ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে নেই আরাভ খানের নাম
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বুধবার (২২ মার্চ) দুুপুর সাড়ে ১টা পর্যন্ত সংস্থাটির ওয়েবসাইটে (www.interpol.int) প্রবেশ করে পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার এই আসামির নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রেড নোটিশের পেজে গেলেই বিভিন্ন মামলার আসামি বা ‘ওয়ান্টেড’ অপরাধীদের তালিকা প্রদর্শিত হয়। রেড নোটিশের তালিকায় জাতীয়তা বাংলাদেশি সিলেক্ট করে সার্চ করার পর দেখা যায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদসহ মোট ৬২ জনের নাম রয়েছে। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেকের অপরাধের ধরন, ঠিকানা, বয়স ও ছবি দেওয়া রয়েছে। তবে এই তালিকায় আরাভ খান বা রবিউল ইসলাম নামে কেউ নেই। এরপর ‘ওয়ানটেড বাই বাংলাদেশ’ সিলেক্ট করে সার্চ করার পর ৪৭ জনের একটি তালিকা প্রদর্শিত হয়। সেখানেও নেই আরাভের নাম। এমনকি আরাভ যেহেতু ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন তাই জাতীয়তা ভারতীয় সিলেক্ট করে সার্চ করার পরও তার নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এর আগে, সোমবার চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে করা আবেদন ইন্টারপোল গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, পুলিশ হত্যা মামলায় যে নামে চার্জশিট হয়েছে, সেই নামে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। একটু আগে আমার কাছে খবর এসেছে ইন্টারপোল এটি গ্রহণ করেছে। এখন বাকি কাজ তারা করবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৯ জুলাই গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় উলুখোলা এলাকার একটি জঙ্গল থেকে পুলিশ পরিদর্শক মামুনের হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেই খুনের আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম। দেশ থেকে পালিয়ে তিনি প্রথমে ভারত যান। কলকাতার একটি বস্তিতে কয়েকবছর বসবাস করার পর তিনি আরাভ খান নামে ভুয়া ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে দুবাই চলে যান। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সম্প্রতি বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামে একটি স্বর্ণের দোকানের উদ্বোধন করেন তিনি।
মন্তব্য করুন