কতটা নিরাপদ মেয়ে পথশিশুদের জীবন! (ভিডিও)
একজন শিশুর জীবনে থাকা সব ধরনের ঝুঁকিই আছে পথশিশুদের। এ অবস্থা যেন আরও একটু বেশি ভয়ঙ্কর মেয়ে শিশুদের জন্য। পরিবার বিচ্ছিন্ন এই মেয়ে শিশুরাই প্রতিদিন শিকার হচ্ছে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের।
মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বাঁচার আকুতি দেখে যে শব্দমালা গেঁথেছিলেন মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ, স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও, সেই আকুতি নিয়েই পথে পথে ঘুরে বেড়ায় এই মেয়ে শিশুরা।
ফুটপাত বা দোকানে কাজ অথবা ময়লা কুড়ানো কিংবা ফুল বিক্রি করে আর দশজন ছিন্নমূল ছেলের মতো কাটে না রুখসানাদের জীবন। একই কাজ করতে গিয়ে, নয় বছরের রুখসানাকে শুনতে হয় নানা কটূ কথা।
পথশিশু রুকসানা বলেন, অনেক মানুষ খারাপ কথা বলে, থাপ্পড় মারে চড় মারে। অনেক রিকশাওয়ালা দেয় নানা ধরনের কুপ্রস্তাব। শুধু রুকসানা নয়, তার মতো এমন অনিরাপদ জীবন পার করতে হচ্ছে ফুটপাতে থাকা রীতাকে।
ইউনিসেফ চাইল্ড প্রটেকশন অফিসার ফাতেমা খাইরুন্নাহার বলেন, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক বেশি। তারা অনেক সময় যৌন নির্যাতনের ফলে গর্ভবতী হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। এছাড়াও তারা শিকার হচ্ছে নানা ধরনের বড় বড় অসুখের। একজন ছেলের থেকে মেয়েদের বেশি পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ জায়গায় থাকা দরকার। কিন্তু দেখা যাচ্ছে খোলা রাস্তায় নোংরা আর অনিরাপদ পরিবেশের জন্য বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারী ও শিশুরা।
শিশুরা পথে আসুক বা পথে থাকুক, এমনটা কেউ না চাইলেও বাস্তবতা হচ্ছে, বিপুল সংখ্যক শিশু পথে রয়েছে।
অপরাজেয় বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু বলেন, একজন পথশিশু যতক্ষণ পর্যন্ত না সে নিজে বুঝবে সে সক্ষম, যতক্ষণ না ট্রেনিং এর মাধ্যমে সে বুঝবে তার (শিশু) অধিকার সম্পর্কে; পড়াশোনা করে বড় হতে হবে, তারপর চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়াবো। ঠিক তখন সে পারবে ওই পরিস্থিতি থেকে নিজেদের বের করে আনতে।
তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য নয় বরং সমাজের সবাইকে এদের প্রতি সংবেদনশীল হওয়ার অনুরোধ জানান সংশ্লিষ্টরা।
পি
মন্তব্য করুন