• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ক্ষুদ্র আগাছা থেকে জাতিসংঘের প্রতীক হয়ে উঠল যে ফুল!
কাক যখন কথা বলে অবিকল মানুষের কণ্ঠে!
পৃথিবীতে কত পাখি আছে যারা কথা বলতে পারে। কিন্তু আপনি কি কখনো কথা বলা কাক দেখেছেন? কাক বলতে সাধারণত মনে হয় শুধু কা কা ডেকে বিরক্ত করার পাখি। কিন্তু সেই কা কা বলা প্রাণীটা যদি হঠাৎ আপনার নাম ধরে ডাকে, আর সেটা যদি হয় কোনো মানুষের কণ্ঠে! তাহলে চমকে উঠবেন নিশ্চয়ই।  কিন্তু রাশিয়ার রাজধানি মস্কোর কাছে একটি প্রাণী স্টুডিওর ১৪ বছরের কাক কারলুশা পুরো ব্যাপারটাই অন্যরকম করে তুলেছে। সে শুধু ডাকেই না, কথা বলে, মজা করে, আর এমনভাবে মানুষের কথা নকল করে, যে সবাই তাক লেগে যায়! চিড়িয়াখানার এক কর্মচারীকেতো কারলুশা এমনভাবে চমকে দিয়েছিল যে তিনি প্রথমে বুঝতেই পারেননি, এটা কাক না কি তার বস! কারলুশা যখন প্রথমবার নাম ধরে ডাকতে শুরু করল, তখন সেই কর্মচারী নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।  স্টুডিওর প্রধান আনা পোনোমারেভা জানান, আমরা ওকে শেখাইনি, সে নিজেই বেছে নিয়েছে স্টুডিওর প্রধানের কণ্ঠ। আর প্রথম শব্দ ছিল পাশা! কারলুশার কথা বলার দক্ষতা এতই নিখুঁত যে সে কণ্ঠস্বরের ব্যক্তিত্ব ও সুর অনুকরণ করতে পারে। আনা নিজেও প্রায়ই বিভ্রান্ত হন, যখন কারলুশা তার নাম ধরে ডাকে। শুধু তাই নয়, কারলুশা প্রায়ই টিভি সিরিজ আর বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়। শ্যুটিংয়ের সময় অনেক মজার ঘটনা ঘটে। যেমন, কারলুশা কেবল কথা বলে না, সঠিক সময়ে হাসতেও জানে। কোনো শুটিংয়ে থাকলে সে অভিনেতাদের কৌতুকে হাসে, আর সেটা এতটাই স্বাভাবিক যে শুটিং সেটের সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়। রাশিয়ার অভিনেতা ইউরি স্টয়ানোভের কৌতুকের প্রতিক্রিয়ায় কারলুশার সেই হাসি পুরো শুটিং সেটকেই মাতিয়ে তোলে। কিন্তু কারলুশা মোটেও সহজ স্বভাবের পাখি নয়। আনা জানালেন, সে খুবই জেদি। অন্য কেউ কাছে আসতে চাইলে ঠোকর দেয়, শুধু আমিই ওকে আদর করতে পারি। খাবার খেতেও তার আলাদা মজা! সে খাবারকে শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়, বিনোদনের অংশ হিসেবেই নেয়। সে খাবার লুকায়, আবার বের করে। একেবারে মানুষের ন্যায় স্বভাব।  কারলুশার এই অনন্য প্রতিভা আর দুষ্টুমি মিলে তাকে করেছে চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণ। দর্শনার্থীরা আসে শুধু কারলুশার কথা শোনার জন্য। সে তো আর সাধারণ কাক নয় সে যে এক প্রকৃত স্টার। কারলুশা ছাড়া কভচেগ অ্যানিমাল স্টুডিওর আরও অনেক প্রাণী বিভিন্ন টিভি বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও, আর অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়. আরটিভি/এফআই
২০ নভেম্বর: ইতিহাসে আজকের এই দিনে 
সাদা নয়, গোলাপি লবণ সংগ্রহে যত অদ্ভুত রহস্য!
