• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
১ লাখ ৬০ হাজার বছর পর দেখা মিলবে বিরল ধূমকেতুর
১৩ জানুয়ারি: ইতিহাসে আজকের এই দিনে
ঘটে যাওয়া আজকের এই দিনের ঘটনা, অনেক আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তির জন্ম-মৃত্যু আমরা জানতে চাই। পাঠকের এ চাওয়া মাথায় রেখে নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫। ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা। ঘটনাবলি ১৭০৯ - প্রথম বাহাদুর শাহ হায়দ্রাবাদ দখল করেন। ১৭৬১ - পানি পথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু হয়। ১৮৪৮ - হাডসন বে কোম্পানি ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভ্যানকুইভার দ্বীপ দখল করে। ১৮৪৯ - দ্বিতীয় আংলো-শিথ যুদ্ধ শুরু। ১৮৬৪ - রাশিয়ার ইতিহাসে প্রথম প্রাদেশিক পরিষদ গঠন করা হয়। ১৮৯৭ - চারুকলাবিষয়ক পত্রিকা শিল্পতত্ত্ব ও পুষ্পাঞ্জলি প্রকাশিত হয়। ১৯১৫ - মধ্য ইতালিতে মারাত্মক ভূমিকম্পে প্রায় ২৯ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। ১৯১৫ - দক্ষিণ আফ্রিকায় জার্মানির স্কোপমুন্ড দখল। ১৯১৯ - ভারতীয়দের মধ্যে স্যার সত্যেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ সর্বপ্রথম ‘লর্ড’ উপাধিতে ভূষিত হয়ে পার্লামেন্ট মহাসভায় আসন লাভ করেন। ১৯১৯ - দক্ষিণ আফ্রিকায় কিম্বার্লির খনিতে ৩৮৮ ক্যারেট হীরক খণ্ড পাওয়া যায়। ১৯২০ - লিগ অব নেশন্স প্রতিষ্ঠিত হয় (কারো মতে ১০ জানুয়ারি)। ১৯৫৮ - ৪৪টি দেশের ৯ হাজার বিজ্ঞানী জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধের আহ্বান জানান। ১৯৬৩ - টোগোতে সামরিক অভ্যুত্থান। সার্জেন্ট জিনার্সিবি এয়াদেমার হাতে প্রেসিডেন্ট সিলভানুস অলিম্পিও নিহত। ১৯৬৪ - আরব দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৭ - টোগোয় সেনাবাহিনী বিনা রক্তপাতে দেশটির ক্ষমতা দখল করে। ১৯৭০ - ব্রিটেনের শিখ পুলিশরা হেলমেটের পরিবর্তে তাদের ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি পরিধানের অধিকার লাভ করে। ১৯৭২ - ঘানায় জুনিয়র কর্মকর্তাদের একটি গ্রুপ সরকার উৎখাত করে। ১৯৭২ - স্বাধীন বাংলাদেশের মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৪ - আমেরিকার ডালাসে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিমান বন্দর চালু হয়। ১৯৮৫ - ইথিউপিয়ায় এক গিরিখাদে যাত্রিবাহী ট্রেন পড়ে ৪২৮ জন যাত্রীর মৃত্যু ঘটে। ১৯৮৮ - প্রথম তাইওয়ান নাগরিক লি তেংহুই, চিনের রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৯৩ - দিনে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ কনভেনশনের স্বাক্ষর দান অধিবেশন প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৪ - ইতালির প্রধানমন্ত্রী কার্লোস শিয়াম্পি পদত্যাগ করেন। ২০০১ - এলসালভাদরে এক বড়মাপের ভূমিকম্প হয়। এতে আটশত এর বেশি লোকের মৃত্যু হয়। ২০১২ - কস্টা কনকর্ডিয়া নামক যাত্রীবাহি জাহাজ ইতালীর সমুদ্র উপকুলে ডুবে যায়। ৩২ জনের বেশি যাত্রী মারা যায়। জন্ম ১৪৫০ - বিখ্যাত পর্তুগিজ নাবিক