অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে গেছে : ওবায়দুল কাদের
ভারতের সঙ্গে সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী। তারা হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী। এ দেশের কিছু কিছু অপজিশন, তারা কোনো কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলিত হয়ে নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল। তখন ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, সে কথা তো আমাদের স্বীকার করতেই হবে। ভারত আমাদের সঙ্গে সৎ প্রতিবেশীমূলক আচরণ করেছে। যেটা প্রয়োজন ছিল। কিছু বিষয় নিয়ে অভিন্ন মততো আমাদের মধ্যে আছে। কমিউনালিজম, ক্রস বর্ডার টেরোরিজম- এসব বিষয়ে সবসময় আমাদের দ্বিপাক্ষিক অবস্থান জোরালো থাকবে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করে যাওয়ার পর এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, রোড কানেক্টিভিটি, ইলেকট্রিক বাসসহ ভারতের সঙ্গে এলওসিতে যে প্রকল্প চলমান আছে, সেগুলোর অগ্রগতি এবং পরে বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত কীভাবে অংশ নিতে পারে, শেয়ার করতে পারে- সে বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, একুশ বছর ভারতের সঙ্গে আমাদের শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক ছিল। সমসাময়িক বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হওয়া দরকার। সেই সম্পর্ক বজায় রাখতে আমরা উভয় পক্ষই একমত।
নির্বাচনের আগে ভারতের সঙ্গে যেমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল, এখনো কি সেভাবে আছে, আগামীতে কি সেভাবে থাকবে কি না প্রশ্ন করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যৎ বলবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের চিড় ধরার কোনো কারণ আমি দেখছি না।
ভারতের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ভারত আমাদের পাশে ছিল। সেটা আমাদের দরকার ছিল। কিছু দেশ মিলে এদেশের কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। সেই প্রেক্ষাপটে ভারত ভালো ভূমিকা রেখেছে।
এরপর সরকার এখন নির্ভার কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার নির্ভার না। সমসাময়িক বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আমরা চ্যালেঞ্জের মুখে আছি। পাঁচ বছরের জন্য আমাদের যে নির্বাচনী ইশতেহার, সেটা বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পাঁচ বছরে কোটি যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে; বছরে ২০ লাখ করে কর্মসংস্থান আমাদের তৈরি করতেই হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। আমাদের ডলার সংকট আছে, রিজার্ভ সংকট আছে, জ্বালানি সংকট আছে। এ সংকটগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এগুলোকে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা মধ্যে নিয়ে আসা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কীভাবে ভারসাম্য রাখবে এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, আমাদের উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ দরকার, টাকা দরকার। আমরা জাপানের কাছে চাইতে পারি, চীনের কাছেও। আমার উন্নয়নের জন্য যাকে প্রয়োজন, তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী।
মন্তব্য করুন