প্যারিসের রোমান্টিকতা আজও কেন এত জলজ্যান্ত  
বিশ্ব পুরুষ দিবস আজ
১৮ নভেম্বর: ইতিহাসে আজকের এই দিনে
ঘটে যাওয়া আজকের এই দিনের ঘটনা, অনেক আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তির জন্ম-মৃত্যু আমরা জানতে চাই। পাঠকের এ চাওয়া মাথায় রেখে নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪। ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা। ঘটনাবলি : ১১২৩ -  সম্রাট ফ্রেডরিক জেরুজালেম দখল করেন। ১৫৩৬ -  ফ্রান্স ও তুরস্ক বাণিজ্য চুক্তি করে। ১৭৮৭ -  অস্ট্রিয়ার সম্রাট শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করেন। ১৮৩৯ -  ডেট্রয়েট বোট ক্লাব গঠিত হয়। ১৮৬১ -  প্রথম ইতালিয় পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু হয়। ১৮৮৫ -  মার্ক টোয়েনের বিখ্যাত বই এডভেঞ্চার অব হাকলবেরি ফিন প্রকাশিত হয়। ১৯০০ -  বোয়ের যুদ্ধে পারডারবাগে ৪ শ’ লোকসহ পিয়েত ক্রোনিয়ের বৃটিশদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। ১৯১৫ -  ডুবোজাহাজের মাধ্যমে জার্মানির ব্রিটেন অবরোধ শুরু হয়। ১৯২১ -  ব্রিটিশ সৈন্যরা ডাকলিন দখল করে। ১৯২৬ -  বিখ্যাত রীফ নেতা আবদুল করিম খাত্তাবি ফ্রান্স এবং স্পেনীয় যৌথ বাহিনীর হাতে পরাজিত হন। ১৯৩০ -  প্লুটো আবিষ্কৃত হয়। ১৯৩৪ -  আলজেরিয়ার বিখ্যাত যোদ্ধা আমির আবদুল কাদেরর হাতে আগ্রাসী ফরাসি সেনারা শোচনীয়ভাবে পর্যুদস্ত হয়। ১৯৪২ -  জাপানি সৈন্যরা বালিতে অবতরণ করে। ১৯৫১ -  নেপাল সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। ১৯৬৫ -  গাম্বিয়ার স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৬৯ -  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন। ১৯৭৬ -  বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নাগিরকত্বে ভূষিত করা করা হয়। ১৯৭৯ -  বাংলাদেশের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ১৯৮৮ -  রাশিয়ার ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো থেকে বরিস ইয়েলৎসিনকে বরখাস্ত করে। ১৯৮৯ -  আফগানিস্তানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। ১৯৯১ -  কেনিয়ায় গ্রিস দূতাবাসে লুকিয়ে থাকার ৩ দিন পর তুরস্কের কুর্দি নেতা আবদুল্লাহ ওজালানকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৯৩ -  হাইতিতে ফেরি ডুবে দু’হাজার লোকের মৃত্যু ঘটে। ১৯৯৭ -  বাংলাদেশে প্রথম বেসরকারি বিমান সংস্থার যাত্রীবহন শুরু হয়। জন্ম : ১৩৭৪ -  পোলান্ডের রানি সেইন্ট জাডুইগার জন্মগ্রহন করেন। ১৪৮৬ -  শ্রী চৈতন্যদেবের জন্ম হয়। ১৮৩০ -  বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসের স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হ্যালহেডের জন্ম হয়। ১৮৩৬ -  শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের (গদাধর চট্টোপাধ্যয়) জন্ম হয়। ১৮৩৮ -  অস্ট্রীয় পদার্থবিদ, দার্শনিক ও মনোবিদ আর্নস্ট মাখের জন্ম হয়। ১৮৯৯ -  বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাংলা কবি জীবনানন্দ দাশ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৭ -  অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের জন্ম হয়। মৃত্যু : ১২৯৪ -  মোঙ্গল সম্রাট কুবলাই খানের মৃত্যু