ও আবিস্কারক বার্থোলোমেও ডিয়াজ জন্মগ্রহণ করেন। ১৫৯৯ - ব্রিটিশ কবি এডমান্ড স্পেন্সার জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৬৪ - নোবেলজয়ী (১৯১১) জার্মান পদার্থবিদ ভিলহেলম ভিন জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৮৯ - প্রাবন্ধিক নলিনীকান্ত গুপ্তের জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৭ - কণ্ঠশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যু ১৬৯১ - ইউরোপে সুহৃদ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা জর্জ ফক্সের মৃত্যু হয়। ১৮৭৪ - ফরাসি স্থপতি ও প্রকৌশলী লুই পিয়ের বালতার্দের মৃত্যু হয়। ১৯০৭ - কবি ও সাংবাদিক কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৩৫ - রাজনীতিবিদ ও গ্রন্থকার স্যার আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী ইন্তেকাল করেন। ১৯৪১ - কথাসাহিত্যিক জেমস জয়েস মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৫৯ - বিশিষ্ট পন্ডিত ও অভিধানকার হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৬২ - কমিউনিস্ট লেখক ও বুদ্ধিজীবী অজয় কুমার ঘোষ মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৮৮ - তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট চিয়াং চিং কুও’র হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯৬ - ফরাসি নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা দেনিজ গ্রের মৃত্যু হয়। দিবস সংবিধান দিবস (মোঙ্গোলিয়া), গণতন্ত্র দিবস (কেপ ভার্দে), কোরিয়ান-আমেরিকান দিবস (আমেরিকা), মুক্তির দিবস (টোগো)। আরটিভি/একে
অমর একুশে গ্রন্থমেলার গোড়াপত্তন ও কালানুক্রম
তুরস্কের নারী বেলুন পাইলট ওজদেম
শিসের সুরেই যোগাযোগ করেন এই গ্রামবাসী!
রিলস, শর্টস কিংবা টিকটকে আসক্তদের জন্য দুঃসংবাদ!
৬ জানুয়ারি: ইতিহাসে আজকের এই দিনে
ঘটে যাওয়া আজকের এই দিনের ঘটনা, অনেক আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তির জন্ম-মৃত্যু আমরা জানতে চাই। পাঠকের এ চাওয়া মাথায় রেখে নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫। ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা। ঘটনাবলি ১৯৫০ - ব্রিটেন কমিউনিস্ট চীনকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭২ - মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইরাস ভ্যান্স হাঙ্গেরীয় হাজার বছরের প্রতীক সেন্ট স্টিফেনের মুকুট হাঙ্গেরিকে ফিরিয়ে দেয়। ১৯৯৬ - যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিসহ পূর্ব উপকূলে মারাত্মক তুষার ঝড়ে ১৫৪ জন নিহত, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় তিনশ কোটি ডলার। ২০০১ - জর্জ ডব্লিউ বুশকে মার্কিন কংগ্রেস নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা। ২০২০ - যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে (মার্কিন পার্লামেন্ট) ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিস্টোরিকাল সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, ১৮১২ সালের