুরেন্টের নাম দিই ‘শান্তি’। ব্যস্, এভাবেই শুরু। কিন্তু নাহিদের এরপরের গল্পটা মন খারাপের। কারণ, প্রথম ছয় মাস খুব খারাপ সময় পার করেছেন তিনি। কোনো কাস্টমারই পাননি। সে সময় তার সঙ্গী ছিলেন নিজের প্রিয়তমা স্ত্রী। যিনি তাকে সার্বক্ষণিক কাজে সহায়তার পাশাপাশি বারবার সান্ত্বনা দিয়ে বলতেন, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। পরে হলোও তাই।  সুইডেনের প্রভাবশালী একটি দৈনিক নাহিদের রেস্টুরেন্টের ইতিবাচক রিভিউ প্রকাশ করলো। এর পরদিন থেকেই বদলে গেল চিত্র। ভোজনরসিকদের ভিড় বাড়তে থাকল। সাফল্যের গল্পটা শুরু সেখান থেকেই।  এর ধারাবাহিকতায় নাহিদ হাসান খুললেন দ্বিতীয় রেস্টুরেন্ট, নাম ‘শান্তি সফট কর্নার’। খাবারের মান ও স্বাদ ভালো থাকায় এই রেস্টুরেন্টটাও সেখানকার মানুষ ভালোভাবে গ্রহণ করলো। নাম ছড়িয়ে যেতে থাকলো চারদিকে। এ অবস্থায় একদিন লন্ডন থেকে কিছু লোক সেখানে খেতে আসেন। পরে খাবারের স্বাদ পরখ করে তারা বলেন, নাহিদ আপনার রান্না ভালো। লন্ডনে আসেন, আমরা রান্নার প্রতিযোগিতা করি। সেখানে আপনি অংশ নেবেন। তাদের কথা শুনে নাহিদ ভাবেন, রান্না দিয়েই একদিন তিনি দেশকে বহির্বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করবেন। জার্নিটা এভাবেই চলছিল। এর মধ্যে নাহিদ পিতৃত্বের স্বাদ পান, মেয়ে স্কুলে ভর্তি হয়। পরে একদিন তার মেয়ে স্কুল থেকে ফিরে বলে, তার বান্ধবী জানিয়েছে, তোমরা বাংলাদেশি হয়েও কেন ইন্ডিয়ান নাম দিয়ে রেস্টুরেন্ট চালাচ্ছো? বাংলাদেশি নাম কেন দিচ্ছো না? মেয়ের বান্ধবীর কথাটা ভালো লেগে যায় নাহিদের। সিদ্ধান্ত নেন আর ইন্ডিয়ান নাম নয়, এখন থেকে বাংলা নামেই রেস্টুরেন্ট চালাবো। এরপর খুলে ফেলেন ‘টাচ অব বেঙ্গল’ নামে নিজ মালিকানার তৃতীয় রেস্টুরেন্ট।  বলে রাখা ভালো, এই ‘টাচ অব বেঙ্গল’-ই ইউরোপের প্রথম বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট। যার নাম ও মালিক দুই-ই বাংলাদেশি। এর আগে, সেখানে বাঙালি মালিকরা রেস্টুরেন্ট দিলেও চলেছেন ইন্ডিয়ান নাম দিয়ে।   সিজলার, ডাল, শাক-সবজি, পালক পনির, নিহারি, বিরিয়ানি থেকে শুরু করে ফিস ভুনাও পাওয়া যায় নাহিদের রেস্টুরেন্টে। আর সেসব মনভরে খান সেখানকার মানুষ। এতে তৃপ্তি পান নাহিদ। আরটিভি অনলাইনকে তিনি বলেন, রান্না একটা আর্ট। ডাক্তার যেমন চান রোগীকে সেবা দিয়ে ভালো করতে, আমিও তেমনি চেয়েছিলাম কাস্টমারকে মজাদার খাবার উপহার উপহার দিয়ে সন্তুষ্ট করতে। কিন্তু এটা দিয়ে অনেক উপার্জন হবে, এমনটি কখনও ভাবিনি। নাহিদ আরও বলেন, বিক্রি বাড়াতে কখনও কারও খাবারের মেন্যু কপি করিনি। নিজে যা পেরেছি, নিত্যনতুন খাবার মানুষকে উপহার দিয়েছি। এমনকি এখনও সেই চেষ্টা অব্যাহত আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। প্রথম তিনটি রেস্টুরেন্টের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় চতুর্থ রেস্টুরেন্ট খোলার সিদ্ধান্ত নেন নাহিদ হাসান। পরে ‘উলটিমথস’ নামে আরও একটি বাংলাদেশি খাবারের রেস্টুরেন্ট খোলেন। এরপর ‘গসিপ’ নামে শুরু করেন নিজের পঞ্চম রেস্টুরেন্ট। সেখানে ফুচকা, চটপটি, খিচুড়ি, গরুর মাংস, চাসহ মেলে রকমারি আরও সব স্ট্রিট ফুড। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর নাহিদকে পুরস্কৃত করেছেন। এ ছাড়া তিনবার পেয়েছেন লন্ডনের বেস্ট শেফের পুরস্কার। এর বাইরে ‘রেস্টুরেন্ট হিসেবে’  চারবার লন্ডনের এশিয়ান কারি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে তার মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট। শুধু তাই নয়, ২০২৪ সালেও পার্লামেন্ট থেকে নাহিদকে ‘বেস্ট শেফ ইন ইউরোপ’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ইউরোপের বিশিষ্টজনদের জন্যও রান্না করেন নাহিদ। গত দুই বছর আগে রান্না করেছেন সুইডেশ অ্যাম্বাসিতে। সেখানে চারশো ডিপ্লোম্যাটের খাবারের আয়োজন ছিল। আলাপচারিতার ফাঁকে নাহিদ বলেন, আমার রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর, ডিপ্লোম্যাট সবাই-ই খায়। এ ছাড়া এ দেশের রাজা, রাজার ছেলে, ইন্ডিয়ান সেলিব্রেটিদের মধ্যে অনুপম খেরও এসেছেন, খেয়েছেন তৃপ্তিভরে। তিনি বলেন, কাজ করতে করতে রান্না শিখলেও আরও কীভাবে ভালো করা যায়, সেই চেষ্টা আমার মধ্যে শুরু থেকেই ছিল। এ জন্য ১ বছর সুইডিশ কুকিংয়ের ওপর ক্লাসও করি।  