হয়। ১৫৬৪ -  রেনেসাঁস যুগের  ইতালীয় ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি মাইকেলেঞ্জেলো মৃত্যুবরণ করেন। ১৫৪৬ -  প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মের সংস্কারক জার্মান ধর্মতাত্ত্বিক মার্টিন লুথারের মৃত্যু হয়। ১৮৫১  -  বিখ্যাত জার্মান গণিতবিদ কার্ল গুস্তাফ ইয়াকপ ইয়াকবি এর মৃত্যু হয়। ১৯৪৯ -  স্পেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নিথেতো আলকালা-থামোরা মৃত্যুবরণ করেন। আরটিভি/একে
বন্ধু ছাঁটাই করার দিন আজ
আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই প্ল্যাটফর্মে পরিচিত বা অপরিচিত সবার সঙ্গে সহজেই বন্ধুত্ব করা যায়। আবার এই তালিকায় যুক্ত থাকে অনেক বিরক্তিকর ও অপছন্দের মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ার ফ্রেন্ড লিস্টের (বন্ধু তালিকা) স্ক্রল করলে দেখা যাবে, সেখানে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যাদের আপনি চেনেন না।  সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের চাইলেও এতদিন আনফ্রেন্ড করতে পারছিলেন না, আজ করে দিন। কেননা এসব বিরক্তিকর এবং অপছন্দের অথবা অপরিচিত মানুষকে ছাঁটাই করার দিন আজ। কারণ, আজ (১৭ নভেম্বর) আনফ্রেন্ড দিবস। ২০১৪ সালে কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেল ‘আনফ্রেন্ড ডে’ বা ‘বন্ধু ছাঁটাই করার দিন’ প্রতিষ্ঠা করেন। দিনটি প্রচলনের উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরিচিত ও বিরক্তিকর ব্যক্তিকে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। বন্ধু বা ফ্রেন্ড শব্দটি অনেক আগে থেকেই আমাদের খুব পরিচিত একটি শব্দ। বলতে গেলে শত বছরের প্রচলিত একটি শব্দ। কিন্তু, ‘আনফ্রেন্ড’ শব্দটির সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে। অক্সফোর্ড ডিকশনারির ২০০৯ সালের সেরা শব্দ ছিল ‘আনফ্রেন্ড’। যার সংজ্ঞা হলো- ফেসবুকের মতো সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে কাউকে ‘বন্ধু’ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। ‘আনফ্রেন্ড দিবস’ বিশ্বের অনেক দেশেই পালন করা হয় আনন্দের সঙ্গে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দিবস নিয়ে নানা স্ট্যাটাস এবং লেখালেখি চোখে পড়ে। আরটিভি/এফআই/এআর
স্বাদ ও মধুরতায় শীতের কুয়াশায় তৈরি পানীয়
কুয়াশা! সবাই জানি এটি কেবল শীতের সকালে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এনে দেয়। কিন্তু কুয়াশা এখন হয়ে উঠেছে এক অমৃতের মূল উপাদান।  চিলির এক উদ্যোক্তা এই কুয়াশা থেকে তৈরি করেছেন এক ধরনের নতুন বিয়ার। এই অভিনব উদ্যোগ তাকে এনে দিয়েছে প্রশংসা আর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভাবছেন, কীভাবে সম্ভব? চলুন, শুনে নেওয়া যাক। পেনা ব্লাঙ্কা পর্বতের পরিচিতি ‘কুয়াশার মরুদ্যান’ হিসেবে, যেখানে বছরের অধিকাংশ সময়েই এই কুয়াশা দেখা যায়। কারকুরো জানান, এই জায়গায় বিশেষ আবহাওয়ার কারণে কুয়াশা অনেকটাই ঘন হয়ে থাকে, আর সেখান থেকেই এসেছে তার এই ধারণা। তিনি একটি তিন মিটার উচ্চতার বিশেষ জাল স্থাপন করেছেন পর্বতে, যা কুয়াশার ফোঁটাগুলোকে ধরে ফেলে। এরপর সেই তরল কুয়াশা সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয় তার