অগ্রণী ব্যাংকের এমডিসহ ৫ শীর্ষ কর্মকর্তার কারাদণ্ডের রায় স্থগিত
অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. মুরশেদুল কবীরসহ পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টের দেওয়া ৩ মাসের কারাদণ্ডের রায় আগামী ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ব্যাংক কর্মকর্তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাডভোকেট শামীম খালেদ ও ব্যারিস্টার তানজীবুল আলম। এ ছাড়া মুন গ্রুপের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও অ্যাডভোকেট নুরুল আমীন।
এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি আদালতের আদেশ অমান্য করায় অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. মুরশেদুল কবীরসহ পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তাকে ৩ মাসের দেওয়ানি বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়। রায় পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
অন্য চার কর্মকর্তা হলেন— অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার জেনারেল ম্যানেজার মো. ফজলুল করিম, এলপিআরে যাওয়া আরেক জেনারেল ম্যানেজার এ কে এম ফজলুল হক, অগ্রণী ব্যাংকে ডেপুটি ম্যানেজার-২ শ্যামল কৃষ্ণ সাহা, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর-১ মিসেস ওয়াহিদা বেগম।
হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) আপিল বিভাগে আবেদন করেন ব্যাংক কর্মকর্তাদের আইনজীবী শামীম খালেদ। এরপর বৃহস্পতিবার আপিল শুনানিতে রায় স্থগিত করলো আপিল বিভাগ।
আইনজীবীরা জানান, ২০১৭ সাল পর্যন্ত মুন গ্রুপের কাছে অগ্রণী ব্যাংকের ডিগ্রি মূলে পাওনা ৫৩৯ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে পাওনার ২৫ শতাংশ কিস্তিতে পরিশোধের জন্য মুন গ্রুপের কাছে চিঠি দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঋণের ২৫ শতাংশ পরিশোধ না করলে মুন গ্রুপকে খেলাপি তালিকাভুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে পাঠানো হবে।
ব্যাংকের চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিম্ন আদালতে ঘোষণামূলে ডিগ্রি প্রার্থনা করা হয়। একই সঙ্গে ব্যাংকের চিঠির বিরুদ্ধে আদেশ প্রার্থনা করে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। এই আদেশ নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে বিবিধ আপিল দায়ের করে মুন গ্রুপ। হাইকোর্ট ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ব্যাংকের চিঠির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। পাশাপাশি রুল দেন।
এদিকে নির্ধারিত সময়ে ঋণের ২৫ শতাংশ কিস্তি পরিশোধ না করায় মুন গ্রুপকে খেলাপি তালিকাভুক্ত করে অগ্রণী ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকে সিআইবি পাঠায়। পরে মুন গ্রুপ অগ্রণী ব্যাংকের এমডিসহ চার নির্বাহীর বিরুদ্ধে ভায়োলেশন মোকাদ্দমা দায়ের করেন। মামলার শুনানি শেষে অগ্রণী ব্যাংকের এমডি, ডিএমডিসহ ৫ কর্মকর্তাকে ৩ মাসের দেওয়ানি কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।
মন্তব্য করুন