অনেক সাহস করেই নিজের এগিয়ে যাওয়া উল্লেখ করে সফল এই উদ্যোক্তা বলেন, বাংলাদেশকে আগে সেভাবে কেউ চিনতো না। বাংলাদেশ বলতেই ইউরোপের মানুষ বুঝতো বন্যা আক্রান্ত ও দরিদ্র দেশ হিসেবেই। তারা যে ভালো কিছু, উদ্ভাবনী কিছু করতে পারে তা তারা চিন্তাই করতে পারতো না। তবে এখন সবাই বাংলাদেশকে ভালো চোখে দেখে। দিনে দিনে ইউরোপে নিজের ব্যবসা বিস্তৃত করছেন নাহিদ। রেস্টুরেন্ট ব্যবসার পাশাপাশি সেখানে তার ‘শান্তি’ নামে ওয়াইনও আছে। আছে একই নামে দুটো বেয়ারও। রান্না নিয়ে এ পর্যন্ত নাহিদ সুইডেশ টিভিসহ বাংলাদেশি বিভিন্ন টেলিভিশনে ইন্টারভিউ দিয়েছেন। তুলে ধরেছেন নিজের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। আরটিভি অনলাইনকেও শোনালেন সে গল্প। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমি একটি বই লিখেছি। যা সুইডিশ, জার্মানি ও হল্যান্ডের ভাষায় তিন দেশে বিক্রি হচ্ছে। আরেকটি বই লেখার কাজ চলছে। এ ছাড়া আমি কুকিং ক্লাসও করাচ্ছি। বাকিটা জীবন চাই এই সেক্টরে ভালো কিছু করতে। যাতে বাংলাদেশের নাম আরও উজ্জ্বল হয়। দেশে ব্যবসার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ হাসান বলেন, ৩৫ বছর আমি দেশের বাইরে। তবুও চাই বাংলাদেশে আমার সিগনেচার ডিশ দিয়ে একটা রেস্টুরেন্ট হোক। ভবিষ্যতে এটা করেও ফেলবো ইনশাআল্লাহ্। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আরটিভি/আইএম/এআর
মেয়েদের বাঁচাতে গিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি দম্পতির মৃত্যু
সমুদ্র সৈকতে দুই মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি প্রবাসী দম্পতি মারা গেছেন। দুজনই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক শিক্ষার্থী। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দেশটির ওয়ালপোল নামক স্থানে সমুদ্র সৈকত থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, বড়দিনের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ালপোল পশ্চিম শহরে সমুদ্রে সৈকতে ঘুরতে গিয়েছিলেন শহিদুল হাসান স্বপন ও সাবরিনা আহমেদ পাপড়ি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা (ইউআরপি) ডিসিপ্লিনের ৯৭ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন স্বপন, তার স্ত্রী পাপড়ি একই ডিসিপ্লিনের ৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন স্বপন। এদিন সৈকতে নেমে তাদের দুই মেয়ে সমুদ্রের পানির ভাটার টানে ডুবে যাচ্ছিলেন। দ্রুত তাদের বাঁচাতে সমুদ্রে নেমে পড়েন বাবা-মা। মেয়েদের জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও তারা দুইজন ডুবে যান। এ ঘটনায় তাদের দুই মেয়ে সুস্থ রয়েছে। স্বপন-পাপড়ি দম্পতির এমন মৃত্যুতে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটি ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে তাদের মৃত্যুতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (কুআ), বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্ল্যানার্স অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ও অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। আরটিভি/এসএপি/এস
সৌদি আরবে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব গ্রহণ
সৌদি আরবে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলোয়ার হোসেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে মহাপরিচালক (প্রটোকল) আলী আস সাহরী রিয়াদে পরিচয়পত্রের কপি গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রদূত তাকে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে গ্রহণ করায় সৌদি বাদশাহ এবং সৌদি যুবরাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মহাপরিচালক (প্রটোকল) রাষ্ট্রদূতকে সাদরে গ্রহণ করেন এবং রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। রাষ্ট্রদূত ও ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  পরে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মিলিত হন, যেখানে তিনি সবাইকে হাসিমুখে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে দূতাবাসের সেবা প্রত্যাশীদের সেবা প্রদান করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভার শুরুতেই স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের লাখো লাখো শহীদ এবং গত জুলাই-আগস্ট মাসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদেরকে। তিনি এই পরিবর্তিত বাংলাদেশে জন আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে  কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দূতাবাসের কাজে আত্মনিয়োগ ও এর গুনগত মান উন্নয়নের আহ্বান জানান।  রাষ্ট্রদূত মো. দেলোয়ার হোসেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের ১৬তম রাষ্ট্রদূত। উল্লেখ্য রিয়াদ দূতাবাসে দায়িত্ব গ্রহনের পূর্বে তিনি দক্ষিণ কোরিয়াতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।