যুদ্ধের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে এই ধরণের আগ্রাসন হয় ১৮১৪ সালে ওয়াশিংটনে অভিযান চালানের সময় ব্রিটিশ বাহিনী নির্মাণাধীন ক্যাপিটল ভবনে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এর প্রায় ২০০ বছর পর এ হামলা হয়। জন্ম ১৩৬৭ - ইংল্যান্ডের রাজা রিচার্ড। ১৪৪২ - জোয়ান অব আর্ক। ১৯৩৬ - লেখক বশীর আল হেলাল। ১৯৬৬ - ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান। ১৯৭৩ - ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। ১৯৮২ - ইংরেজ মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা এডি রেডমেইন। ১৯৮৬ - রুশ মডেল এবং অভিনেত্রী ইরিনা শায়ক। মৃত্যু ১৮৫২ - অন্ধদের শিক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তক লুই ব্রেইল। ১৮৮৪ - অস্ট্রীয় ধর্মযাজক ও বংশগতির প্রবক্তা গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল। ১৯১৮ - জার্মান গণিতবিদ ও দার্শনিক গেয়র্গ কান্টর। ১৯১৯ - যুক্তরাষ্ট্রের ২৬তম রাষ্ট্রপতি থিওডোর রুজ্‌ভেল্ট। ১৯৭১ - প্রতুল চন্দ্র সরকার পি সি সরকার নামে সুপরিচিত ভারতের প্রখ্যাত জাদুকর। ১৯৮০ - বাঙালি সংগীতজ্ঞ, সংগীতালোচক, গীতরচয়িতা, সুরকার ও গায়ক দিলীপকুমার রায়। ১৯৮৪ - বাঙালি গায়িকা এবং মঞ্চাভিনেত্রী আঙুর বালা। ১৯৮৯ - ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির দেহরক্ষী, হত্যাকারী সৎবন্ত সিংহ। ২০০৪ - বাংলাদেশের প্রথিতযশা চলচ্চিত্র শিল্পী সুমিতা দেবী। আরটিভি/একে
যে কারণে খেজুর গাছ শুধু শীতকালেই রস দেয়
শীত যত বাড়ছে খেজুরের রসের চাহিদাও তত বাড়ছে। গ্রামীণ জনপদের ঘরে ঘরে এই রস দিয়ে তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের পিঠা ও পায়েস। তাই তীব্র শীত উপেক্ষা করে খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য সময় পার করছেন নওগাঁর গাছিরা। সুস্বাদু এই রস আগুনে জ্বাল দিয়ে বানানো হয় বিভিন্ন রকমের পাটালি ও লালি গুড়। ফলে কাজের চাপে দম নেওয়ার সময় পান না তারা। খেজুর ও রস বিক্রি করেও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এখানকার গাছিরা। গাছিরা প্রতিদিন বিকেলে খেজুর গাছের সাদা অংশ পরিষ্কার করে ছোট-বড় কলসি (মাটির পাত্র) বেঁধে রাখে রসের জন্য। পরদিন সকালে রস সংগ্রহ করা হয়। জেনে নিন যে কারণে শীতকালেই রস দেয় খেজুর গাছ খেজুর গাছ মূলের মাধ্যমে পানি শোষণ করে। এই পানি পাতায় পৌঁছে গেলে পাতায় সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য হিসাবে গ্লুকোজ তৈরি হয়। গ্লুকোজ পরে সুক্রোজ বা চিনিতে রূপান্তরিত হয়। গাছের বৃদ্ধি ও বেঁচে থাকার জন্য এই চিনি খরচ হয়ে যায়। খরচ হওয়ার পর যদি চিনি বেঁচে যায়, তাহলে চিনিগুলো স্টার্চ নামক অদ্রবণীয় জটিল শর্করা হিসেবে জমা থাকে। বর্ষাকালে মাটিতে প্রচুর পানি থাকে, তাই মূলের মাধ্যমে প্রচুর পানি শোষণ করে পাতায় প্রচুর খাদ্য তৈরি হয়। শীতকালে মাটিতে পানি কম থাকে, তাই পানির অভাবে পাতায় কম খাদ্য তৈরি হয়। শীতকালে স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য খেজুর