আজ অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম দিন। সোমবার (১ মার্চ) শুরু হলো গৌরবের স্বাধীনতার মাস। আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে পা রাখবে। মার্চ মাস বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের কারণে ঐতিহ্যমণ্ডিত। এ উপলক্ষে মাসের প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে সভা সমাবেশ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নানা আয়োজনে মুখরিত থাকবে গোটা দেশ।
১৯৭১ সালের মার্চের ২৫ মার্চ দিনগত রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করলে গ্রেপ্তার হবার আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এর আগে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি শাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব-ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর হমানের এ ভাষণের পর থেকেই স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হতে শুরু করে বাঙালি। রাজধানীসহ সারাদেশে উড়তে শুরু করে সবুজ ওপর লাল সূর্য আর সোনালি মানচিত্রের পতাকা। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি লাভ করে স্বাধীনতা।
২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানিরা বাঙালির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার লক্ষ্যে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বাঙালি নিধনে গণহত্যা শুরু করে। ঢাকার রাস্তায় বেরিয়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা নির্বিচারে হাজার হাজার লোককে হত্যা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে শিক্ষক-ছাত্রকে হত্যা করে।
জিএম/পি