ব্রুওয়ারিতে, যেখানে এটি বিয়ারে পরিণত হয়। এই বিয়ার একবার দেখলেই চোখ আটকে যাবে এর গাঢ় রঙে। কিন্তু, শুধু রং নয়, এর স্বাদেও আছে চমক। কারকুরো জানালেন, আমরা চাই, এই বিয়ারটিকে এমনভাবে তৈরি করতে, যেন এর স্বাদে পেনা ব্লাঙ্কার মাটি, পরিবেশ, আর মানুষের সংস্কৃতি ধরা পড়ে, ঠিক যেমনটা ওয়াইনের টেরোয়ার থাকে। তার মতে, এই কুয়াশার পানি একেবারে নরম, যেন প্রায় পাতন করা পানির মতো, কিন্তু এর ভেতরে থাকে কিছু বিশেষ খনিজ, যা এই বিয়ারকে অন্য যে কোন সাধারণ পানীয় থেকে আলাদা করে। চিলির এই অভিনব উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে। এই বিয়ার শুধুমাত্র এক নতুন পানীয় নয়, বরং প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে তৈরি হওয়া এক গল্প। যেভাবে এই বিয়ার তৈরি হচ্ছে, তা যেমন পরিবেশবান্ধব, তেমনি পানীয়প্রেমীদের জন্যও একটা নতুন অভিজ্ঞতা। কারকুরোর এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, কল্পনার ডানায় ভর করে মানুষ প্রকৃতি থেকে কত কিছু শিখতে পারে, আর সেই জ্ঞান থেকেই সৃষ্টি হতে পারে নতুন কিছু। আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে কারকুরোর এই উদ্ভাবন। কুয়াশার এই বিয়ার নিয়ে তিনি বলছেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল কুয়াশার স্বাদকে বোতলে ভরতে, যাতে প্রতিটি সিপে কুয়াশার স্পর্শ পাওয়া যায়। এই অভিনব উদ্যোগ কেবল চিলির জন্য নয়, সারা বিশ্বের খাদ্য ও পানীয় প্রেমীদের কাছেও কৌতূহলের বিষয় হয়ে উঠেছে। প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে তৈরি এই বিয়ার একদিকে যেমন নতুন স্বাদের সন্ধান দেয়, তেমনি পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আরটিভি/এফআই
রহস্যময় এক হ্রদ, যেখানে প্রাণীরা নামলে হয় পাথর! 
এটি এমন একটি হ্রদ যে পানিতে নামলেই মারা যায় পাখিসহ অন্যান্য প্রাণী। শুধু তাই নয়, পানিতে থাকা লবণের কারণে মৃত প্রাণীরা জমে যায় পাথরের মূর্তির মতো। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও অন্য সব হ্রদের মতো সুন্দর নয় এই  হ্রদ। এটি মূলত এর অদ্ভুত রূপ ও ভূতাত্ত্বিক ইতিহাসের জন্য পরিচিত। বিস্ময়কর ভূতাত্ত্বিক স্থানটি পূর্ব আফ্রিকার তানজানিয়ায় অবস্থিত একটি লবণাক্ত হ্রদ। যার নাম লেক ন্যাট্রন। তবে রহস্যময় ও ভয়ংকর রক্তিম লাল রঙের চেহারার কারণে হ্রদটিকে ‘ডেডলি রেড লেক ও বলা হয়। কিন্তু আসলেই কি হ্রদটি প্রাণীদের পাথরে পরিণত করে? আজকের প্রতিবেদন জানাবো সেই গল্প।  রূপকথার কাহিনীর মতো মনে হলো এটি বাস্তব। লেক ন্যাট্রন হ্রদ তার অদ্ভুত ও ভয়ংকর সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। হ্রদের পানির রংও রক্তিম লাল, যা প্রথম দেখাতে এক ধরনের গা ছমছমে অনুভূতি দেয়। এমন রং হওয়ার কারণ, হ্রদের পাশে থাকা ‘ওল ডোইনিও লেংগাই’ নামের আগ্নেয়গিরি। এটিই একমাত্র সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, যা ন্যাট্রোকার্বোনাটাইট নামে খুব বিরল একটি কার্বোনাইট লাভা নির্গত করে। সোডিয়াম কার্বোনাইট, সঙ্গে অন্যান্য উচ্চ ঘনত্বের সব খনিজ পদার্থ পাহাড় বেয়ে হ্রদে প্রবেশ করে হ্রদকে রক্তিম লাল রঙে রূপ দেয়।  আর এই পদার্থগুলো পানির পিএইচ স্তরকে এতটাই বেশি ক্ষারীয় করে তোলে যে হ্রদের পানিতে কোনো প্রাণী টিকতে পারে না। বিজ্ঞানীরা জানান, লেক ন্যাট্রনের পানির পিএইচ স্তর ১০.