গাছ অতিরিক্ত খাদ্য মজুদ করে রাখে। তাপমাত্রা কমতে শুরু করলে মূল থেকে পানির শোষণ কম হতে থাকে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সংকেত খেজুর গাছের কোষে এক ধরনের এনজাইম ক্ষরণ হতে থাকে এই এনজাইমের প্রভাবে জমিয়ে রাখা স্টার্চ ভেঙ্গে আবার চিনিতে পরিণত হয়। মূল থেকে উঠে আসা পানির সাথে এই চিনি মিশে একটি মিষ্টি সরবত তৈরি হয়। এটাই হলো খেজুরের রস। যেহেতু মূল থেকে উঠা পানি উপরের দিকে ধাবিত হয়, তাই রস উপরের অংশে থাকা কোনো ক্ষত দিয়ে বের হয়। যেটা আহরণকারীরা গাছের ডগার ঠিক নিচের অংশে কেটে বের করে। শীতকালে গাছের প্রস্বেদন কম হয়, তাই গাছ থেকে খুব কম পরিমাণ পানি বাষ্পাকারে বের হয়। গাছে ক্ষত থাকলে সেই ক্ষত দিয়ে চিনি মিশ্রিত রস বের হয়। রস যত বের হবে, তত ব্যাপন চাপ ঘাটতি সৃষ্টি হয়, এই চাপ ঘাটতির কারণে একটি চোষণ শক্তির উদ্ভব হয়। চোষণ শক্তির প্রভাবে মাটি থেকে পানি শোষিত হয় এবং শীতকালজুড়ে রস বের হতে থাকে। খেজুর গাছ কমপক্ষে ৫ বছরের না হলে রস উৎপাদন করতে পারে না। একটি পূর্ণ বয়স্ক খেজুর গাছ শীত মৌসুমে ১৫০-১৬০ লিটার রস উৎপাদন করতে পারে। গাছের গোড়ায় যদি ছিদ্র করা হয়, তাহলে রস আহরণ করা যাবে না। আরটিভি/এসএপি/এআর
ভয়ংকর নৃত্য, মৃত্যুকে জয় করা যাদের কাছে শিল্প! 
মনে করুন, আপনার পায়ের নিচে ১৫ মিটার লম্বা আর দুই টন ওজনের এক ধারালো তলোয়ার। আর আপনি দিব্যি হাটছেন সেই ধারালো তলোয়ারের ওপর। আশ্চর্যের বিষয় যেখানে পা কেটে কিমা হয়ে যাওয়ার কথা সেখানে পড়েছে না কোন দাগও। এমনই এক রোমাঞ্চকর এবং বিপজ্জনক প্রদর্শনীতে কিয়াং জাতির ঐতিহ্যবাহী শিল্পী ওয়াং ইয়াংকে দেখা গেছে চীনের ন্যানিং শহরে। প্রাচীনকালের এই 'তলোয়ার নৃত্য' আজও কিয়াং জাতির সংস্কৃতির অন্যতম অংশ।  শুরুতেই ওয়াং তার প্রথাগত প্রস্তুতি নেন আগুনের মশাল জ্বালিয়ে ধূপকাঠি পুড়িয়ে, দেবতার কাছে দানা ছিটিয়ে শুরু হয় তার প্রার্থনা। ওয়াং জানান, প্রতিটি পরিবেশনার আগে তিনি এই আচার পালন করেন। তিনি নিজের হাতে ঐতিহ্যবাহী কাপড় তুলে নিয়ে বড় তলোয়ারের চারপাশে হাঁটেন, মঞ্চে গিয়ে আলোকের দেবতার কাছে প্রার্থনা করেন। তার প্রার্থনায় থাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তি, শান্তি ও সমৃদ্ধির আশীর্বাদ।  এরপরই তিনি শুরু করেন 'বেয়ারফুট ব্রডসোর্ড' নৃত্য, যেখানে এক পায়ে দাঁড়িয়ে একের পর এক বিপজ্জনক কৌশল দেখান। ‘ঈগলের পাখা মেলা’ কিংবা ‘সাগরের ওপার খোঁজা’ এমন কঠিন কৌশলগুলো করেই তিনি দর্শকদের মুগ্ধ করেন। তার পায়ের নিচে বিশাল তলোয়ারের ধার, আর সামান্য ভুল মানে ভয়ংকর পরিণতি, তবুও ওয়াংয়ের পায়ের কাঁপন নেই। এ যেন সাহস আর ধৈর্যের এক চরম পরীক্ষা। প্রাচীন কিয়াং জাতির মানুষরা মূলত সিচুয়ানের উত্তর-পশ্চিমে বসবাস করত। তখন শত্রুর আক্রমণ ঠেকাতে তারা শহরের প্রবেশমুখে বিশাল তলোয়ার বসিয়ে তার ওপর এই নৃত্য করত। এই বিপজ্জনক পরিবেশনা তাদের সাহস আর শক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছিল।  