• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১
logo

পুলিশ হেফাজতে বডিবিল্ডার ফারুকের মৃত্যু : আমলে নিলেন হাইকোর্ট

আরটিভি নিউজ

  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৯
ফারুক হোসেন
ছবি : সংগৃহীত

পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে বডিবিল্ডার মিস্টার বাংলাদেশ ফারুক হোসেনের মৃত্যুর ঘটনা হাইকোর্ট আমলে নিয়েছে। বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে এনেছেন তানভীর আহমেদ নামের এক আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনা হয়।

আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে বডিবিল্ডার মিস্টার বাংলাদেশ ফারুক হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া দরকার। তখন হাইকোর্ট বলেন, আপনি রিট রেডি করে আসুন। আমরা রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) শুনব। এরপর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়কে বিষয়টিতে নজর রাখতে বলেন আদালত।

এর আগে, বুধবার (৩১ জানুয়ারি) পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে বডিবিল্ডার মিস্টার বাংলাদেশ ফারুক হোসেনের মৃত্যুর অভিযোগে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম এবং একই থানার চার উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে ফারুকের স্ত্রী ইমা আক্তার হ্যাপী এ আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন। পরে আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দেন।

মামলায় ওসি ছাড়া অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন— বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমদাদুল হক, আবু সালেহ, মাসুদ রানা ও বুলবুল আহমেদ।

মামলার অভিযোগে স্ত্রী ইমা আক্তার হ্যাপী বলেন, গত ১২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে লালবাগের খাজে দেওয়ান সিং লেনের বাসা থেকে ব্যক্তিগত কাজে বের হন ফারুক হোসেন। এর এক ঘণ্টা পর ফারুক হোসেন স্ত্রী হ্যাপীকে ফোন দিয়ে জানান, তাকে সন্দেহজনকভাবে কায়েতটুলী ফাঁড়ির কতিপয় পুলিশ গ্রেপ্তার করে আটকে রেখে নির্যাতন করছেন। দুই বছরের সন্তানকে কোলে নিয়ে তিনি সেখানে ছুটে যান। দেখেন, ফারুককে পুলিশ সদস্যরা মারধর করে আটকে রেখেছেন।

হ্যাপী সেখানে উপস্থিত এসআই ইমদাদুল হক, মাসুদ রানা, বুলবুল আহমেদসহ অন্যদের পা ধরে তার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানান। তখন ইমদাদুল হক তাকে বলেন, ফারুক অনেক বড় ক্রিমিনাল, তাদের গালিগালাজ করেছে। এমনিতে ছাড়া যাবে না। ওকে ছাড়তে হলে এক লাখ টাকা লাগবে।

তখন হ্যাপী জানান, তার স্বামী সিটি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শোয়েবের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। আগে বডি বিল্ডার ছিলেন মিস্টার বাংলাদেশ হিসেবে। তিনটি ছোট ছোট সন্তান, তার ইনকামেই সংসার চলে। তাকে ছেড়ে দিন।

পরে তারা এক লাখ থেকে কমিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং তাকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা ফারুককে ব্যাপক মারধর করেন। তারা বলেন, ফারুক একজন মাদক ব্যবসায়ী। তারা কিছু করতে পারবে না। তাদের বড় স্যার জানেন কী করবে। এর কিছুক্ষণ পর ফারুককে মোটরসাইকেলে করে বংশাল থানার দিকে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা তাকে পরদিন সিএমএম আদালতে যোগাযোগ করতে বলেন। পরদিন হ্যাপী কোর্টে যান স্বামীর খবর নিতে। সেখানে অনেক কষ্টে স্বামীর সাক্ষাৎ পান। স্ত্রীকে মারধরের কথা জানান ফারুক। তার কিছু হলে আদালতে বিচার চাইতে বলেন। পরে হ্যাপী জানতে পারেন যে, ফারুকের বিরুদ্ধে ১৫০ গ্রাম গাজার মামলা দেওয়া হয়েছে। এরপর তিনি বাসায় ফিরে যান।

গত ১৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক ব্যক্তি হ্যাপীকে জানান, ফারুক মারা গেছেন। পরে হাসপাতাল মর্গে গিয়ে তিনি স্বামীর মরদেহ দেখতে পান। তখন হ্যাপী ফারুকের গলায়, বুকে, পিঠে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান বলে জানান।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিডিআর জওয়ানদের মুক্তির দাবিতে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা, পুলিশের বাধা
সচিবালয় গেটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, তদন্তে কমিটি
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৪ কর্মকর্তাকে বদলি
চাঁদপুরে ড্রেজার-বাল্কহেডসহ গ্রেপ্তার ৯