৫, যা জীবিত প্রাণীর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ফলে এই হ্রদে নামলে পাখি বা কোনো প্রাণী দ্রুত মারা যায় এবং পানিতে থাকা উচ্চ লবণের কারণে পাথর বা মমির মতো জমে যায়। বছরের বেশির ভাগ সময় হ্রদের পানির তাপমাত্রা থাকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। ফলে পানি দ্রুত বাষ্পীভূত হয়  আর তলদেশে পড়ে থাকে তরল লাভা।  এছাড়া প্রাচীন মিসরীয় মমিকরণ পদ্ধতিতে সোডিয়াম কার্বনেট ব্যবহার করা হয়েছিল। এই সোডিয়াম কার্বনেট, যা মূলত 'ন্যাট্রন' নামে পরিচিত। প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া এটি মিসরীয়রা মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহার করত। ন্যাট্রন মূলত মৃতদেহের পানি শোষণ করে তার পচন রোধ করে।  বিশ্বাস করা হয়, লেক ন্যাট্রনের পানিতে প্রাণ হারানো যেসব প্রাণী পাথর বা মমিতে রূপ নিয়েছে তারাও একই পদ্ধতির শিকার । তবে এ বিষয়ের কোনো শক্ত প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এখানেই শেষ নয়, এই ভয়ংকর হ্রদের আরও একটি অদ্ভুত দিক আছে। এটি পূর্ব আফ্রিকার লেসার ফ্লেমিঙ্গোদের জন্য প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে। প্রায় ২৫ লাখ ফ্লেমিঙ্গো এখানে বংশবৃদ্ধি করে, কারণ হ্রদে প্রচুর নীলাভ-সবুজ শৈবাল পাওয়া যায়, যা তাদের প্রধান খাদ্য। এই ফ্লেমিঙ্গোরা হ্রদের কঠিন পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়। তারা হ্রদের পানিতে বেঁচে থাকতে পারে। ফলে এই হ্রদে ফ্লেমিঙ্গোরা পাথরে পরিণত হয় না। আরটিভি/এফআই/এআর
বিশ্বের সবচেয়ে কৃপণ নারী
পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের বৈশিষ্ট্যে রয়েছে ভিন্নতা। কেউ খরচ করেন বেশি আবার কেউ রাখেন জমিয়ে। তবে কিছু মানুষ আছে যারা একেবারেই খরচ করতে চান না। এই মানুষগুলোকে সাধারণত আমরা কৃপণ বলেই ডাকি। আপনার আশেপাশে তো এমন অনেক কৃপণ ব্যক্তিকে দেখেছেন। কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে কৃপণ ব্যক্তির কথা শুনেছেন কখনও? বিপুল সম্পদশালী হয়েও সর্বকালের সেরা কৃপণ হিসেবে খ্যাতি আছে এক নারীর। আজ যে নারীর কথা বলব তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কৃপণ নারীর স্বীকৃতিও পেয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে কৃপণ নারীর নাম হেট্টি গ্রিন। তার পুরো নাম হেনরিয়েটা হাওল্যান্ড গ্রিন হলেও তিনি হেট্টি গ্রিন নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনি ওয়াল স্ট্রিটের ডাইনী এবং বিশ্বের সবচেয়ে কৃপণ নারী নামে পরিচিতি পান। নিজের অসাধারণ আর্থিক দক্ষতা এবং একই সঙ্গে কঠোর মিতব্যয়ীতার কারণে হেট্টি গ্রিন আজও আলোচনায়। হেট্টি গ্রিন ১৮৩৪ সালের ২১ নভেম্বর ম্যাসাচুসেটসের নিউ বেডফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন ধনী পরিবারের সন্তান। হেট্টির পরিবার তিমি শিকারের ব্যবসা, শিপিং এবং রিয়েল এস্টেটের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছিল। ছোটবেলা থেকেই তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। মাত্র ৬ বছর বয়সে তিনি পরিবারের অ্যাকাউন্টস পড়তে শুরু করেন এবং ১৩ বছর বয়সে