ওয়াং জানান, এই নাচ তাদের আঞ্চলিক সংস্কৃতির অঙ্গ, যা বর্তমান সময়েও ‘অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ন্যানিং শহরের উক্সু এয়ারপোর্ট কনভেনিয়েন্স মার্কেটে আয়োজিত প্রথম ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ কার্নিভ্যাল’ এ বছরের মূল আকর্ষণ ওয়াংয়ের তলোয়ার নৃত্য। উৎসবে আরও রয়েছে আতশবাজির ঝলক, বিশাল খাবারের মেলা। পর্যটকরা এখানে কিয়াং জাতির ঐতিহ্য সম্পর্কে জেনে নিচ্ছেন, আর প্রাচীনকাল থেকে বর্তমানের এই সংস্কৃতির নিদর্শন দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন।  এই প্রাচীন নৃত্য শুধু দর্শকদের বিনোদন নয়; বরং তা হলো সাহস, ধৈর্য আর বিশ্বাসের এক অমূল্য প্রতীক। 
কাদামাটিতে লুটোপুটি, মাটির তৈরি মঞ্চে যেভাবে চলে রেসলিং
চারদিকে বাঁশের ঘের, মাঝখানে মাটির মঞ্চ। এর মাঝেই কাদা মাখিয়ে চলছে লড়াই। প্রতিযোগীরা কোলে তুলে নিয়ে ছুড়ে ফেলছেন প্রতিপক্ষকে। চারদিকে দর্শকদের উল্লাস আর চিৎকার। ভাবছেন এ আবার কেমন খেলা? উগান্ডার মুকোনো শহরে সম্প্রতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই মাটির রেসলিং, যা স্থানীয়ভাবে পরিচিত "সফট গ্রাউন্ড রেসলিং" নামে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেনো মাটিতে গড়াগড়ি করে হচ্ছে এইখেলা?  কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে আছে একজন মানুষের সংগ্রামের গল্প। ড্যানিয়েল বুম্বাশ, যিনি এই খেলার আয়োজন করেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি পেশাদার কুস্তিগীর হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু অর্থের অভাব আর দেশে কুস্তির সুযোগ না থাকায় তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তাই তিনি নিজের মতো করে কুস্তির মঞ্চ তৈরি করেছেন কাদামাটির মঞ্চ।  ড্যানিয়েল বলেন, আমি এমন একটি জায়গা তৈরি করতে চেয়েছিলাম, যেখানে মানুষ কুস্তি শিখতে পারবে এবং আমার মতো স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। কিন্তু এই মাটির কুস্তি শুধু একটি খেলা নয়। কারণ এই কাদামাটির মঞ্চকে পেশাদার কুস্তিগীররাও ভিন্নধর্মী বলে মনে করেন।  ড্যানিয়েলের মতে, বিভিন্ন দেশের পেশাদার কুস্তিগীররা এখানে আসেন মাটির মঞ্চের কুস্তি খেলার অভিজ্ঞতা নিতে। তারা আগে কখনো এমন সফট মাটির মঞ্চে লড়াই করেনি। ড্যানিয়েলের স্বপ্ন, একদিন উগান্ডা আন্তর্জাতিক কুস্তির মানচিত্রে জায়গা করে নিবে। যেভাবে ফুটবলে নাইজেরিয়া আর ঘানা পরিচিত, তেমনি কুস্তিতে উগান্ডাও পরিচিত হবে। তবে এই খেলাটি আয়োজন করা সহজ নয়। অনেক প্রতিযোগী এমনকি চাকরি হারিয়েছেন কুস্তি চালিয়ে যাওয়ার জন্য। এক প্রতিযোগী জানান, আমার অফিস থেকে পাঁচদিন কাজ চেয়েছিল, কিন্তু আমি সপ্তাহে তিনদিন অনুশীলন করতে চেয়েছিলাম। তারা সেটা মেনে নেয়নি। আমি চাকরি ছাড়লাম, কিন্তু আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করছি। মাটির কুস্তির শিকড় বহু প্রাচীন। এটি একসময় সামাজিক বিনোদনের অংশ ছিল। কিন্তু আজ তা কেবল বিনোদন নয়, উগান্ডার তরুণদের স্বপ্ন পূরণের মঞ্চ হয়ে উঠেছে। আর এই মাটির কুস্তি একদিন উগান্ডাকে কুস্তির বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত করবে এটাই বিশ্বাস ড্যানিয়েলের। আরটিভি/এফআই
