৬ মে থেকে শুরু হতে পারে বাস চলাচল
৬ মে থেকে জেলার ভেতরে সীমিত পরিসরে বাস চলাচল শুরু হতে পারে। আজ রোববার (২ মে) আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এমনটাই সুপারিশ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার চলামান লকডাউনের মেয়াদ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। নতুন এ বিধি-নিষেধে কিছু শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। তবে ঈদের আগে তিনটি কর্মদিবস থাকায় কিছুটা শিথিল করে ফের লকডাউন বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। পাশাপাশি সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালানোর বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয়ের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আগামী ১২ মে (বুধবার) থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। রমজান মাস যদি ২৯ দিনে শেষ হয় তবে ঈদুল ফিতর হবে ১৩ মে। এ ক্ষেত্রে ১৩ ও ১৪ মে (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ঈদের ছুটি থাকবে। তবে রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদের ছুটি আরো এক দিন বাড়বে, সে ক্ষেত্রে ১৫ মে (শনিবার) ছুটি থাকবে।
-
আরও পড়ুন... পদোন্নতি পেলেন হারুন-অর-রশিদ
লকডাউনের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হবে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানায়েছেন, এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়ের ওপর আমাদের চিন্তাভাবনা চলছে যে আমরা কী করব। তিনি বলেন, ৫ তারিখের পর বিধি-নিষেধের কী হবে সেটা এখনো চিন্তাভাবনার পর্যায়ে রয়েছে। আমরা ৫ তারিখের আগেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।
এদিকে দোকান ও মার্কেট খোলার দাবিতে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তা অনুমতি দেয় সরকার। একইভাবে ঈদের আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেও সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলাচলের সিদ্ধান্ত আসছে।
বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলেন, ১৪ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সারাদেশে ৫০ লাখ পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। দিনের আয়ে দিন চলা এই শ্রমিকদের পরিবারগুলো এখন অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যত সিট তত যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন পরিচালনার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, বাস ছাড়া সবই তো চলছে। বাস চলাচল না করায় সাধারণ মানুষ বিকল্প পথে মাইক্রোবাস ভাড়া করে, ট্রাকে গাদাগাদি করে চলাচল করছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বাড়ছে। এর চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চলাচল করা ভালো।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস রোধে সরকার প্রথম ১৪ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে। এতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে না আসায় ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ ফের বাড়ানো হয়। পরে ফের আগামী ৫ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। এতে ব্যবসায়ীরা বৈশাখী উপলক্ষে ব্যবসা করতে পারেনি। এতে লোকসানে পরে। লকডাউনের মধ্যে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে ব্যবসা করতে ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে দাবি তোলেন। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে দোকানপাট ও মার্কেট খোলার অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
এনএস
মন্তব্য করুন