পারিবারিক বিনিয়োগের দায়িত্ব নিতে শেখেন। ১৮৬৫ সালে হেট্টির বাবা এবং চাচা মারা যান। এর ফলে তিনি প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন ডলারের বিশাল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন। তবে সেই সম্পদকে তিনি আরও বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছিলেন। হেট্টি গ্রিন ছিলেন একাধারে একজন ব্যতিক্রমী বিনিয়োগকারী। তিনি তার মূলধনকে বন্ড, রিয়েল এস্টেট, রেলওয়ে শেয়ার এবং ঋণে বিনিয়োগ করতেন। যেখানে বেশিরভাগ নারী সামাজিক এবং পারিবারিক কাজে সময় ব্যয় করতেন, হেট্টি তার সময় এবং মেধা ব্যয় করতেন আর্থিক হিসাব এবং বাজার বিশ্লেষণে। অন্য বিনিয়োগকারীরা যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসায় লাভের আশায় ঝাঁপিয়ে পড়তেন, হেট্টি সেখানে দীর্ঘমেয়াদী এবং নিরাপদ বিনিয়োগে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি রেলওয়ে শেয়ার, সোনা এবং নগদ অর্থে বিনিয়োগ করতেন। তার সময়কালে মার্কিন অর্থনীতি নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে ছিল, তবে হেট্টি দক্ষতার সঙ্গে সেসব পরিস্থিতি সামলে তার সম্পদকে বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি করেন। তবে নিজের বেলায় তিনি এক পয়সাও খরচ করতে চাইতেন না। হেট্টি গ্রিনের কৃপণতার গল্পগুলো তার আর্থিক দক্ষতার মতোই বিস্ময়কর। তিনি এতটাই মিতব্যয়ী ছিলেন যে, শীতকালে গরম করার খরচ বাঁচাতে একমাত্র কালো পোশাক পরতেন। তার এই পোশাকটিও ছিল জরাজীর্ণ। এমনকি তিনি ১৬ বছর বয়সে যে অন্তর্বাস কিনেছিলেন সেটিই জোড়াতালি দিয়ে শেষ বয়স পর্যন্ত পরেছেন। তিনি নিজের এবং পরিবারের চিকিৎসা ব্যয়ের ক্ষেত্রেও চরম মিতব্যয়িতা দেখাতেন। একবার তার ছেলে নেড গ্রিন পায়ের চোট পান। হেট্টি এতটাই কৃপণ ছিলেন যে তিনি ছেলেকে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা না করানোর কারণে নেডের পা কেটে ফেলতে হয়। এই ঘটনার পর থেকে তিনি সবচেয়ে কৃপণ মা হিসেবেও পরিচিত হন। নিজের খাবারের জন্যও তেমন খরচ করতেন না। যদিও তার স্বামীও ছিলেন এক ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ী। যার টাকার কোনো অভাব ছিল না। কিন্তু হেট্টি একেবারেই খরচ করতে চাইতেন না। তিনি নিউ ইয়র্কের কোনো ব্যাঙ্কে নিজস্ব অফিস না রেখে সাধারণ পাবলিক লাইব্রেরিতে বসে কাজ করতেন। কারণ, সেখানে আলোর খরচ লাগত না। এমনকি তিনি তার নিজের খাবারের জন্য অতি সামান্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতেন এবং সর্বদা কম খরচে চলার চেষ্টা করতেন। মুদি দোকানের অবশিষ্ট কেক এবং ভাঙা বিস্কুট খেতেন এবং প্রতিদিনই তার কুকুরের জন্য একটা ফ্রি হাড় পাওয়ার জন্য দোকানীর সাথে ঝগড়া করতেন! তিনি মাত্র দুই সেন্ট দামের একটি পাই খেয়ে বেঁচে ছিলেন বহুদিন। সাবান খরচ বাঁচানোর জন্য তার পোশাক যখন অতিরিক্ত ময়লা হয়ে যেত তখন শুধু ময়লা অংশটুকু ধুয়ে নিতেন। হেট্টি গ্রিন তার কৃপণতা এবং কঠোর জীবনধারার কারণে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। তবে তার এই মিতব্যয়িতার মাধ্যমেই তিনি বিশাল এক সম্পদ তৈরি করতে পেরেছিলেন। ধারণা করা হয়, তার মৃত্যুর সময় তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ১০০ থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলার, যা আজকের বাজারে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের সমান। তার কঠোর আচরণ এবং আর্থিক সফলতা অনেক পুরুষ বিনিয়োগকারীর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এই কারণেই তাকে ওয়াল স্ট্রিটের ডাইনী নামে ডাকা হতো। হেট্টি গ্রিনের ব্যক্তিগত জীবনও তার কৃপণতার মতোই আকর্ষণীয় এবং জটিল ছিল। ১৮৬৭ সালে তিনি এডওয়ার্ড গ্রিন নামে একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে তার কৃপণ স্বভাব এবং আর্থিক নিয়ন্ত্রণের কারণে এই সম্পর্ক অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়েছে। ১৯১৬ সালে ৮১ বছর বয়সে হেট্টি গ্রিনের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর তার বিশাল সম্পদ দুই সন্তান, নেড এবং সিলভিয়া গ্রিনের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। তারা তাদের মায়ের মতো কৃপণ ছিলেন না এবং ধীরে ধীরে এই সম্পদ বিলাসী জীবনযাত্রার মাধ্যমে শেষ করে ফেলেন। তবে তার মেয়ে তার মায়ের রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে কিছুটা খরচ করেছিলেন হাসপাতালের জন্য। আরটিভি/এফআই
পানির ওপর ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘুরছে মেকানিকের স্বপ্নের ঘর
ঘরে জানালার পাশে বসে আছেন। মৃদু বাতাসে উড়ছে আপনার চুল, মনের আনন্দে কফির কাপে দিচ্ছেন চুমুক। আর পাহাড়ের অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করছেন, কিন্তু আবার ফিরে তাকাতেই দেখলেন সমুদ্র। ভেবে ভেবে ক্লান্ত, কিন্তু উত্তর খুজে পাচ্ছেন না। কীভাবে সম্ভব! এটা কি কোন ম্যাজিক?  শুনতে রূপকথার মতো লাগলেও, ভিয়েতনামের বাক জিয়াং প্রদেশের মেকানিক গুয়েন ভ্যান লুয়ং এই ম্যাজিককে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। ৫৭ বছর বয়সী এই মানুষটি শুধুমাত্র একটি ঘর নয়, বরং তার জীবনের একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করেছেন। তার ঘরটি সারাক্ষণ ঘোরে  তাও আবার ৩৬০ ডিগ্রি। আর জানলে আরও অবাক হবেন জলাধারের ওপর স্থাপিত এই বিশেষ বাড়ি এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।  এই অদ্ভুত এবং অভিনব ঘরের পেছনের গল্পটা আরও চমকপ্রদ। প্রায় চার বছর ধরে নিখুঁত পরিকল্পনা আর কঠোর পরিশ্রমের পর, ২০১৬ সালে তিনি এই বাড়ির কাজ শেষ করেন। ১০০ বর্গমিটারের এই বাড়িটি ১৪ মিটার ব্যাসের জলাধারের ওপর তৈরি একটি বিশেষ কংক্রিটের ভিত্তির ওপরে ভাসে। বাড়িটি মাত্র ১০ মিনিটে পুরোপুরি একবার ঘুরে যেতে সক্ষম, এবং এটি চালাতে খরচ হয় মাত্র ০.৭ অ্যাম্পার বিদ্যুৎ, যা প্রায় দুইটি ১০০ ওয়াটের ফ্যানের সমান। কিন্তু কেন এই বিশেষ বাড়ি? লুয়ং নিজের মতো করে এক স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছেন , আমি এখন প্রায় ৬০-এ পা দিচ্ছি, আর চাইছি এমন কিছু রেখে যেতে, যা আমাকে মনে করিয়ে দেবে, আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে। এই ঘরটি তার জীবনের সেই বড় স্বপ্ন, যা শুধু ঘোরে না, জলাধারের ওপরে ভাসতে থাকে, একদম একটি নৌকার মতো। তবে বাড়িটি তৈরি সহজ ছিল না। লুয়ং নিজে বলেছিলেন, ঘরটি তৈরির সময় তাকে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়েছিল। হালকা হলেও শক্তিশালী কাঠামো তৈরি করার জন্য তিনি বিশেষ কংক্রিট ব্যবহার করেছিলেন। তার এই উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার জন্য ২০২২ সালে ভিয়েতনাম ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অফিস তাকে পেটেন্ট প্রদান করে।  