যে কারণে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের জন্ম ১ জানুয়ারি
বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশির ভাগ বাংলাদেশির জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি। জন্ম নিবন্ধন, এনআইডি, পাসপোর্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জন্ম তারিখ যাচাই করে এ তথ্য জানা যায়। তবে বিভিন্ন জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের জন্ম তারিখের ক্ষেত্রে দেখা গেছে জানুয়ারির এক তারিখের প্রাধান্য রয়েছে। শিশুদের নিয়ে কাজ করেন—এমন বিশেষজ্ঞরাও এই প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন। শিশু বিশেষজ্ঞ ড. ইশতিয়াক মান্নান বলেছেন, ‘বিষয়টি এমন না যে, জানুয়ারির এক তারিখে বেশির ভাগ শিশুর জন্ম হচ্ছে। আসলে এখনও আমাদের দেশের বেশির ভাগ শিশুদের জন্ম হয় বাড়িতে, বিশেষ করে যারা গ্রামীণ এলাকায় থাকে। সেখানে এখনও শিক্ষার হার ততটা ভালো না। ফলে অভিভাবকরাও জন্ম নিবন্ধনের ব্যাপারে ততটা সতর্ক নন। তিনি বলেন, আমাদের জন্ম নিবন্ধনও সঠিকভাবে সঠিক তারিখে হয় না। বাড়িতে বা হাসপাতালে জন্ম নেওয়া শিশুদেরও ঠিকভাবে নিবন্ধন হচ্ছে না। পরবর্তী একসময় যখন তারা স্কুলে ভর্তি হয় বা কোনো সার্টিফিকেট পরীক্ষার সময় তার জন্ম তারিখটা দরকার হয়ে পড়ে। তখন অনেক সময় স্কুলের শিক্ষকরা ইচ্ছামতো একটি তারিখ বসিয়ে দেন। নতুন করে জন্মদিন বসাতে গিয়ে তারা একটি কমন তারিখে জন্মদিন বসিয়ে দেন, যা সহজে মনে রাখা যায়। দেখা যায়, বেশির ভাগ সময়েই সেটা জানুয়ারির এক তারিখ হয়ে থাকে। এ কারণে দেখা যায় এখানে এটা খুবই কমন যে, মানুষের দুইটা করে জন্মদিন থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেছেন, তার নিজের এবং আরও দুজন চাচাতো ভাইয়ের জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি। কারও জন্মতারিখই বাবা-মা লিখে রাখেননি। ফলে স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় শিক্ষকরা তারিখটি বসিয়ে দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, ভারত-পাকিস্তান, নেপাল, ভিয়েতনাম ও আফগানিস্তানেও এই প্রবণতা রয়েছে। তবে শিশু বিশেষজ্ঞ ড. ইশতিয়াক মান্নান বলছেন, অনেকের জন্ম তারিখ বানিয়ে দেওয়া হলেও এই তারিখেও কিন্তু সত্যিকারে বাংলাদেশে অনেক শিশুর জন্ম হচ্ছে, যাদের জন্মদিন আসলেই ১ জানুয়ারি। বাংলাদেশে ২০২৪ সালে বছরের প্রথম দিনে ৮ হাজার ৪২৮টি শিশুর জন্ম হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। আর এদিন পৃথিবীতে জন্ম হতে যাচ্ছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭২টি শিশুর। ইউনিসেফের হিসাবে, প্রথম দিনে জন্ম নেওয়া শিশুদের এক চতুর্থাংশের জন্ম হবে দক্ষিণ এশিয়ায়। আর এদিনের মোট শিশুদের অর্ধেক জন্ম নেবে নিচের আটটি দেশে : ভারত-৬৯৯৪৪, চীন- ৪৪৯৪০, নাইজেরিয়া-২৫৬৮৫, পাকিস্তান-১৫১১২, ইন্দোনেশিয়া-১৩২৫৬, যুক্তরাষ্ট্র-১১০৮৬ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো-১০০৫৩, বাংলাদেশ-৮৪২৮। আরটিভি/এসএপি
