• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

কোভিডের নতুন ধরন, চার পরামর্শ কারিগরি কমিটির

আরটিভি নিউজ

  ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৮
ফাইল ছবি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন ধরন জেএন.১ এর সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এই ধরন পার্শ্ববর্তী ভারতসহ বিশ্বের ৪১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এমনকি নতুন এই ধরনে বাংলাদেশে কেউ এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়নি।

কিন্তু বৈশ্বিকভাবে করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ বৃদ্ধি উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সংক্রমণ মোকাবিলায় ফের হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ সব স্থানে মাস্ক ব্যবহারসহ চার দফা পরামর্শ দিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির ৬৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সকলের পরামর্শের আলোকে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়।

সেগুলো হলো-

১। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি- যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের সতকর্তা হিসেবে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলো। কমিটি মনে করে কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে এটি সহায়ক হবে।

২। সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বৈশ্বিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও দেশে নজরদারি জোরদার করার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে কোভিড পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার সকল প্রস্তুতি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং এর প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৩। কোভিড ভ্যাকসিন বিষয়ে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৪। সভায় অস্ত্রোপচার অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার আগে কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কমিটি কেবলমাত্র কোভিডের লক্ষণ/উপসর্গ থাকলে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে।

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির সদস্য, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন ধরনটি বাংলাদেশে ছড়িয়ে না পড়লেও যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে। ধরনটি বাংলাদেশে আসবে না ধরে নিয়ে বসে থাকলে হবে না।

তিনি বলেন, নতুন এই ধরন যে বিরাট সমস্যা, সেটি এখনও বলা যাচ্ছে না। কিন্তু শীত মৌসুমে শ্বাসতন্ত্রের রোগ বেড়ে যায়। এ কারণেই সতর্কতা নেওয়া দরকার।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে একে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, এই ধরনটি অতিদ্রুত ছড়াচ্ছে।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬২৯
হাসপাতালে আরশ খানের মা অভিনেত্রী নীলা ইসলাম
আমি যে পরামর্শ দিয়েছি, সবাই তা মেনে নিয়েছে: মিরাজ
ইউটিউব দেখে অস্ত্র চালানো শিখে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকাকে হত্যা