কেজিতে মুরগির দাম কমেছে ১০০ টাকা
টানা দুমাস নানা অজুহাতে বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়েছে মুরগি। তবে সরকারের ঘোষিত লকডাউনের দ্বিতীয় দিন কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে পাকিস্তানি কর্ক মুরগির দাম। লেয়ার মুরগির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া পাকিস্তানি কর্ক মুরগি কেজিতে ১০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। যা গতকাল বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। অন্যদিকে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে লাল লেয়ার মুরগির দাম। যা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লকডাউনের জন্য বাজারে তেমন ক্রেতা না থাকায় বাধ্য হয়ে কম দামে তারা মুরগি বিক্রি করছেন। লকডাউন শুরু হওয়ার আগের দু’দিন অনেকেই বাড়তি বাজার করেছেন। যার ফলে বাজারে ক্রেতাদের চাপ নেই বলেই চলে। এ কারণেই বাজারে একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০০ টাকা কমেছে মুরগির দাম।
দাম কমার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের সাব্বির মুরগির আড়তের বিক্রেতা সাজু বলেন, বাজারে কাস্টমার নাই। মুরগি বিক্রিও নাই। যে অবস্থা তৈরি হচ্ছে সামনে আরও দাম কমতে পারে। কাস্টমার না থাকলে বিক্রি করবো কাদের কাছে। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া মুরগি বাধ্য হয়ে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের স্বদেশ মুরগির আড়তের মইনুদ্দিন বলেন, বাজারে অনেক মুরগি আছে কিন্তু কাস্টমার নাই। অনেক প্রতিযোগিতা চলতেছে। যে কম দামে ছাড়তাছে মুরগি তার দোকানেই ক্রেতারা যাচ্ছে। এজন্য কাস্টমার টানতে লোকসান দিয়ে হলেও কম দামে বিক্রি করছি।
আরএস/ এসএস
মন্তব্য করুন