৩০ ডিসেম্বর: ইতিহাসে আজকের এই দিনে
ঘটে যাওয়া আজকের এই দিনের ঘটনা, অনেক আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তির জন্ম-মৃত্যু আমরা জানতে চাই। পাঠকের এ চাওয়া মাথায় রেখে নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪। ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা। ঘটনাবলি : ১৭৩০ - জাপানের হোক্কাইদোতে প্রচন্ড ভূমিকম্পে ১ লাখ ৩৭ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। ১৮০৩ - ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মোগল দরবারের কাছ থেকে দিল্লি ও আগ্রার শাসনভার গ্রহণ করে। ১৮০৩ - গোয়ালিয়রের মহারাজ সিদ্ধিয়া ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। ১৯০০ - অস্ট্রেলীয় কমনওয়েলথ গঠিত হয়। ১৯০৬ - ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহর প্রাসাদে মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯২২ - বলশেভিক বিপ্লবের ঢেউয়ে জার সাম্রাজ্য বিধ্বস্ত হয় এবং সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৫ - কানপুরে কমিউনিস্টদের সর্বভারতীয় প্রথম সম্মেলন শেষ হয় এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ - দুটি ইহুদীবাদী সশস্ত্র সংগঠন ফিলিস্তিনের বালাদুশ শেইখ গ্রামে হামলা চালায়। ১৯৫৯ - চীনের প্রথম ব্যাল্লে দল; পেইচিং হত্যকলা কলেজের পরীক্ষামূলক ব্যাল্লে দল পেইচিংয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ - স্বাধীন বাংলাদেশের হাইকোর্ট উদ্ধোধন। ১৯৯২ - বোরহানউদ্দিন রব্বানি আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত। ১৯৯৭ - চীন সরকার ও দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানিতে দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার যৌথ ইস্তাহার স্বাক্ষর করে। ২০০৬ - ইরাকের সাবেক একনায়ক সাদ্দামকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে ফাঁসি দেয়া হয়। জন্ম : ১৮৬৫ - নোবেলজয়ী ইংরেজ সাহিত্যিক রুডইয়ার্ড কিপলিংয় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৬ - জার্মান জাতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় ও ম্যানেজার বের্টি ফোক্টস জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ - ডেনীয় কম্পিউটার বিজ্ঞানী বিয়ারনে স্ট্রোভস্ট্রুপ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ - আমেরিকার গল্ফ খেলোয়ার টাইগার উড জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যু : ১৯৪৪ - ফরাসী ঔপন্যাসিক ও বিশ্বশানত্মি আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা রমা রোলাঁর মৃত্যু হয়। ১৯৫৩ - কবি শাহাদাৎ হোসেনের মৃত্যু হয়। ১৯৫৯ - পল্লীগীতি শিল্পী ও সুরকার আব্বাসউদ্দীন আহমদ ইন্তেকাল করেন। ১৯৬৮ - জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব হ্যালডান লীর মৃত্যু হয়। ১৯৭৯ - বি অজিত কুমার দত্তের মৃত্যু হয়। ২০১১ - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর প্রতীক প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এম হামিদুল্লাহ খান মৃত্যুবরণ করেন। দিবস : স্লোভাকিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা দিবস। রিজাল ডে (ফিলিপাইন), খাঞ্জা উৎসবের পঞ্চম দিন (আমেরিকা)। আরটিভি/একে