লুয়ং-এর এই ঘর শুধু প্রযুক্তিগত কীর্তি নয়, এটি মানুষের অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং স্বপ্নের এক প্রতীক। এটি ঘোরে, ভাসে, এবং স্মৃতিতে থেকে যায় একটি মানুষের জীবনযাপনের সবচেয়ে সুন্দর উদাহরণ। আরটিভি/এফআই
পুরোনো যন্ত্র থেকে মিলছে কেজি কেজি স্বর্ণ
ফেলে দেওয়া পুরোনো রিমোট টেলিভিশন, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল ফোনের ভেতর লুকিয়ে আছে স্বর্ণ। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন! পুরোনো এসব ইলেকট্রিক যন্ত্র থেকে এই শ্রমিকরা সংগ্রহ করছেন ২৪ ক্যারেটের সোনা, আর তা বিক্রি করেই চলছে তাদের সংসার। কেউ কেউ মাসে পুরোনো এসব যন্ত্র থেকেই সংগ্রহ করেন একশ থেকে দেড়শ গ্রাম স্বর্ণ। তারপর তা নিয়ে যান স্বর্ণ গলানোর কারখানায়। তারা পরীক্ষা শেষে তা দিয়ে বানান নানান ডিজাইনের গয়না।  আফগানিস্তানের সীমান্ত শহর স্পিন বলডাকের শ্রমিকরা প্রতিদিন এমনই এক স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেন তাদের কাজ—পুরোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ভেঙে খুঁজে বের করেন স্বর্ণের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা। এই স্বর্ণেই তাদের জীবনযাত্রার একমাত্র ভরসা। তবে এই পেশার পিছনে রয়েছে এক অবর্ণনীয় সংগ্রাম আর জীবনের ঝুঁকি। কিন্তু সমস্যা হলো, আধুনিক যন্ত্রগুলোতে এখন আর আগের মতো স্বর্ণ ব্যবহার হয় না। বরং সস্তা ধাতু দিয়ে তৈরি হয়। তবুও, এই শ্রমিকরা বিশ্বাস করেন হয়তো আজকের দিনেই তাদের ভাগ্য খুলে যাবে! শুধু লাভের আশাই নয়, এই কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকরা তাদের জীবনকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে ফেলছেন। বিষাক্ত ধাতু, ধুলোবালি আর রাসায়নিক পদার্থের ভেতরেই তারা কাজ করেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। স্বাস্থ্যবিধি মানার সুযোগ নেই, নিরাপত্তার কোন বালাই নেই। তবুও, তারা থেমে নেই, কারণ পেটের ক্ষুধা তাদের সামনে আরও বড় বাস্তবতা।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি থেকে স্বর্ণ পাওয়ার সম্ভাবনা দিনে দিনে কমছে। যন্ত্র থেকে সংগৃহীত স্বর্ণ যায় বাজারে, সেখানে কারিগররা এ দিনে কেউ গলান ১ থেকে ২ কেজি স্বর্ণ। সস্তা ধাতুর ব্যবহার বেড়েছে, ফলে এই পেশার ভবিষ্যৎ ক্রমশ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। কমে কারিগরদের স্বর্ণ গলানোর কাজও।  কারিগররা বলেন, জাপানি ইলেকট্রনিক বিভিন্ন পণ্যে স্বর্ণ থাকে, কিন্তু চীনা ইলেকট্রনিক পণ্যে তেমন স্বর্ণ থাকে না। তাই এই গ্রাম থেকে আসা স্বর্ণের পরিমাণও কমছে। সম্ভবত প্রতি সপ্তাহে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম স্বর্ণ বাজারে আসে। তবুও আফগান শ্রমিকরা ভেঙে পড়ছেন না। তারা জানেন, অল্প কিছুই পাওয়া গেলেও একদিন তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরবেই। আর এমন আশা নিয়েই প্রতিদিনই বসে যান পুরোনো যন্ত্র নিয়ে।  আরটিভি/এফআই/এসএ