• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

মন্ত্রিসভায় ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণার অনুমোদন

আরটিভি নিউজ

  ০৭ অক্টোবর ২০২০, ১৬:২৩
৭ মার্চ 7 MARCH 1971
ছবি- সংগৃহীত

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তবে এদিন কোনো ছুটি থাকবে না।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ‘ক’ ক্রমিকের অন্তর্ভুক্ত হবে। সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা দিবসটি তাদের নিজস্ব কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন ও বাস্তবায়ন করবে

বুধবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন/পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা পরিপত্রের ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব।

তিনি বলেন, ‘দিনটি ঐতিহাসিক দিন সবাই জানেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় বলিষ্ঠ নেতৃত্বের নির্দেশনা ও জাতীয় জাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া ভাষণে। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৭ মার্চের ভাষণ এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল প্রেরণা। এই ভাষণ কেন্দ্র করে স্বাধীনতার চূড়ান্ত মঞ্চ গড়ে ওঠে। ’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণের নির্দেশনার আলোকে এদেশের সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এটার আন্তর্জাতিক গুরুত্বও আছে। ইউনেস্কো এই ভাষণকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে’ অন্তর্ভুক্ত করেছে। সে বিবেচনায় জাতীয় জাগরণ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম প্রেরণার উৎস হিসেবে দিবসটি উদযাপন করার বিষয়টি খুবই প্রাসঙ্গিক। তাই মন্ত্রিপরিষদে প্রস্তাব হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাবটা দিয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ প্রস্তাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আছে। যেমন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সঠিকভাবে উপস্থাপন ও তাৎপর্য তুলে ধরা দিবসটি পালনের যৌক্তিকতা। দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমে দেশের জনগণের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপূর্ণ বিকাশ লালনপালন ও যথাযথ চর্চা করা সম্ভব হবে।

‘সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরিপূর্ণ সংস্থাপন করার প্রয়াস বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা এ দিবসটি তাদের নিজস্ব কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন ও বাস্তবায়ন করবে। এদিন কোনো ছুটি থাকবে না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ‘ক’ ক্রমিকের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ যোগ করেন তিনি।

ওয়াই/এম

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বুটেক্সের ভর্তি পরীক্ষা ৭ মার্চ
৭ মার্চ নিয়ে যা বললেন সোহানা সাবা
আমি বঙ্গবন্ধুর দালাল: শাওন
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ছাত্র-জনতার দখলে