ছবির মতো সুন্দর হয়েও পর্যটক যায় না যে দেশে
ছবির মতো সুন্দর এক দেশ। প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল মজুদ, সোনা-রুপার ঝলমলে প্রাসাদ, আর মনোমুগ্ধকর স্থাপত্যের অপরূপ সমাহার—সব মিলিয়ে যেন এক স্বপ্নপুরী। কিন্তু, এত বৈচিত্র্য, এত ঐশ্বর্যের মাঝে যেন এক অদৃশ্য পর্দা টাঙানো। কোথাও কোনো পর্যটকের আনাগোনা নেই। যেখানে আরব আমিরাত, আমেরিকা, কিংবা থাইল্যান্ড পর্যটকদের পদচারণায় মুখর, সেখানে এই অনন্য সৌন্দর্যের দেশ যেন পড়ে আছে একাকী, নিস্তব্ধ।  প্রশ্ন হলো, কেনো? এতো সৌন্দর্য থাকা সত্ত্বেও কেনো পর্যটকদের কাছে এই দেশটি এক রহস্য? এর পেছনে কি কোনো গোপন কারণ লুকিয়ে আছে? কোনো অজানা রহস্য যা পর্যটকদের দূরে রাখছে? চলুন তবে জেনে নিই। মধ্য এশিয়ার এক রহস্যময় এই দেশ তুর্কমেনিস্তান, যা ক্যাস্পিয়ান সাগরের পূর্বে অবস্থিত। দেশটির রাজধানী আশগাবাত, যা সাদা মার্বেলের শহর হিসেবে পরিচিত। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী, আশগাবাত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সাদা মার্বেলের ভবনসমৃদ্ধ শহর। শহরটির স্থাপত্যশৈলী ও নকশা মনোমুগ্ধকর।  দেশটির আরেকটি আকর্ষণীয় স্থান হলো দারভাজা গ্যাস ক্রেটার, যা "নরকের দরজা" নামে পরিচিত। এটি একটি বিশাল প্রাকৃতিক গ্যাসের গর্ত, যা ১৯৭১ সাল থেকে জ্বলছে। এই অগ্নিগর্তটি পর্যটকদের জন্য এক বিস্ময়কর স্থান, তবে সেখানে পৌঁছানো কিংবা ভ্রমণ করা সহজ নয়। মূলত মরুভূমি আর প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, এই দেশটি সারা বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। যেখানে ভ্রমণ করতে চাইলেও ভিসা পাওয়া অত্যন্ত কঠিন, আর পেলেও নেইস্বাধীনভাবে ঘোরার অনুমতি। পর্যটকদের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট গাইডের সঙ্গে চলার বাধ্যবাধকতা। অনেক এলাকায় ফটোগ্রাফি নিষিদ্ধ, এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে যোগাযোগেও বিধিনিষেধ রয়েছে। এই কঠোর নিয়ন্ত্রণের ফলে দেশটি বিশ্বের অন্যতম বন্ধ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। তুর্কমেনিস্তানের সরকার জনজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ আরোপের ফলে দেশের নাগরিকরাও স্বাধীনভাবে যেখানে-সেখানে ঘুরতে পারেন না বলে জানা যায়। তুর্কমেনিস্তান এমন এক দেশ, যেখানে দেশের মানুষও বাইরের পৃথিবীর অনেক কিছু থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। দেশটির সরকার নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে পানি, বিদ্যুৎ এবং গ্যাসসহ কিছু সুবিধা প্রদান করে। তবে দেশে পর্যটন খাতের অবকাঠামো প্রায় নেই বললেই চলে। আন্তর্জাতিক মানের হোটেল বা রেস্টুরেন্টের অভাব থাকায় যারা যেতে চান তাদেরও ভ্রমণ করতে হয় নানা অসুবিধার মধ্যে দিয়ে। আরটিভি/এফআই